পরিচয় গোপন করে এক নারীর সঙ্গে সম্পর্ক তৈরির পর ধর্ষণ এবং গোপনে ভিডিও ধারণ করে প্রতারণা ও নির্যাতনের অভিযোগে বিটিআরসির উপপরিচালক সনজিব কুমার সিংহকে গ্রেপ্তার করেছে ধানমন্ডি থানার পুলিশ। তাঁর মুঠোফোন থেকে ঘনিষ্ঠ মুহূর্তের ভিডিও ও ছবি উদ্ধার করা হয় বলে জানিয়েছে পুলিশ।
ধানমন্ডি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) পারভেজ ইসলাম বলেন, গত শুক্রবার ধানমন্ডি থানায় নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশনের (বিটিআরসি) উপপরিচালক সনজিব কুমার সিংহের বিরুদ্ধে মামলা করেন এক নারী। ওই দিনই সনজিবকে গ্রেপ্তার করা হয়।
ওসি জানান, পরদিন শনিবার সনজিবকে আদালতে পাঠিয়ে রিমান্ড আবেদন করা হয়। আদালত তাঁকে জেলগেটে এক দিন জিজ্ঞাসাবাদের অনুমতি দিয়েছেন।
মামলার অভিযোগে উল্লেখ করা হয়, ২০১৩ সালে সনজিবের সঙ্গে পরিচয় হয় ওই নারীর। তখন সনজিব তাঁর নাম–পরিচয় গোপন করেন। পরে তাঁর সঙ্গে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে ওঠে। কিন্তু সনজিবের প্রকৃত পরিচয় জানার পর তিনি আর সম্পর্ক এগিয়ে নিতে চাননি।
তবে সনজিব তাঁকে বিয়ের আশ্বাস দেন। ২০১৪ সালে সনজিব কৌশলে তাঁকে একটি বাসায় নিয়ে ধর্ষণ করেন এবং ভিডিও ধারণ করেন। ওই ভিডিও ছড়িয়ে দেওয়ার ভয় দেখিয়ে ছয় থেকে সাত বছর ধরে তাঁকে ধর্ষণ করেন। এসব ঘটনার ভিডিও ধারণ করে রাখেন সনজিব। এগুলো পরিবারের সদস্যদের মুঠোফোনে পাঠিয়েও প্রতারণা করেন।
ভুক্তভোগী নারী এজাহারে বলেন, ১৫ আগস্ট সনজিব আবারও তাঁর ধানমন্ডির বাসায় ডেকে এনে মেরে ফেলার হুমকি দিয়ে ধর্ষণ করেন। এ সময় তাঁকে শারীরিক নির্যাতন করে বাসায় আটকে রাখেন। পরে সনজিবের এক বন্ধু এসে তাঁর অবস্থা দেখে কী হয়েছে, তা জানতে চান। বিস্তারিত জানানোর পর সনজিবের বন্ধু তাঁকে বাসায় দিয়ে যান।
সনজিব ঢাকার ধানমন্ডি এলাকায় বসবাস করেন।