ওস্তাদ নেই শুনেই কাঁদতে শুরু করেন মৌসুমী

0
144
প্রখ্যাত পরিচালক সোহানুর রহমান সোহান ও চিত্রনায়িকা মৌসুমী।

প্রখ্যাত পরিচালক সোহানুর রহমান সোহানের মৃত্যুর খবরে হাউমাউ কর কেঁদে উঠেন চিত্রনায়িকা মৌসুমী। কাঁদবেনই তো! যার হাত ধরে রুপালী পর্দায় যাত্রা তার, সেই মানুষটিই আজ চলে গেলেন না ফেরার দেশে। দেখা হবে না আর, ওস্তাদ বলে আর কোনোদিন ডাকাও হবে না।

বাংলাদেশের কালজয়ী সিনেমা ‘কেয়ামত থেকে কেয়ামত’। ১৯৯৩ সালের ২৫ মার্চ বাংলাদেশের প্রেক্ষাগৃহে মুক্তি পায় ‘কেয়ামত থেকে কেয়ামত’।  সোহানুর রহমান সোহান পরিচালিত এ ছবির মাধ্যমে দেশের চলচ্চিত্রপ্রেমী মানুষেরা পেয়েছিলেন দুটি নতুন মুখ—মৌসুমী ও সালমান শাহ। সালমানশাহ প্রয়াত হয়েছেন অনেকেই আগেই । এবার  চিরবিদায় নিলেন সোহানও।

প্রিয় পরিচালকের মৃত্যুর তাৎক্ষণিক প্রতিক্রিয়ায় নিতে ফোন দেওয়া হয় মৌসুমীকে। ফোন ধরেই ওপাশা থেকে কান্নাজড়িতে কণ্ঠে বলেন, ‘গতকাল ভাবী চলে গেলেন। আজ শুনি আমাদের সোহান ভাইও নেই।’ বলেই ওমর সানীর হাতে ফোন ধরিয়ে দিলেন মৌসুমী। ওমর সানীও  সোহানুর রহমান সোহানের আত্মার মাগফেরাত কামনা করে সবাইকে দোয়া করতে বললেন।

গতকাল (১২ সেপ্টেম্বর) সোহানুর রহমান সোহানের স্ত্রী প্রিয়া রহমান স্ট্রোক করে মারা যান। তার ২৪ ঘণ্টা পার না হতেই পরপারে পাড়ি জমালেন সুপারহিট ‘কেয়ামত থেকে কেয়ামত’সহ অসংখ্য হিটি সিনেমার নির্মাতা।

সোহানুর রহমান সোহান শিবলি সাদিকের সহকারী হিসেবে চলচ্চিত্রজীবন শুরু করেন ৭০ দশকের শেষের দিকে। পরবর্তীতে তিনি শহীদুল হক খানের ‘কলমিলতা’ (১৯৮১), এজে মিন্টুর ‘অশান্তি’ (১৯৮৬) ও শিবলি সাদিকের ‘ভেজা চোখ’ (১৯৮৮) চলচ্চিত্রে সহকারী হিসেবে কাজ করেন। একক ও প্রধান পরিচালক হিসেবে তার প্রথম চলচ্চিত্র ‘বিশ্বাস অবিশ্বাস’ মুক্তি পায় ১৯৮৮ সালে। তিনি মূলত প্রেম-বিরহ ঘরানার মূলধারার চলচ্চিত্র পরিচালনায় পারঙ্গম ছিলেন।  তার নির্মিত সিনেমার সংখ্যা ২৫টি।

চলচ্চিত্র নির্মাণের পাশাপাশি তিনি বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ে ও ব্যক্তিগত উদ্যোগেও চলচ্চিত্র নির্মাণ ও অভিনয়ের শিক্ষক হিসেবে কাজ করেছেন।

একটি উত্তর ত্যাগ

আপনার মন্তব্য লিখুন দয়া করে!
এখানে আপনার নাম লিখুন দয়া করে

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.