গাইবান্ধায় করতোয়া ও তিস্তার পানি বেড়েছে, কমছে ব্রহ্মপুত্র ও ঘাঘটে

0
100
গাইবান্ধায় করতোয়া ও তিস্তা নদীর পানি বৃদ্ধি পেলেও কমেছে ব্রহ্মপুত্র ও ঘাঘট নদের পানি। আজ রোববার দুপুরে গাইবান্ধা সদর উপজেলার কামারজানি ইউনিয়নের কামারজানি বাজার এলাকায় ব্রহ্মপুত্র নদে

গাইবান্ধার গোবিন্দগঞ্জ উপজেলায় করতোয়ার পানি ও সুন্দরগঞ্জে তিস্তা নদীর পানি বেড়েছে। অন্যদিকে ফুলছড়ি উপজেলায় ব্রহ্মপুত্র নদের পানি এবং শহরের পাশে ঘাঘট নদের পানি কমেছে। গতকাল শনিবার দুপুর ১২টা থেকে আজ রোববার দুপুর ১২টা পর্যন্ত এই পরিস্থিতি দেখা গেছে। নদীর পানি কমতে শুরু করায় নদীতীরবর্তী সুন্দরগঞ্জ, গাইবান্ধা সদর, ফুলছড়ি ও সাঘাটা উপজেলার চরের নিম্নাঞ্চল থেকে পানি নামতে শুরু করেছে।

গাইবান্ধা পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) তথ্য অনুযায়ী, গত ২৪ ঘণ্টায় করতোয়ার পানি গোবিন্দগঞ্জ উপজেলার কাটাখালী পয়েন্টে ২০ সেন্টিমিটার এবং তিস্তার পানি সুন্দরগঞ্জ পয়েন্টে ৩ সেন্টিমিটার বৃদ্ধি পেয়েছে। অপর দিকে ব্রহ্মপুত্র নদের পানি ফুলছড়ি উপজেলার তিস্তামুখ পয়েন্টে ১১ সেন্টিমিটার এবং ঘাঘট নদের পানি জেলা শহরে নতুন ব্রিজ পয়েন্টে ১৮ সেন্টিমিটার কমেছে।

আজ দুপুরে পাউবোর নির্বাহী প্রকৌশলী মো. হাফিজুল হক মুঠোফোনে বলেন, উজান থেকে নেমে আসা ঢলে করতোয়া ও তিস্তার পানিবৃদ্ধি অব্যাহত আছে। ব্রহ্মপুত্র ও ঘাঘট নদের পানি কমেছে। তবে আজ দুপুর ১২টায় সব কটি নদ–নদীর পানিই বিপৎসীমার নিচ দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছিল।

এদিকে চরাঞ্চলের নিচু এলাকা, আবাদি জমি ও রাস্তাঘাট জাগতে শুরু করেছে। তবে পানি কমার সঙ্গে সঙ্গে ব্রহ্মপুত্র নদের ভাঙন শুরু হয়েছে। গাইবান্ধা সদর উপজেলার কামারজানি ইউনিয়নের খারজানি, পারদিয়া ও কুন্দেরপাড়া গ্রামে ব্রহ্মপুত্র নদের ভাঙন অব্যাহত আছে। পাউবোর নির্বাহী প্রকৌশলী বলেন, ভাঙন রোধে নদীর তীরে জিও ব্যাগ ফেলা হবে।

একটি উত্তর ত্যাগ

আপনার মন্তব্য লিখুন দয়া করে!
এখানে আপনার নাম লিখুন দয়া করে

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.