শারীরিক নানা পরীক্ষা-নিরীক্ষা ও চিকিৎসা শেষে হাসপাতাল থেকে গুলশানের বাসায় ফিরেছেন বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া। শনিবার সন্ধ্যা সাড়ে সাতটায় রাজধানীর এভারকেয়ার হাসপাতাল থেকে গুলশানের ভাড়া বাসা ফিরোজায় ফেরেন তিনি।
দলের ভাইস চেয়ারম্যান ও খালেদা জিয়ার অন্যতম ব্যক্তিগত চিকিৎসক এ জেড এম জাহিদ হোসেন বলেন, ‘মেডিকেল বোর্ডের সিদ্ধান্তে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের ছাড়পত্র নিয়ে ম্যাডাম (খালেদা জিয়া) বাসায় পৌঁছেছেন। মেডিকেল বোর্ড হাসপাতাল থেকে ছুটি দিলেও বাসায় ম্যাডামের চিকিৎসা চলবে।’
বিকেল সাড়ে ছয়টায় খালেদা জিয়াকে নিয়ে ব্যক্তিগত গাড়ি হাসপাতাল থেকে বের হয়। তাঁর গাড়িকে ঘিরে বেশ কিছু নেতা-কর্মী ধীর গতিতে চলতে থাকে। এর মধ্যে বৃষ্টি নামলেও নেতা-কর্মীরা বৃষ্টিতে ভিজে খালেদা জিয়ার গাড়ির সঙ্গে থাকে পুরো পথ। সন্ধ্যা সাড়ে সাতটার দিকে খালেদা জিয়া বাসায় পৌঁছান।
খালেদা জিয়া ১২ জুন দিবাগত মধ্যরাতে অসুস্থ হয়ে পড়েন। এরপর তাঁকে এভারকেয়ার হাসপাতালে নেওয়া হয়। পাঁচ দিন পর আজ বাসায় ফিরছেন তিনি। ৭৮ বছর বয়সী সাবেক প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়া দীর্ঘদিন ধরে আর্থরাইটিস, ডায়াবেটিস, কিডনি জটিলতা, লিভারের রোগ, হৃদ্রোগে ভুগছেন।
চিকিৎসক এ জেড এম জাহিদ হোসেন বলেন, খালেদা জিয়া দীর্ঘদিন থেকে গুরুতর অসুস্থ। তিনি নানা জটিলতায় ভুগছেন। কয়দিন পরপর তাঁকে হাসপাতালে ভর্তি হতে হচ্ছে। তার মানে তিনি সুস্থ নন। বাসায় গেলেও তাঁর চিকিৎসা চলবে।
এর আগে গত ২৯ এপ্রিল স্বাস্থ্য পরীক্ষার জন্য খালেদা জিয়াকে এভারকেয়ার হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছিল। পাঁচ দিন হাসপাতালে রেখে তাঁর স্বাস্থ্যের বিভিন্ন পরীক্ষা করানো হয়। পরে বাসভবনে ফেরেন তিনি। গত বছরের জুন মাসে খালেদা জিয়ার এনজিওগ্রাম করা হলে তাঁর হৃদ্যন্ত্রে তিনটি ব্লক ধরা পড়ে। এর একটিতে রিং পরানো হয়।
খালেদা জিয়া দুর্নীতির মামলায় দণ্ডিত হয়ে ২০১৮ সালে কারাগারে গিয়েছিলেন। দেশে করোনা মহামারি শুরুর পর পরিবারের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে ২০২০ সালের ২৫ মার্চ তাঁকে নির্বাহী আদেশে ‘সাময়িক মুক্তি’ দেয় সরকার। এর পর থেকে তাঁর দণ্ডাদেশ স্থগিতের মেয়াদ ছয় মাস করে বাড়ানো হচ্ছে।