ফিলিস্তিনিদের প্রতি সংহতি জানিয়ে ক্লাস বর্জন করলে শিক্ষার্থীদের দুইদিন অনুপস্থিত দেখানোর হুমকি দিয়েছেন ড্যাফোডিল ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটির এক নারী প্রভাষক। বিষয়টি নিয়ে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে আলোচনার জন্ম দিয়েছে। যেখানে অনেকে তার সমালোচনা করেন। এ নিয়ে ভুল-বোঝাবুঝি হয়েছে বলে ফেসবুক পোস্টে তাহমিনা রহমান নামের ওই শিক্ষিকা দুঃখ প্রকাশ করেছেন এবং সকলের কাছে ক্ষমা চেয়েছেন।
রোববার (৬ এপ্রিল) দিবাগত রাতে এক ফেসবুক পোস্টের মাধ্যমে তিনি এ ক্ষমা চান।
পোস্টে তিনি উল্লেখ করেন, আমার কথার ভুল-বোঝাবুঝির কারণে যে গভীর কষ্ট ও বিভ্রান্তি সৃষ্টি হয়েছে, তার জন্য আমি গভীরভাবে দুঃখিত। আল্লাহ আমাকে ক্ষমা করুন। আমি কখনোই ফিলিস্তিন ও গাজার মজলুম মুসলিমদের উপর নিকৃষ্ট ইসরাইলের ঘৃণিত হত্যাযজ্ঞ সমর্থন করিনি, এখনো করিনা, কখনোই করবো না।
তিনি আরও বলেন, সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে যে স্ক্রিনশটগুলো ছড়িয়ে পড়েছে, তা তার প্রকৃত মনোভাবের প্রতিফলন নয়। তার কথাগুলো ভুলভাবে উপস্থাপিত হয়েছে বলে দাবি করেন তিনি।
তাহমিনা জানান, আমি নিঃসন্দেহে গাজা ও তার জনগণের পাশে আছি। তাদের ন্যায্য অধিকার, স্বাধীনতা এবং জীবনের নিরাপত্তার পক্ষে আমি সবসময়ই দৃঢ়ভাবে অবস্থান নিয়েছি ও ভবিষ্যতেও নেব।
তিনি তার ব্যাচের কিছু শিক্ষার্থীর সিদ্ধান্তকে শুরুতে একটি ছোট পরিসরের বিষয় বলে ভেবেছিলেন, যা পরবর্তীতে একটি বৈশ্বিক আন্দোলনের অংশ হিসেবে দেখা দেয়। তিনি স্বীকার করেন, বিষয়টি পুরোপুরি না বোঝার কারণে তার প্রতিক্রিয়া যথাযথ ছিল না এবং সে জন্য তিনি আন্তরিকভাবে দুঃখিত।
তার এই ব্যাখ্যা ও দুঃখ প্রকাশের মাধ্যমে তিনি নিজের অবস্থান স্পষ্ট করে জানান এবং বলেন, আমার শিক্ষার্থী, সহকর্মী, বন্ধু এবং যারা এই ঘটনায় কষ্ট পেয়েছেন, তাদের কাছে আমি আন্তরিকভাবে ক্ষমা প্রার্থনা করছি। আপনারা সবাই আমাকে ক্ষমা করে দেবেন।