ভারতের জাতীয় ক্রিকেট দলের হেড কোচসহ সাপোর্ট স্টাফদের নিয়োগে নতুন করে আবেদনপত্র চেয়ে বিজ্ঞপ্তি দিয়েছে দেশটির ক্রিকেট বোর্ড (বিসিসিআই)। আবেদনের শেষ তারিখ আগামীকাল। বড় কিছু নামের আবেদন এরই মধ্যে পড়েছে। সাক্ষাৎকার হবে ১৩-১৪ আগস্ট। সে জন্য ভারতের মেয়েদের দলের সাবেক অধিনায়ক শান্থা রাংগোস্বামী, সাবেক কোচ অংশুমান গায়কোয়াড় ও কিংবদন্তি অধিনায়ক কপিল দেবকে নিয়ে তিন সদস্যের প্যানেলও গঠিত হয়েছে।
বিশ্বকাপে ভারত সেমিফাইনালে বাদ পড়ার কারণেই শোনা যাচ্ছিল, কোচিংয়ে বদল আসছে। তবে আগামী শনিবার শুরু হতে যাওয়া ওয়েস্ট ইন্ডিজ সফরের শেষ পর্যন্ত ৪৫ দিনের জন্য শাস্ত্রী ও তাঁর সহকারীদের চুক্তি বাড়ায় বিসিসিআই। শাস্ত্রী ও তাঁর কোচিং স্টাফকেও আলাদা আলাদাভাবে নিজ নিজ পদের জন্য আবেদন করতে বলা হয় তখন। জন রাইটের সময় থেকে কোচ তাঁর পছন্দ অনুযায়ী সহকারী বেছে নিতে পারলেও এবার বিসিসিআই উল্টো পথে হাঁটছে। প্রতিটি পদের জন্য আলাদা আলাদাভাবে নির্বাচনটা তারাই করবে।
শাস্ত্রী ও তাঁর সহকারীরা তো আবেদন করেছেনই, পাশাপাশি সাবেক অলরাউন্ডার রবিন সিং, নিউজিল্যান্ড কোচ মাইক হেসন, আইপিএলের দল সানরাইজার্স হায়দরাবাদের অস্ট্রেলিয়ান কোচ টম মুডি, পাকিস্তানের দক্ষিণ আফ্রিকান কোচ মিকি আর্থার ও সাবেক শ্রীলঙ্কান অধিনায়ক মাহেলা জয়াবর্ধনেও আবেদন করেছেন বলে শোনা যাচ্ছে। কিন্তু তাঁদের আশা হয়তো পূরণ হচ্ছে না। শাস্ত্রী থাকছেন বলেই শোনা যাচ্ছে, যশপ্রীত বুমরা-ভুবনেশ্বর কুমারদের নিয়ে দারুণ কাজ করার পুরস্কার হিসেবে বোলিং কোচ ভরত অরুণের চুক্তিও নবায়ন হওয়ার কথা। তবে বিশ্বকাপজুড়ে ভঙ্গুর মিডল অর্ডারের দায় নিয়ে ব্যাটিং কোচ সঞ্জয় বাঙ্গারকে সরে যেতে হচ্ছে, তা প্রায় নিশ্চিত।
ফিল্ডিং কোচের জন্য আবেদন করেছেন দক্ষিণ আফ্রিকান ফিল্ডিং কিংবদন্তি জন্টি রোডস, চাকরিটা তাঁরই পাওয়ার সম্ভাবনা বেশি। শাস্ত্রী এর আগেরবার কোচ হওয়ার পেছনে অধিনায়ক বিরাট কোহলির অনেক বড় ভূমিকা ছিল, কিন্তু এবার তা আর থাকছে না।