কোরিয়ার মুখোমুখি হওয়ার আগে চুলের রং পাল্টালেন নেইমার

0
217
স্যালুনে নিজের হেয়ার স্টাইলিস্ট নারিকোর সঙ্গে নেইমার ইনস্টাগ্রাম

কাতার বিশ্বকাপে মাঠে নামার আগে চুলে নতুন ছাঁট দিয়েছিলেন নেইমার। সার্বিয়ার বিপক্ষে ম্যাচে তাঁকে সেই ছাঁটে মাঠেও দেখা গেছে। কিন্তু সে ম্যাচেই অ্যাঙ্কেলের চোটে পড়ায় গ্রুপ পর্বের বাকি দুই ম্যাচ খেলতে পারেননি। শেষ ষোলোয় ফেরার আগে নিজের হেয়ার স্টাইলিস্ট নারিকোর শরণাপন্ন হয়েছেন নেইমার। এবার পাল্টেছেন চুলের রং।

ব্রাজিলের সংবাদমাধ্যম গ্লোবো জানিয়েছে, চুলে ‘প্লাটিনাম’ রং করেছেন নেইমার। তাঁর এই নতুন ‘লুক’-এর ছবি ইনস্টাগ্রামে পোস্ট করেছেন নারিকো। নেইমারের বহু বছরের ব্যক্তিগত এই হেয়ার স্টাইলিস্ট ইনস্টাগ্রামে নেইমার ও তাঁর ছবি পোস্ট করে লিখেছেন, ‘ফেরার জন্য নতুন লুক। সৃষ্টিকর্তা তোমার এবং দলের প্রতি সহায় হোন।’

ব্রাজিলের কোচ তিতে কাল সংবাদ সম্মেলনে নেইমারের খেলার কথা জানান, ‘নেইমার আজ দলের সঙ্গে অনুশীলন করবে। কোনো সমস্যা না হলে, ভালোমতো অনুশীলন করতে পারলে কাল সে খেলবে।’ ব্রাজিল দলের অধিনায়ক থিয়াগো সিলভাও সংবাদ সম্মেলনে নেইমারের খেলার সম্ভাবনার প্রশ্নে ‘হ্যাঁ’ বলেন।

কাতার বিশ্বকাপে আসার আগে তুরিনে অনুশীলন ক্যাম্পে চুলে নতুন ছাঁট দিয়েছিলেন নেইমার-ভিনিসিয়ুসরা। সম্ভবত সেই ছাঁটেও সন্তুষ্ট হতে না পেরে সার্বিয়ার বিপক্ষে মাঠে নামার আগে আবারও যান হেয়ার স্টাইলিস্টের কাছে। নেইমার এবার কী কারণে চুলের রং পরিবর্তন করলেন, তা অবশ্য জানা যায়নি। তবে গুরুত্বপূর্ণ ম্যাচের আগে একটু ফ্যাশনে মনোযোগ দেওয়ার অন্য অর্থও থাকতে পারে। নেইমার হয়তো নিজের ওপর থেকে চাপটা কমাতে চাইছেন। নকআউট ম্যাচে নামার আগে হয়তো যতটা সম্ভব ফুরফুরে মেজাজে থাকতে চান।

অনুশীলনে ফুরফুরে মেজাজে নেইমার

অনুশীলনে ফুরফুরে মেজাজে নেইমার
টুইটার

নারিকো ২০১৫ সাল থেকে নেইমারের ব্যক্তিগত হেয়ার স্টাইলিস্ট। ভিনিসিয়ুস, রদ্রিগো, লুকাস পাকেতারাও মাঝেমধ্যে তাঁর কাছে যান। গত বিশ্বকাপেও তাঁকে নিয়ে রাশিয়ায় গিয়েছিলেন নেইমার। রাশিয়া বিশ্বকাপে দুই সপ্তাহের মধ্যে চারবার চুলের ছাঁট ও রং পাল্টে আলোচনার পাশাপাশি সমালোচিতও হয়েছিলেন ব্রাজিলের এই তারকা। প্রথমে লম্বা সোনালি চুল নিয়ে হাজির হয়েছিলেন, সেটা ‘নুডলস’ নামে পরিচিতি পেয়েছিল।

নেইমারের চুলের এই ডিজাইন ‘নুডলস’ নামে পরিচিতি পেয়েছিল

নেইমারের চুলের এই ডিজাইন ‘নুডলস’ নামে পরিচিতি পেয়েছিল
টুইটার

তখন টুইটারে একটি মন্তব্য বেশ আলোচিত হয়েছিল। এক ফুটবলপ্রেমী লিখেছিলেন, ‘দেখে মনে হচ্ছে, (নেইমারের) মাথার ওপর এক বাটি পাস্তা সাজিয়ে রাখা হয়েছে।’ পরে সেই চুল একটু ছোট করেন, তারপর চুলে হালকা সোনালি ঘাসের রং নিয়ে আসেন নেইমার। এরপর শেষ ষোলোয় মেক্সিকো ম্যাচের আগে সোনালি রংটা ঢেকে দেন কালো রঙে।

রাশিয়ায় শেষ ষোলোর সেই ম্যাচ ২-০ গোলে জিতেছিল ব্রাজিল। এবারও সেই একই মঞ্চে মাঠে নামার আগে চুলের রং পাল্টালেন নেইমার। ফলটাও কি অনুকূলে আসবে? কে জানে!

একটি উত্তর ত্যাগ

আপনার মন্তব্য লিখুন দয়া করে!
এখানে আপনার নাম লিখুন দয়া করে

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.