কোটা নিয়ে শিক্ষার্থীদের আন্দোলন এবং পেনশন স্কিম নিয়ে শিক্ষকদের আন্দোলন সরকার গভীরভাবে পর্যবেক্ষণ করছে বলে জানিয়েছেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের।
রোববার (৭ জুলাই) সচিবালয়ে সড়ক পরিবহন ও মহাসড়ক বিভাগের কর্মকর্তা-কর্মচারীদের শুদ্ধাচার পুরস্কার অনুষ্ঠানে তিনি এ কথা বলেন।
কাদের আরও বলেন, কোটা নিয়ে সরকার কোনো সিদ্ধান্ত দেয়নি, আদালত রায় দিয়েছে। এটা আদালতের এখতিয়ার। তারপরও আমারা বিষয়টি পর্যবেক্ষণ করছি। দুটি আন্দোলনই সময়মতো সমাধান হয়ে যাবে বলে আমি বিশ্বাস করি।
এ সময় রাজনৈতিক তদবিরে কাউকে বদলি করা যাবে না জানিয়ে তিনি বলেন, আগে বিআরটিএতে প্রচুর লেনদেন হতো। তার বিনিময়ে কর্মকর্তাদের বদলির কাজ চলতো। সেটি অনেকাংশে বন্ধ হয়েছে।
আওয়ামী লীগের এই নেতা বলেন, মন্ত্রী, সচিব ও কর্মকর্তারা সৎ থাকলে দুর্নীতি হওয়ার কোনো সুযোগ থাকবে না। দুর্নীতি এখন বেপরোয়া গতিতে বিস্তার লাভ করছে। কিন্তু অনেক পরে ধরা পড়ে।
কাদের বলেন, দেশের অর্থনৈতিক সম্পদ মাথায় রেখে সমস্ত প্রকল্প বাস্তবায়নের পরিকল্পনা নিতে হবে। আমরা কোনো অবস্থাতেই শ্রীলঙ্কার দৃষ্টান্তের পুনরাবৃত্তি চাই না।
তিনি বলেন, ভালো কাজের যেমন পুরস্কার, তেমনি খারাপ কাজের জন্যও নিন্দা শাস্তির ব্যবস্থা থাকা দরকার।
পদ্মা সেতু প্রসঙ্গে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন, পদ্মা সেতুতে এক হাজার ৮৩৫ কোটি টাকা সাশ্রয় করা হয়েছে। মেঘনা গোমতীসহ তিন সেতুতে এক হাজার ১০০ কোটি টাকা সেভ করা হয়েছে। সরকার মেগা দুর্নীতি করে না, মেগা সেভ করে।