গোপনকক্ষ থেকে ব্যালট ইউনিট প্যানেলটি নিয়ে যাওয়ার সময় সহকারী প্রিজাইডিং কর্মকর্তা হারুনুর রশিদ সেখানে ছিলেন। তাঁরা এ সময় মৃদু প্রতিবাদ করলেও তা শোনেননি ওই যুবলীগের নেতা। এরপর সাংবাদিকেরা তাঁর পিছু নিলে ইউনিটটি নিয়ে তিনি ক্যাম্পে চলে যান। এরপর ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি রতন চৌধুরী ওই যুবলীগ নেতার কাছ থেকে ইউনিটটি নিজের হেফাজতে নিয়ে ফেলেন। পরে তিনি ইভিএম ব্যালট প্যানেলটি নিয়ে কেন্দ্রে ফেরত দিয়ে আসেন। কেন্দ্রটিতে নৌকা ছাড়া অন্য দুই প্রার্থীর কোনো এজেন্ট ছিল না।
পরে তা প্রিজাইডিং কর্মকর্তাকে বুঝিয়ে দেন ভোটগ্রহণকারী কর্মকর্তারা। এ বিষয়ে জানতে চাইলে কেন্দ্রটির প্রিজাইডিং কর্মকর্তা সজল দাশ বলেন, কীভাবে ভোট দেবে, তা দেখিয়ে দেওয়ার জন্য এই প্যানেল রাখা হয়েছিল। এটি একটা নমুনা প্যানেল।
বাইরে নিয়ে যাওয়ার ছবিসহ দেখানো হলে সজল দাশ বলেন, ‘কীভাবে বাইরে গেল আমার জানা নেই। এটা বাইরে নিয়ে যাওয়া অপরাধ। আমি বিষয়টি খতিয়ে দেখছি।’
পরে ৫ নম্বর কক্ষে গিয়ে সজল দাশ কীভাবে প্যানেলটি বাইরে গেল ভোটগ্রহণকারী কর্মকর্তাদের কাছে কৈফিয়ত তলব করেন। তখন ভোটগ্রহণকারী কর্মকর্তারা বলেন, জোরপূবর্ক এটা নিয়ে চলে যান একজন।
কেন্দ্র থেকে বের হওয়ার সময় নির্মলেন্দু দে ও রতন চৌধুরী বিদ্যালয়ের প্রধান ফটকে দাঁড়িয়ে ছিলেন। এ বিষয়ে কিছু না লেখার অনুরোধ করেন তাঁরা। জানতে চাইলে রতন চৌধুরী বলেন, ‘ওটা ভোটারদের দেখিয়ে দেওয়ার জন্য ভুল করে সুমন নিয়ে আসেন। আমি বিষয়টি জানতে পেরে সঙ্গে সঙ্গে তা ফেরত দিয়ে আসি।’
নির্মলেন্দু দে বলেন, ‘এটা আমি ভোটারদের দেখিয়ে দেওয়ার জন্য এনেছিলাম। এটা নিয়ে লেখালেখির কী দরকার।’
ভোটকেন্দ্রে কাকপক্ষীও নেই
এর আগে একই কেন্দ্রের ৪ নম্বর কক্ষে দেখা গেছে, আওয়ামী লীগ নেতা মাহবুবুল আলম গোপন কক্ষে ভোটারদের সঙ্গে ঢুকে বাটন টিপে দিচ্ছেন। ছবি তোলার সঙ্গে সঙ্গে তিনি বের হয়ে যান। এরপর তিনি কেন্দ্র থেকে বের হয়ে যান।
জানতে চাইলে রিটার্নিং কর্মকর্তা ও জেলা নির্বাচন কর্মকর্তা জাহাঙ্গীর হোসাইন বলেন, ব্যালট ইউনিট বাইরে নিয়ে যাওয়ার সুযোগ নেই। এ বিষয়ে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
উল্লেখ্য উপনির্বাচনে রেজাউল করিমের পাশাপাশি অপর দুই স্বতন্ত্র প্রার্থী হলেন—শাহজাদা এস এম মিজানুর রহমান ও কাজী আয়েশা ফারজানা। শেষ দুজনের প্রতীক যথাক্রমে আনারস ও দোয়াত কলম।