বুন্দেসলিগায় হ্যারি কেইনের গোলের ধারা যেন থামছেই না। ইংল্যান্ড অধিনায়ক শুধু গোলই করছেন না, ভাঙছেন একের পর এক রেকর্ডও। সর্বশেষ কোলনের বিপক্ষে বায়ার্ন মিউনিখের জয়ে একমাত্র গোলটিও করেছেন কেইন। আর এই গোলে দলকে শীর্ষে তোলার সঙ্গে নতুন আরেকটি রেকর্ডও গড়েছেন কেইন।
এর আগে লিগের সর্বশেষ ম্যাচে হেইডেনহেইমের বিপক্ষে জোড়া গোল করেছিলেন কেইন। সেই দুই গোলের পর ১১ লিগ ম্যাচে তাঁর গোলসংখ্যা হয় ১৭, যা কিনা ১১ ম্যাচ শেষে বুন্দেসলিগার ইতিহাসে সর্বোচ্চ গোল ছিল। ২০১৯ সালে ১১ ম্যাচে ১৬ গোল করেছিলেন বায়ার্ন মিউনিখের সাবেক স্ট্রাইকার রবার্ট লেভানডফস্কি। সেদিন লেভার সেই রেকর্ডকে ছাড়িয়ে যান সাবেক টটেনহাম তারকা।
সে ম্যাচের পর কাল রাতে কোলনের বিপক্ষে করা গোলটি ছিল ১২ ম্যাচে কেইনের ১৮তম। ম্যাচের ২০ মিনিটের সময় গোললাইন থেকে কোলনের এক ডিফেন্ডার এরিক ম্যাক্সিম চুপো–মোটিংয়ের শট ফিরিয়ে দেওয়ার পর কাছাকাছি জায়গা থেকে গোল করেন কেইন। এ গোলে নতুন আরেকটি রেকর্ড গড়েছেন ইংলিশ স্ট্রাইকার।
বুন্দেসলিগায় এক মৌসুমে ১৮ গোল করা প্রথম ইংলিশ খেলোয়াড়ও এখন কেইন। এর আগে ১৭ গোল করে যৌথভাবে ইংলিশ খেলোয়াড়দের মধ্যে শীর্ষে ছিলেন জাদন সানচো (বরুসিয়া ডর্টমুন্ড, ২০১৯–২০) ও কেভিন কেগান (হামবুর্গ, ১৯৭৮–৭৯)। এই দুজনকে ছাড়িয়ে এখন এককভাবে শীর্ষে উঠলেন কেইন। এ তালিকার তিনে আছেন টনি উডকক (কোলন ১৯৮১–৮২)।
রেকর্ড গড়া গোলে দলকে জিতিয়ে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে পোস্ট দিয়েছেন কেইন। দলের জয়ে উচ্ছ্বসিত কেইন লিখেছেন, ‘প্রতিপক্ষের মাঠে দারুণ একটি জয়। ম্যাচজুড়েই আমাদের আধিপত্য ছিল। এটা ধরে রাখতে হবে।’
কেইনের রেকর্ড গড়া গোলে পাওয়া জয়ে আপাতত পয়েন্ট তালিকার শীর্ষেও উঠে এসেছে বায়ার্ন। ১২ ম্যাচে ১০ জয় ও ২ ড্রয়ে দলটির পয়েন্ট এখন ৩২। এক ম্যাচ কম খেলে ১০ জয় ও ১ ড্রয়ে ৩১ পয়েন্ট নিয়ে দ্বিতীয় স্থানে বায়ার লেভারকুসেন। তবে আজ রাতের ম্যাচে ভের্ডার ব্রেমেনকে হারাতে পারলে আবার শীর্ষে উঠে আসবে জাবি আলোনসোর লেভারকুসেন
একই রাতে ফরাসি লিগ ‘আঁ’তে পিএসজির বড় জয়ে গোল পেয়েছেন কিলিয়ান এমবাপ্পে। প্যারিসে নিজেদের মাঠে মোনাকোর বিপক্ষে পিএসজি জিতেছে ৫–২ গোলে। এদিন ম্যাচের ১৮ মিনিটে পিএসজিকে এগিয়ে দেন গনসালো রামোস। ২২ মিনিটে তাকুমি মিনামিনোর গোলে ম্যাচে সমতা ফেরায় মোনাকো। ৩৯ মিনিটে পেনাল্টি গোলে দলকে ২–১ গোলে এগিয়ে দেন এমবাপ্পে। এরপর ৭০ মিনিটে প্যারিসের দলটিকে তৃতীয় গোল এনে দেন উসমান দেম্বেলে। দুই মিনিট পর পিএসজির চতুর্থ গোলটি করেন ভিতিনিয়া।
৫ মিনিট পর ফ্লোরিয়ান বালোগুনের গোলে ব্যবধান কমায় মোনাকো। যোগ করা সময়ে রানদাল কোলো মুয়ানি স্কোরলাইন ৫–২ করে ম্যাচের ইতি টানেন। এ জয়ে ১৩ ম্যাচে ৩০ পয়েন্ট নিয়ে শীর্ষস্থান দৃঢ় করল পিএসজি। দ্বিতীয় স্থানে থাকা নিসের পয়েন্ট ১২ ম্যাচে ২৬।
এ জয়ে চ্যাম্পিয়নস লিগে নিউক্যাসলের বিপক্ষে পরের ম্যাচের প্রস্তুতিও সেরে নিল পিএসজি। ম্যাচ শেষে পিএসজি কোচ লুইস এনরিকে বলেছেন, ‘আন্তর্জাতিক বিরতির পর খেলাটা সব সময় কঠিন। কিন্তু আমাকে বলতেই হবে, খেলোয়াড়েরা যে চেষ্টা দেখিয়েছেন, তা দারুণ। লিগের অন্যতম সেরা দলটির বিপক্ষে এই ফল খুবই ভালো। আমরা এখন মঙ্গলবার রাতের ম্যাচের অপেক্ষায় আছি।’