প্রেসিডেন্ট হলে শত্রুদের এক পয়সাও সহায়তা দেব না: নিকি হ্যালি

0
111
নিকি হ্যালি, ছবি: রয়টার্স ফাইল ছবি

নিউইয়র্ক পোস্টে প্রকাশিত প্রতিবেদনে হ্যালি লিখেছেন, গত বছর যুক্তরাষ্ট্র বিদেশি সহায়তা বাবদ ৪ হাজার ৬০০ কোটি ডলার খরচ করেছে, যা অন্য সব দেশের তুলনায় বেশি। দেশের অর্থ কোথায় যাচ্ছে, তা করদাতাদের জানার অধিকার আছে বলে উল্লেখ করেন হ্যালি। তিনি বলেন, ‘বেশির ভাগ অর্থ যুক্তরাষ্ট্রবিরোধী দেশগুলোর কাছে যাচ্ছে জানতে পারলে তারা (দেশের করদাতারা) আঁতকে উঠবে।’

প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হলে সহায়তা বন্ধ করে দেওয়ার অঙ্গীকার করে হ্যালি বলেন, ‘যুক্তরাষ্ট্রবিদ্বেষী দেশগুলোকে সহায়তা বাবদ আমি এক পয়সাও দেব না। বলিষ্ঠ যুক্তরাষ্ট্র খারাপ লোকদের সহায়তা দেয় না। গৌরবান্বিত যুক্তরাষ্ট্র তাদের জনগণের কষ্টে উপার্জিত অর্থ নষ্ট হতে দেয় না। সেই নেতারাই আমাদের আস্থা অর্জন করতে পারে, যারা শত্রুর বিরুদ্ধে বুক চিতিয়ে দাঁড়ায় এবং বন্ধুদের পাশে থাকে।’

হ্যালি বলেছেন, শুধু বর্তমান মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনই নন, ডেমোক্র্যাট-রিপাবলিকান দুই দলের নির্বাচিত প্রেসিডেন্টরাই দশকের পর দশক ধরে শত্রুদেশগুলোকে সহায়তা দিয়ে আসছেন।

শত্রুদেশগুলোকে যুক্তরাষ্ট্রের সহায়তা দেওয়ার কয়েকটি দৃষ্টান্তও উল্লেখ করেছেন এ রিপাবলিকান নেতা। মন্তব্য প্রতিবেদনে তিনি লিখেছেন, গত কয়েক বছরে যুক্তরাষ্ট্র ইরানকে ২০০ কোটি ডলারের বেশি সহায়তা দিয়েছে। অথচ যুক্তরাষ্ট্রের পতন চাওয়া গোষ্ঠীগুলোর সঙ্গে ক্রমাগত ইরান সরকারের ঘনিষ্ঠতা বাড়ছে।

বাইডেন প্রশাসন নতুন করে পাকিস্তানে সামরিক সহায়তা দেওয়া শুরু করেছে। অথচ দেশটিতে কমপক্ষে ১২টি সন্ত্রাসী সংগঠনের আস্তানা আছে। তা ছাড়া দেশটির সরকার চীনের প্রতি অত্যন্ত অনুগত।

হ্যালি আরও বলেন, যুক্তরাষ্ট্র জিম্বাবুয়েকে লাখো ডলার সহায়তা দিয়েছে। অথচ জাতিসংঘের ভোটাভুটিতে বেশির ভাগ সময় যুক্তরাষ্ট্রের বিপক্ষে ভোট দেওয়া দেশগুলোর একটি এটি।

এ রিপাবলিকান নেতার দাবি যুক্তরাষ্ট্রে শক্তি, জাতীয় গৌরব পুনঃপ্রতিষ্ঠা ও জনগণের আস্থা অর্জনের জন্য তিনি প্রেসিডেন্ট পদে লড়ছেন।

একটি উত্তর ত্যাগ

আপনার মন্তব্য লিখুন দয়া করে!
এখানে আপনার নাম লিখুন দয়া করে

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.