বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার (ডব্লিউএইচও) ক্যান্সার গবেষণা বিভাগ ঘোষণা দিয়ে কৃত্রিম চিনি অ্যাস্পার্টামকে ‘সম্ভাব্য কার্সিনোজেন’ বা ক্যান্সারের কারণ হিসেবে আখ্যায়িত করেছে। যদিও এখন পর্যন্ত মানবদেহের জন্য অ্যাস্পার্টাম গ্রহণের দৈনিক সহনশীল পরিমাণ অপরিবর্তিত রেখেছে ডব্লিউএইচও। খবর: ওয়াশিংটন পোস্টের
ডায়েট কোক, টুথপেস্ট, ফলের নির্যাস সমৃদ্ধ কম ক্যালরির দই ও কাশির ড্রপসহ অনেক দৈনন্দিন পণ্যে ব্যবহার হয় এই অ্যাস্পার্টাম। খাদ্যে যেসব অ্যাডিটিভ ব্যবহার হয় তার মধ্যে অ্যাস্পার্টাম সবচেয়ে বেশি গবেষণা হওয়া একটি বিষয়।
ডব্লিউএইচও’র ক্যান্সার গবেষণা প্রতিষ্ঠান ইন্টারন্যাশনাল এজেন্সি ফর রিসার্চ অন ক্যান্সার (আইএআরসি) বলছে, সাম্প্রতিক গবেষণায় প্রতীয়মান হয়েছে, অ্যাস্পার্টাম সম্ভাব্য লিভার ক্যান্সারের বড় ঝুঁকি তৈরি করতে পারে।
ডব্লিউএইচও’র অপর প্রতিষ্ঠান জয়েন্ট এক্সপার্ট কমিটি অন ফুড অ্যাডিটিভস এই দাবি মানতে নারাজ। তারা বলছে, ক্ষতি ছাড়াই একজন মানুষ দিনে কতটুকু অ্যাস্পার্টাম গ্রহণ করতে পারে তার যে নীতিমালা নির্দেশনা রয়েছে তা পরিবর্তন করবে না তারা।
৯০টির বেশি দেশে অ্যাস্পার্টামের ব্যবহার বৈধ এবং যুক্তরাষ্ট্রের ফুড অ্যান্ড ড্রাগ অ্যাডমিনিস্ট্রেশন (এফডিএ) ১৯৮১ সালে এর অনুমোদন দিয়েছে। এ পর্যন্ত পাঁচবার অ্যাস্পার্টাম গ্রহণ স্বাস্থ্যের জন্য নিরাপদ কিনা তা পরীক্ষা করেছে এফডিএ।
এত এত পরীক্ষা-নিরীক্ষার পরও দীর্ঘদিন ধরে এর সম্ভাব্য ক্যান্সার ঝুঁকি নিয়ে উদ্বেগ রয়েই গেছে। অনেক দেশের সরকারি সংস্থা অবশ্য এর ব্যবহার থেকে বিরত থাকছে।