কাশ্মীরে ১৪৪ ধারা ভেঙে বিক্ষোভ করার সময় পুলিশের সঙ্গে সংঘর্ষে কমপক্ষে ছয়জন নিহত হয়েছেন। এসময় আহত হয়েছেন আরও শতাধিক।
বিভিন্ন সংবাদমাধ্যমের বরাত দিয়ে বুধবার জিও টিভি অনলাইন এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানিয়েছে।
নিহতদের মধ্যে একজন পুলিশের ধাওয়া খেয়ে নদীতে ঝাঁপ দেয়। পরে তার লাশ উদ্ধার করা হয় বলে পুলিশের এক কর্মকর্তা জানিয়েছেন।
শ্রীনগর, পুলওয়ামা, বারমুল্লাসহ বিভিন্ন শহরে বিক্ষোভকারীদের ভারতীয় সেনাবাহিনী গুলি ও কাঁদানে গ্যাস ছুড়েছে।
উপত্যকার সমস্ত যোগাযোগ ব্যবস্থা বন্ধ রয়েছে। শহর ও গ্রামগুলোর আশপাশে কাঁটাতারের বেড়া দেখা গেছে।
বিক্ষোভ ছড়িয়ে পড়ার আশঙ্কায় পুরো অঞ্চলে টিভি চ্যানেল, ফোন সংযোগ এবং ইন্টারনেট সংযোগ বন্ধ করে রাখা হয়েছে।
সোমবার ভারতীয় সংবিধানের ৩৭০ নম্বর অনুচ্ছেদে কাশ্মিরকে যে স্বায়ত্তশাসিত রাজ্যের মর্যাদা দেওয়া হয়েছিল সেটি বাতিলের ঘোষণা দেন দেশটির স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ। একইসঙ্গে কাশ্মীর থেকে ভেঙে লাদাখকে আলাদা করার ঘোষণাও দেন তিনি।
গত সপ্তাহ থেকেই জম্মু-কাশ্মীরে অতিরিক্ত আধা সেনা মোতায়েন করা হয়েছে। শুক্রবার সরকারের পক্ষ থেকে জানিয়ে দেওয়া হয়, অমরনাথের তীর্থযাত্রী ও পর্যটকদের দ্রুত রাজ্য ছেড়ে চলে যেতে হবে। ওই ঘোষণার পরেই আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে রাজ্যে।
সোমবার রাতে পার্লামেন্টের উচ্চকক্ষ রাজ্যসভায় বিল পাসের পর জম্মু-কাশ্মীরের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী মহেবুবা মুফতি ও ওমর আবদুল্লাকে গ্রেফতার করা হয়। উপত্যকার বেশ কিছু এলাকায় জারি করা হয়েছে ১৪৪ ধারা।