নতুন প্রতিনিয়ত পুরোনোর জায়গা দখল করে নিচ্ছে। সেই নতুনকে যদি আপনি গ্রহণ করে নিতে না পারেন, তাহলে অন্য কেউ আপনার জায়গা দখল করে নেবে। এটাই প্রকৃতির নিয়ম। এখন যুগটা প্রযুক্তির জয়গানের। ইন্টারনেট মাধ্যমে তাই বলা হচ্ছে ইন্টারনেট–বিশ্ব। এ কারণেই টিকে থাকার তাগিদে অনলাইন মাধ্যমনির্ভর কনটেন্ট তৈরির দিকে ঝুঁকেছেন নির্মাতা, শিল্পী ও কলাকুশলীরা।
প্রতিনিয়ত নতুন নতুন ওয়েব সিরিজ জনপ্রিয়তায় ছাড়িয়ে যাচ্ছে আগের ওয়েব সিরিজকে। অর্থাৎ মানুষ ক্রমেই ঝুঁকছে ওয়েব সিরিজের দিকে। সেই নিয়ম মেনে টিকে থাকতে অনেক বড় বড় তারকা নাম লিখিয়েছেন ওয়েব সিরিজে। কারিশমা কাপুর, জ্যাকুলিন ফার্নান্দেজদের পর এবার সেই তালিকার নতুন সংযোজন ৪৪ বছর বয়সী রাভিনা টেন্ডন।

রাভিনা টেন্ডনের সেই ভক্তদের জন্য সুখবর, অনলাইন প্ল্যাটফর্মকে যাঁরা বিনোদনের অন্যতম উৎস হিসেবে বেছে নিয়েছেন। বলিউড হাঙ্গামার প্রতিবেদন অনুযায়ী, এক সূত্র রাভিনার ওয়েব সিরিজের সঙ্গে সংশ্লিষ্টতা নিশ্চিত করে জানিয়েছে, ‘রাভিনা টেন্ডন বর্তমানে “নাচ বালিয়ে সিজন ৯”–এর বিচারকের দায়িত্ব পালন করছেন। রাভিনা টেন্ডন অভিনীত এই ওয়েব সিরিজ থ্রিলার নাকি ড্রামা, তা এখনো নিশ্চিত করে জানা যায়নি। তবে অনলাইন প্ল্যাটফর্মকে রাভিনা একটা বড় সুযোগ হিসেবেই দেখছেন। শোনা যাচ্ছে, শুধু অভিনয়ই নয়, প্রযোজনার সঙ্গেও যুক্ত থাকবেন তিনি। তবে বিষয়টি এখনো নিশ্চিত নয়।’
রাভিনা টেন্ডন নাচের যে রিয়েলিটি শোয়ের বিচারকের দায়িত্ব পালন করছেন অর্থাৎ নাচ বালিয়ে সিজন ৯–এর প্রযোজনার সঙ্গে যুক্ত আছেন বলিউডের ভাইজান সালমান খান। আর এই গুণী অভিনয়শিল্পীর সর্বশেষ ছবি ‘মাতৃ: দ্য মাদার’ মুক্তি পায় ২০১৭ সালের ২১ এপ্রিল। এই ছবিতে ধর্ষিত কন্যার মায়ের ভূমিকায় রাভিনাকে দেখা যায় প্রতিশোধ নিতে।

তবে এরপরও বড় পর্দায় দেখা গেছে রাভিনা টেন্ডনকে। সোনাক্ষী সিনহা অভিনীত ‘খানদানি সাফাখানা’ ছবির ‘শহর কি লাড়কি’ গানে সুনীল শেঠির সঙ্গে খুব অল্প সময়ের জন্য নেচেগেয়ে নিজের ঝলক দেখিয়েছেন তিনি। সুপারডুপার হিট ‘তু চিজ বারি হ্যায় মাস্ত মাস্ত’ গানে নেচে দারুণ জনপ্রিয়তা পেয়েছিলেন রাভিনা। ‘টিপ টিপ বরসা পানি’র মতো বৃষ্টি ভেজা গানেও তিনি উত্তাপ ছড়িয়েছিলেন একসময়ে। তিনি অভিনয় জীবন শুরু করেন ‘পাত্থর কে ফুল দিয়ে’ এবং এ অভিনয়ের জন্য ফিল্মফেয়ার পুরস্কার অর্জন করেন। ১৯৯০-এর দশকে তিনি বেশ কয়েকটি বাণিজ্যিকভাবে সফল চলচ্চিত্রে অভিনয় করেন—যার মধ্যে ‘দিলওয়ালে’, ‘মোহরা’, ‘খিলাড়িও কা খিলাড়ি’ ও ‘জিদ্দি’ অন্যতম। তিনি ১৯৭৪ সালের ২৬ অক্টোবর জন্মগ্রহণ করেন।