কারাদণ্ডের রায়ের পর মহাত্মা গান্ধীকে উদ্ধৃতি করে কংগ্রেস নেতা রাহুল গান্ধী টুইটারে লিখেছেন, ‘আমার ধর্ম সত্য ও অহিংসার ওপর প্রতিষ্ঠিত। সত্য আমার ঈশ্বর, অহিংসা তা পাওয়ার মাধ্যম।’
ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির পদবি নিয়ে আপত্তিকর মন্তব্যের জেরে মানহানি মামলায় রাহুল গান্ধীকে দোষী সাব্যস্ত করেন গুজরাটের একটি আদালত। ওই মামলায় তাকে আজ বৃহস্পতিবার দুই বছরের কারাদণ্ড দেন আদালত। রায়ের পর রাহুল গান্ধী এই টুইট করেন।।
তার বোন কংগ্রেস নেত্রী প্রিয়াঙ্কা গান্ধী টুইটে লিখেছেন, ‘ভীত শাসকরা রাহুল গান্ধীর কণ্ঠ রোধ করতে চাইছে। তবে আমার ভাই কখনো ভয় পায়নি, কখনো ভীত হবেও না। সে সত্য কথা বলতে থাকবে। সত্যের শক্তি ও কোটি দেশবাসীর ভালোবাসা তার সঙ্গে আছে।’
কারাদণ্ডের রায় ঘোষণা করলেও আদালত রাহুল গান্ধীর ৩০ দিনের জামিনের আবেদন মঞ্জুর করেছেন। আপিল করার সুযোগও দেওয়া হয়েছে।
ভারতের জনপ্রতিনিধিত্ব আইন অনুযায়ী দুই বছর বা তার বেশি মেয়াদের কারাদণ্ড হলে সাংসদ-বিধায়কদের পদ খারিজ হতে পারে। ফলে রাহুলের সে আশঙ্কা রয়েছে।
রাহুলের মন্তব্যে কারও (নরেন্দ্র মোদির) ক্ষতি হয়নি বলে আদালতে দাবি করেছেন আইনজীবী কিরীট পানওয়ালা। তিনি জানান, বিচারক এইচএইচ বর্মার আদালতে সাজা কমানোর আবেদন জানানো হয়েছে।
২০১৯ সালের লোকসভা ভোটে কর্নাটকে প্রচারে গিয়ে রাহুল প্রশ্ন তুলেছিলেন, ‘‘সব চোরের পদবি ‘মোদি’ হয় কেন?’’ আইপিএল কেলেঙ্কারিতে অভিযুক্ত ললিত মোদি, ব্যাঙ্ক-ঋণ মামলায় ‘পলাতক’ নীরব মোদির সঙ্গে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির তুলনা টেনেছিলেন তিনি। ওই ঘটনায় রাহুলের বিরুদ্ধে ‘পদবি অবমাননার’ অভিযোগে মানহানির মামলা করেছিলেন গুজরাটের বিজেপি নেতা পূর্ণেশ মোদি। সেই মামলাতেই দোষী সাব্যস্ত হলেন রাহুল। সেই সঙ্গে দেখা দিল ওয়েনাড়ের কংগ্রেস সাংসদের পদ খারিজের সম্ভাবনাও।
মামলার রায়কে কেন্দ্র করে রাহুল গান্ধী আজ সকালে গুজরাটের সুরাতে গিয়ে পৌঁছান। সেখানে রাজ্যের নেতারা তাকে স্বাগত জানান। সে সময় নেতাকর্মীরা স্লোগান দেন, ‘বিজেপির একনায়কের কাছে কংগ্রেস কখনো মাথা নত করবে না।’