দেশে কবে ফিরলেন?
বুধবার সন্ধ্যায়। ১৩ আগস্ট মালদ্বীপে গিয়েছিলাম। মাত্র চার দিন ছিলাম। যে দ্বীপে গিয়েছিলাম, সেটা মালে থেকে ৪০ মিনিটের স্পিডবোটের পথ। একটা প্রাইভেট রিসোর্টে ছিলাম। সুন্দর সময় কেটেছে আমাদের। আরও বেশি দিন থাকার ইচ্ছা ছিল। কিন্তু আমার শুটিংয়ের ব্যস্ততা, রাফিদেরও যুক্তরাজ্যে ফেরার তাড়া আছে। আগামী মাসে চাকরিতে যোগ দেবে সে। সব মিলিয়ে খুব অল্প সময় পেয়েছি হানিমুনে। তারপরও কাজের চাপের মধ্যে কিছুটা সতেজ হয়ে ফিরলাম।
নতুন জীবন শুরু করেছেন। নিজের মধ্যে কি কোনো পরিবর্তন লক্ষ করছেন?
তেমন কিছুই মনে হচ্ছে না। বিয়ের পর তো বাবার বাড়িতেই আছি। তা ছাড়া কাজের চাপে সবকিছু যেন ভুলেই যাচ্ছি। কাজের চাপে বিয়েটাও আরাম করে করতে পারিনি (হেসে)। ১০ তারিখ পর্যন্ত একটা ওয়েব ফিল্মের শুটিং করেছি। এরপর কোনোমতে সময় বের করে ১১ তারিখে বিয়ে করেছি। ১২ তারিখে ফিল্মের ডাবিং করে ১৩ তারিখে হানিমুনে গিয়েছি। এই যে গাড়িতে বসে আপনার সঙ্গে কথা বলতে বলতে যাচ্ছি ডাবিংয়ে। ডাবিং সেরে আবার আজ রাতেই (গতকাল) অস্ট্রেলিয়ায় যাব। তাই এখনো বিয়ের পরের অবস্থাটা বুঝে উঠতে পারছি না। মনে হচ্ছে, আগে আমার জীবন যেমন চলেছে, এখনো তেমনই চলছে।
অস্ট্রেলিয়ায় কেন?
সেখানে শিহাব শাহীনের দুটি ওয়েব ফিল্মের শুটিং হবে। আগেই শিডিউল দেওয়া ছিল ওয়েব ফিল্ম দুটির। শিহাব ভাই আগেই চলে গেছেন। হানিমুন সংক্ষিপ্ত করে আমি যাচ্ছি। চলতি মাসের পুরোটাই শুটিং হবে। এরপর দেশে ফিরব।
ছোট পরিসরে বিয়ে করলেন। পরবর্তী সময়ে বড় অনুষ্ঠান করার ইচ্ছা আছে?
ইচ্ছা আছে, তবে সেটি এখনই বলা যাচ্ছে না। আবার নতুন করে অনুষ্ঠান না–ও করতে পারি। কারণ, যে পরিমাণ কাজের চাপে আছি, বলে বিশ্বাস করাতে পারব না। অস্ট্রেলিয়া থেকে ফিরে নতুন আরেকটি ওয়েব ফিল্মের শুটিং শুরুর কথা। আগামী নভেম্বর পর্যন্ত শিডিউল দেওয়া। তা ছাড়া ২২ আগস্ট রাফিদ লন্ডনে চলে যাচ্ছে। নতুন চাকরি। হয়তো কম সময়ের মধ্যে ছুটি পাওয়া তার পক্ষে সম্ভব হবে না।
তারকাদের কেউ কেউ আশঙ্কা করেন, বিয়ের পর তাঁদের ভক্ত কমে যাবে। সেই আশঙ্কা কি আপনারও আছে?
আমার এই আশঙ্কা কোনো দিনই ছিল না। আমার জীবনের কোনো সিদ্ধান্ত নেব, ভক্তদের কথা ভাবতে হবে কেন? ভক্তরা আমার পর্দার কাজকে ভালোবাসেন। আমিও তাঁদের ভালোবাসি। আর প্রিয় তারকার জীবনের ভালো কোনো কাজ, পবিত্র কাজে যদি ভক্তদের সমর্থনই না থাকে; তাহলে কিসের ভক্ত! আমার মনে হয়েছে, বিয়ের পর আমার ভক্ত আরও বেড়েছে। বিয়ের খবর আর ছবি ফেসবুক, ইনস্টাগ্রামে শেয়ার করার পর, সবার যে পরিমাণ সাড়া পেয়েছি, মুগ্ধ আমি।