সংবাদ সম্মেলন ডেকেছেন মির্জা ফখরুল

0
141
নয়াপল্টনে পুলিশের সঙ্গে বিএনপি নেতাকর্মীদের সংঘর্ষের সময় দলীয় কার্যালয়ের সামনে মির্জা ফখরুল।

বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর সংবাদ সম্মেলন ডেকেছেন। বৃহস্পতিবার বেলা তিনটায় গুলশানে বিএনপি চেয়ারপারসনের কার্যালয়ে এ সংবাদ সম্নেলন অনুষ্ঠিত হবে।

নয়াপল্টনে পুলিশের সঙ্গে বিএনপি নেতাকর্মীদের সংঘর্ষ ও চলমান পরিস্থিতি নিয়ে তিনি কথা বলবেন বলে জানা গেছে।

এদিকে আজ বৃহস্পতিবার নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে যাওয়ার পথে বাধার মুখে পড়েন মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। রাজধানীর শাহবাগ থানায় দায়ের করা নাশকতার দুই মামলায় হাজিরা দিয়ে আদালত থেকে নয়াপল্টনে দলীয় অফিসের দিকে যাচ্ছিলেন তিনি। নাইটিংগেল মোড় দিয়ে বিএনপি কার্যালয়ে যাওয়ার পথে পুলিশ তার গাড়িটি নাইটিংগেল মোড়েই আটকে দেয়।

এ সময় মির্জা ফখরুল পুলিশ সদস্যদের বলেন, ‘আমি আমার কার্যালয়ে যেতে পারব না? এটা কেমন কথা?’ উত্তরে পুলিশকে বলতে শোনা যায়, ‘সরি স্যার, বিএনপি কার্যালয়ে যাওয়ার অনুমতি নেই।’

ফখরুল বলেন, ‘এটা আমাদের অফিস, আমাদের প্রপার্টি। আমি কেন যেতে পারব না?’

পুলিশ উত্তরে বলে, ‘হতে পারে এটা আপনার অফিস…। আমাদের ক্রাইম সিনের কাজ শেষ না হওয়া পর্যন্ত কারোরই যাওয়ার অনুমতি নেই। পুলিশের ওপর সেখান থেকে বোমা নিক্ষেপ করা হয়েছে। আমরা সেই জায়গাটিকে ‘প্লেস অব অকারেন্স’ হিসেবে বিবেচনা করছি। সিআইডি ক্রাইম সিন নিয়ে কাজ করছে।’

নয়াপল্টনে সংঘর্ষের ঘটনায় নিহতের বিষয়ে সুষ্ঠু তদন্ত, বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয় খুলে দেওয়া, গ্রেপ্তারদের মুক্তির দাবি জানান মির্জা ফখরুল। তিনি বলেন, ‘১০ তারিখের সমাবেশ যেন সুষ্ঠু ও শান্তিপূর্ণ হয় সেজন্য সরকারের কাছে দাবি জানাচ্ছি।’

এর আগে, বুধবার নয়াপল্টনে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দলের (বিএনপি) প্রধান কার্যালয়ের সামনে দলটির নেতাকর্মীদের সঙ্গে পুলিশের সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। এতে মকবুল হোসেন নামে একজন নিহত হয়েছেন।

আগামী ১০ ডিসেম্বর বিএনপির ঢাকা মহানগরী গণসমাবেশকে কেন্দ্র করে বুধবার সকাল থেকে দলীয় কার্যালয়ে জড়ো হতে থাকেন নেতাকর্মীরা। অপরদিকে সকাল থেকেই বিএনপি কেন্দ্রীয় কার্যালয় ও এর আশপাশের এলাকায় নিরাপত্তা জোরদার করা হয়। বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে ওই এলাকায় আরও বেশি পুলিশ মোতায়েন করা হয়। পৌনে ৩টায় বিএনপি নেতাকর্মীদের সঙ্গে পুলিশের সংঘর্ষ শুরু হয়। নেতাকর্মীদের ছত্রভঙ্গ করতে পুলিশ কাঁদানে গ্যাস, টিয়ারসেল ও সাউন্ড গ্রেনেড নিক্ষেপ করে।

একটি উত্তর ত্যাগ

আপনার মন্তব্য লিখুন দয়া করে!
এখানে আপনার নাম লিখুন দয়া করে

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.