ঢাকা ও চট্টগ্রামসহ বিভিন্ন এলাকায় পাঁচদিন পর সীমিত আকারে চালু হলো ব্রডব্যান্ড ইন্টারনেট সেবা। এতে কর্মচাঞ্চল্য ফিরছে ব্যবসা-বাণিজ্য ও প্রযুক্তি খাতে। মঙ্গলবার (২৩ জুলাই) রাত থেকেই কাজ শুরু করেছে ফ্রিল্যান্সিং বা আউটসোর্সিং প্রতিষ্ঠানগুলো। এর মধ্যে চালু হয়েছে অ্যাপের মাধ্যমে মোবাইল ব্যাংকিং সেবা; গতি ফিরছে আমদানি-রফতানি বাণিজ্যেও।
গত বৃহস্পতিবার (১৮ জুলাই) বিকেলে মহাখালীর দুযোর্গ ব্যবস্থাপনা ভবনে নাশকতাকারীদের দেয়া আগুনে সঞ্চালন লাইন পুড়ে যাওয়ায় সেদিন রাত থেকে সারা দেশে বন্ধ হয়ে যায় ব্রডব্যান্ড ইন্টারনেট সেবা। এতে স্থবির হয়ে পড়ে ব্যবসা-বাণিজ্য ও প্রযুক্তি খাত। ব্যাহত হয় সরকারি সেবাও। ছেদ পড়ে মানুষের দৈনন্দিন জীবনেও।
রডব্যান্ড সেবা বন্ধের পাঁচদিন পর ক্ষতিগ্রস্ত সঞ্চালন লাইন মেরামত ও ডাটা সেন্টার প্রস্তুত করে রাতেই পরীক্ষামূলক চালু হয়েছে ওয়াইফাই সেবা। এতে কর্মচাঞ্চল্য ফিরছে ফ্রিল্যান্সিং ও সফটওয়্যার প্রতিষ্ঠানগুলোতে। আটকে থাকা গ্রাহকের কাজ শেষ করতে রাত জেগে কাজ করেন অনেকেই।
ফ্রিল্যান্সাররা জানান, গত কদিন ইন্টারনেট সংযোগ না থাকায় গ্রাহকদের সঙ্গে যোগাযোগ করা যায়নি। শেষ করা যায়নি কাজও। তাই ইন্টারনেট পুনরায় সচল হওয়ায় নিজেদের সর্বোচ্চটা দিয়ে কাজ করা হচ্ছে।
সচল হয়েছে অ্যাপের মাধ্যমে মোবাইল ব্যাংকিং সেবাও। গতি ফেরার আশা আমদানি-রফতানি বাণিজ্যেও। বাংলাদেশ পোশাক প্রস্তুতকারক ও রফতানিকারক সমিতির (বিজিএমইএ) সহ সভাপতি আব্দুল্লাহ হিল রাকিব বলেন,
ইন্টারনেটের প্রাপ্যতা ও গতি ভালো থাকলে খুব শিগগিরই যোগাযোগ প্রক্রিয়া স্বাভাবিক হয়ে যাবে।
ইন্টারনেট সেবাদাতারা জানান, ব্রডব্যান্ড সেবা পর্যায়ক্রমে সারা দেশেই চালু করতে কাজ চলছে। ইন্টারনেট সার্ভিস প্রোভাইডার্স অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশের (আইএসপিএবি) সভাপতি ইমদাদুল হক বলেন,
এখনও অনেক সংযোগ পুনঃস্থাপন করা সম্ভব হয়নি। সব সংযোগ পুরোপুরি স্বাভাবিক করতে আরও কয়েকদিন সময় লাগবে।
উল্লেখ্য, এক কোটি ৩৪ লাখ গ্রাহককে সেবা দিতে ইন্টারনেট সেবাদাতাদের দৈনিক তিন হাজার জিবিপিএস ব্যান্ডউইথ লাগে।