বিশেষ কৌশলে গিলে পেটের ভেতরে করে ইয়াবা বহন করছিলেন তিন মাদক ব্যবসায়ী। তাঁরা কক্সবাজার থেকে বাসে করে আসছিলেন ঢাকায়। পথে নারায়ণগঞ্জের সিদ্ধিরগঞ্জের শিমরাইলে চেকপোস্টে যাত্রীবাহী বাসে তল্লাশি চালিয়ে ওই তিন ব্যক্তিকে আটক করে র্যাব-১১-এর একটি দল। পরে তাঁদের শহরের ১৫০ শয্যাবিশিষ্ট নারায়ণগঞ্জ হাসপাতালে নিয়ে কর্তব্যরত চিকিৎসকদের মাধ্যমে পায়ুপথে পেটের ভেতর থেকে সাদা পলিথিনে টেপ দিয়ে মোড়ানো ১০২টি ক্যাপসুল সদৃশ প্যাকেটের ভেতর থেকে ৫ হাজার ১০০ ইয়াবা বের করা হয়।
মঙ্গলবার রাতে ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের নারায়ণগঞ্জের সিদ্ধিরগঞ্জের শিমরাইল এলাকায় চেকপোস্টে সেন্ট মার্টিন পরিবহন বাসে তল্লাশি চালিয়ে ওই তিন মাদক ব্যবসায়ীকে আটক করা হয়। আটক ব্যক্তিরা হলেন কক্সবাজার জেলার কক্সবাজার পৌরসভার ১২ নম্বর ওয়ার্ডের লাইট হাউজপাড়া এলাকার মো. হারেস (২৬) ও তাঁর স্ত্রী সানজিদা বেগম (২৪) ও একই জেলার টেকনাফ থানার পূর্ব রঙ্গিকালী এলাকার নূর মোহাম্মদ (৩৯)।
আজ বিকেলে র্যাব-১১ মিডিয়া অফিসার সিনিয়র সহকারী পুলিশ সুপার রিজওয়ান সাঈদ এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানান। এতে বলা হয়, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে র্যাব-১১-এর একটি দল দল জানতে পারে, কক্সবাজার থেকে ছেড়ে আসা সেন্ট মার্টিন পরিবহনের বাসে করে তিন মাদক ব্যবসায়ী বিশেষ কৌশলে মাদকদ্রব্য বহন করে নিয়ে আসছেন। এই তথ্যের পরিপ্রেক্ষিতে মঙ্গলবার রাত সাড়ে ১১টার দিকে ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের নারায়ণগঞ্জের সিদ্ধিরগঞ্জের শিমরাইল এলাকায় চেকপোস্ট স্থাপন করা হয়। পরে বাসটিতে তল্লাশি চালিয়ে সন্দেহভাজন দুই পুরুষ এবং এক নারীকে আটক করা হয়।
সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, আটক ব্যক্তিদের জিজ্ঞাসাবাদ করলে তাঁরা বিশেষ কৌশলে পেটের ভেতরে করে ইয়াবা বহনের বিষয়টি স্বীকার করেন। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে ওই তিনজন জানান, তাঁরা সবাই পেশাদার মাদক ব্যবসায়ী। পরস্পর যোগসাজশে দীর্ঘদিন ধরে বিশেষ কৌশলে ইয়াবা নারায়ণগঞ্জ ও ঢাকার আশপাশের এলাকায় বিক্রয় ও সরবরাহ করে আসছেন। তাঁদের বিরুদ্ধে পরবর্তী আইনানুগ কার্যক্রম গ্রহণের প্রক্রিয়া চলছে।