সিডনিতে পাকিস্তানের বিপক্ষে সিরিজে ক্যারিয়ারের শেষ টেস্ট খেলার অপেক্ষায় থাকা ডেভিড ওয়ার্নার জানিয়েছেন, ওয়ানডে ক্রিকেটও আর খেলবেন না। অস্ট্রেলিয়ার হয়ে শুধু টি-টোয়েন্টি চালিয়ে যাবেন। আজ সিডনিতে এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এই ঘোষণা দেন।
তবে ক্রিকেট অস্ট্রেলিয়া (সিএ) চাইলে ২০২৫ সালের চ্যাম্পিয়নস ট্রফিতে খেলবেন বলে জানিয়েছেন ওয়ার্নার। নয়তো ক্যারিয়ারের বাকি সময় আন্তর্জাতিক ও ফ্র্যাঞ্চাইজি টি-টোয়েন্টি নিয়েই ব্যস্ত থাকবেন।
বুধবার সিডনিতে শুরু হতে যাওয়া অস্ট্রেলিয়া-পাকিস্তান সিরিজের তৃতীয় টেস্টই যে এই সংস্করণে তাঁর শেষ ম্যাচ, সেটি জানিয়েছিলেন আগেই। নতুন বছরের প্রথম দিন সিডনিতে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে ওয়ার্নার শেষ বলে দিয়েছেন ৫০ ওভার ক্রিকেটকেও, ‘অবশ্যই আমি ওয়ানডে থেকেও অবসর নিচ্ছি। ব্যাপারটা আমি বিশ্বকাপজুড়েই বলে আসছিলাম। এর মধ্যেই ভারতের মাটিতে বিশ্বকাপ জিতলাম, যেটা অনেক বড় অর্জন। সুতরাং, আজ আমি দুটি সংস্করণ থেকেই অবসরের সিদ্ধান্ত নিচ্ছি, যা আমাকে বিশ্বজুড়ে লিগ খেলার এবং ওয়ানডে দলকে সামনে এগিয়ে যাওয়ার সুযোগ করে দেবে। আমি জানি সামনে চ্যাম্পিয়নস ট্রফি আছে। সামনের দুই বছর আমি যদি ভালো ক্রিকেট খেলি এবং দলের কাউকে দরকার হয়, আমি থাকব।’
২০২৫ সালে পাকিস্তানে হতে যাওয়া চ্যাম্পিয়নস ট্রফিতে যদি নাটকীয়ভাবে না ফেরেন, তাহলে ওয়ানডেতে ওয়ার্নারের সর্বশেষ ম্যাচ হয়ে থাকবে গত বছরের ১৯ নভেম্বর আহমেদাবাদের বিশ্বকাপ ফাইনাল। যে ফাইনালে ভারতকে হারিয়ে অস্ট্রেলিয়া জিতেছে নিজেদের ইতিহাসে ষষ্ঠ বিশ্বকাপ ট্রফি, ওয়ার্নার জিতেছেন দ্বিতীয়বার।
২০০৯ সালে ওয়ানডে ক্রিকেটে পা রাখা ওয়ার্নার এক যুগের বেশি সময়ে খেলেছেন ১৬১টি ওয়ানডে, যেখানে ৪৫.৩০ গড়ে করেছেন ৬ হাজার ৯৩২ রান। রানের দিক থেকে অস্ট্রেলিয়ার ষষ্ঠ সর্বোচ্চ রান সংগ্রাহক তিনি। এ সংস্করণে ২২টি শতক আছে তাঁর, এদিক থেকে অস্ট্রেলিয়ান ব্যাটসম্যানদের মধ্যে তিনি দ্বিতীয় (রিকি পন্টিংয়ের ৩০)।
অবসর ঘোষণার আগেই আগামী মাসে অস্ট্রেলিয়া-ওয়েস্ট ইন্ডিজের তিন ম্যাচ ওয়ানডে সিরিজ থেকে সরে গিয়েছিলেন ওয়ার্নার। ৩৭ বছর বয়সী এই ওপেনারের ওই সময়ে সংযুক্ত আরব আমিরাতের আইএল টি-টোয়েন্টিতে খেলার কথা। আন্তর্জাতিক টি-টোয়েন্টিতে কমপক্ষে আগামী জুনে যুক্তরাষ্ট্র-ওয়েস্ট ইন্ডিজে হতে যাওয়া টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ পর্যন্ত খেলে যাওয়ার কথাও জানিয়েছেন এরই মধ্যে