কোটা সংস্কার আন্দোলনের সময় ডাটা সেন্টারে আগুন লাগায় গত বৃহস্পতিবার (১৮ জুলাই) রাতে ইন্টারনেটশূন্য হয়ে যায় পুরো দেশ। এর পাঁচদিন পর মঙ্গলবার (২৩ জুলাই) রাতে পরীক্ষামূলকভাবে ব্রডব্যান্ড ইন্টারনেট সেবা চালু হয়।
অগ্রাধিকার ভিত্তিতে কুটনীতিক পাড়া, ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠান, বিদ্যুত, ফ্রিল্যান্সিং ও প্রযুক্তি এবং রফতানিমুখী খাতে ওয়াইফাই সেবা দেয়া হয়। বন্ধ ছিল বাসাবাড়িতে ব্যান্ডউইথ সরবরাহ। তবে বুধবার (২৪ জুলাই) রাত থেকে বাসা-বাড়িতেও মিলেছে ইন্টারনেট সেবা। কিন্তু এখনও ধীরগতি লক্ষ্য করা যাচ্ছে।
বর্তমান পরিস্থিতির কারণে ধীরগতি ছাড়াও ইন্টারনেটের গতি কমে যাওয়া কিংবা সংযোগ বিচ্ছিন্ন হওয়ার মতো ঝামেলায় পড়তে হয় অনেকের। এসব ঝামেলা এড়াতে রাউটার অফ করে অন করা, রিস্টার্ট বা রিবুট করার পরামর্শ দিয়ে থাকেন বিশেষজ্ঞরা।
ইন্টারনেট সংযোগ ভালো পাওয়ার জন্য কয়েকটি কৌশল অনুসরণ করার পরামর্শ দিয়ে থাকেন বিষেশজ্ঞরা-
১. ওয়াইফাই রাউটার সঠিক জায়গায় রাখতে হবে।
২. প্রধানত ওয়াইফাই নেটওয়ার্কের পারফরম্যান্স নির্ভর করে রাউটারের ওপর। রাউটার কোথায় রয়েছে সেটি নেটওয়ার্কের ক্ষেত্রে বিশেষ গুরুত্বপূর্ণ।
৩. আলমারি বা বাক্সের মধ্যে রাউটার রাখা যাবে না। কারণ বদ্ধ জায়গাতে ওয়াইফাইয়ের সংকেত দুর্বল করে দেয়।
৪. রাউটারটি মেঝে থেকে ওপরে রাখলে নেটওয়ার্ক সমানভাবে ছড়িয়ে দিতে সাহায্য করে।
৫. আলমারি বা টেবিলের ওপরে রাখতে পারেন।
ব্রিটিশ সংবাদ মাধ্যম ইন্ডিপেনডেন্ট বলছে, রাউটার বাড়ির মাঝামাঝি জায়গায় রাখলে ভালো। এর জন্য কিছুটা বাড়তি কেবল প্রয়োজন হলেও সেটি ‘স্মার্ট বিনিয়োগ’ হবে।