ওজন কমাতে উচ্চ ফাইবারযুক্ত খাবার বিস্ময়কর কাজ করে। ক্যালরির কথা চিন্তা না করেই এসব খাবার খাওয়া যায় । ফাইবার এক ধরনের কার্বোহাইড্রেট যা সহজে হজম হয় না। তবে খাবারে থাকা প্রাকৃতিক ফাইবার হজমে সহায়তা করে।
করোনার পর সবাই উচ্চ রক্তচাপ, হৃদরোগ এবং ডায়াবেটিসের মতো রোগ প্রতিরোধে স্বাস্থ্যকর খাবার খাওয়ার ব্যাপারে দিনদিন সচেতন হয়ে উঠছেন। সেক্ষেত্রে খাদ্যতালিকায় ফাইবার রাখা খুবই গুরুত্বপূর্ণ হয়ে উঠেছে। ফাইবার সমৃদ্ধ খাবার শরীরের বিপাকক্রিয়া বাড়াতে ভূমিকা রাখে।
শরীরের অতিরিক্ত মেদ ঝরাতে ও হজমে সহায়তা করে যেসব ফাইবারযুক্ত খাবার-
অ্যাভোকাডো: সবুজ অ্যাভোকাডোয় পর্যাপ্ত পরিমাণে দ্রবণীয় ফাইবার থাকে। এতে থাকা স্বাস্থ্যকর চর্বি মেদ কমাতে সাহায্য করে। এ কারণে ওজন কমাতে চাইলে দৈনন্দিন খাদ্যতালিকায় অওঅভোকাডো রাখতে পারেন। খাদ্যতালিত। সকালে ডিমের পাশাপাশি অ্যাভোকাডো খেতে পারেন। এছাড়া দুপুরে বা রাতের খাবারে সালাদ হিসেবে রাখতে পারেন।
পেয়ারা: পেয়ারা ফাইবারের একটি দুর্দান্ত উৎস। এক কাপ পেয়ারায় প্রায় ৯ গ্রাম ফাইবার থাকে এবং ভিটামিন সি, এ, ম্যাগনেসিয়াম, ক্যাসিয়াম, পটাসিয়াম এবং অনেক ফাইটোনিউট্রিয়েন্টসি রয়েছে। বিকাল বা সকালের নাশতায় পেয়ার রাখতে পারেন। চাইলে জুসও তৈরি করতে পারেন।
নারিকেল : নারিকেলে অভ্যন্তরে থাকা তরল এন্ডোস্পার্ম ভিটামিন এবং খনিজ সমৃদ্ধ। এতে প্রাকৃতিক ইলেক্ট্রোলাইট থাকে-যা শরীরের ভারসাম্য বজায় রাখতে সহায়তা করে। নারিকেল ওজন কমায়,পাশাপাশি ত্বকের জন্য উপকারী।
নাশপাতি : নাশপাতি ফাইবার সমৃদ্ধ এবং কোলেস্টরলমুক্ত সুস্বাদু একটি ফল। বিভিন্ন সালাদ, ডেজার্ট তৈরি করে এই ফলটি দৈনন্দিন খাদ্যতালিকায় যুক্ত করতে পারেন।
মটরশুঁটি: এক কাপ মটরশুঁটিতে প্রায় ৯ গ্রাম ফাইবার থাকে। এছাড়াও এটি ভিটামিন এ এবং সি, ক্যালসিয়াম, ফসফরাস, পটাশিয়াম, ম্যাগনেসিয়ামের চমৎকার উৎস। বিভিন্ন ধরনে সবজি রান্নায়, স্যুপ তৈরিতে মটরশুঁটি যোগ করতে পারেন।
ঢেঁড়শ: ঢেঁড়শ উচ্চ ফাইবারযুক্ত খাবার। এটি খেতেও বেশ সুস্বাদু। এতে ক্যালরির পরিমাণ কম। এছাড়াও এতে অন্যান্য গুরুত্বপূর্ণ পুষ্টি উপাদান যেমন- ভিটামিন এ, ভিটামিন সি, ভিটামিন কে, ফোলেট, ম্যাগনেসিয়াম, ফসফরাস, পটাসিয়াম এবং ক্যালসিয়াম পাওয়া যায়। ওজন কমাতে ঢেঁড়শ সিদ্ধ করে খেতে পারেন।