ঈদ খুশির, ঈদ আনন্দের। তবে এবার প্রেক্ষাপট একটু ভিন্ন। চারদিকে ডেঙ্গু সংক্রমণের কারণে আতঙ্ক কাজ করছে অনেকের মনে। কারও কারও নিকটাত্মীয় আছেন হাসপাতালে। একই সঙ্গে বিরাজ করছে বিরূপ আবহাওয়া। তবুও মেহেরপুরের ঐতিহাসিক ও পর্যটন স্থানগুলোতে ভিড় লক্ষ্য করা যাচ্ছে।
মেহেরপুরসহ এ অঞ্চলের মানুষের কাছে ঈদে ঘুরতে যাওয়ার অন্যতম স্থান হলো মুজিনগরের ঐতিহাসিক মুক্তিযুদ্ধ স্মৃতি কমপ্লেক্স। এবার এখানে প্রতিদিন মানুষের ঢল নামছে। স্থানীয় দর্শনার্থী ছাড়াও আশপাশের বিভিন্ন জেলা থেকেও নানা বয়সের নারী-পুরুষ ভিড় করছেন ঐতিহাসিক আম্রকাননে। মুক্তিযুদ্ধের সেক্টরভিত্তিক বাংলাদেশের মানচিত্র, স্মৃতিসৌধ, আম্রকানন, মুক্তিযুদ্ধভিত্তিক বিভিন্ন ম্যুরাল, সরকারি শিশুপরিবার, শাপলা চত্বরসহ বিভিন্ন স্থাপনা ঘুরে ঘুরে দেখছেন তারা।
মুজিবনগরের পাশাপাশি এবার সবার নজর কাড়ছে গাংনীর ভাটপাড়া নীলকুঠিতে নির্মিত জেলা প্রশাসক (ডিসি) ইকোপার্ক। এখানে রয়েছে পশু-পাখির ভাস্কর্য। দৃষ্টিনন্দন বাগান, পুকুর, শাপলা, ফুলের বাগান, শিশুদের খেলাধুলার সরঞ্জাম ও দেশীয় গাছসমৃদ্ধ বাগান। রয়েছে ইংরেজদের শোষণের নিদর্শন নীলকুঠির বিভিন্ন স্থাপনা। এ ছাড়া মেহেরপুর শহরের পৌরসভা চত্বর ও পৌর ঈদগাহ ময়দানও দর্শনার্থীর ভিড়ে মুখর হয়ে উঠেছে।
মেহেরপুরের পুলিশ সুপার এস এম মুরাদ বলেন, ঈদে বিভিন্ন স্থানে দর্শনার্থীদের নির্বিঘ্ন ও নির্মল আনন্দ নিশ্চিত করতে পর্যাপ্ত নিরাপত্তা ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। জেলা প্রশাসক আতাউল গনি বলেন, ঐতিহাসিক মুজিবনগর মুক্তিযুদ্ধ স্মৃতি কমপ্লেক্সটিকে আন্তর্জাতিক মানের পর্যটন কেন্দ্র হিসেবে গড়ে তুলতে কাজ চলছে।