অভিনয়শিল্পী নির্বাচন, শুটিং থেকে পোস্ট-প্রোডাকশন—একটি চলচ্চিত্র নির্মাণের সঙ্গে জড়িয়ে থাকে অনেক প্রক্রিয়া। দর্শকেরা কেবল মুক্তির পর সিনেমাটি দেখেন, আগের গল্প বেশির ভাগ দর্শকই জানেন না। স্বাভাবিকভাবেই অনেক দর্শকের জানার কথা নয়, পর্দায় যে অভিনয়শিল্পীদের তাঁরা দেখছেন, তাঁদের অনেকেই পরিচালকের প্রথম পছন্দ ছিলেন না।
এই যেমন ২০০৪ সালে মুক্তি পাওয়া এক হিন্দি সিনেমার কথাই ধরা যাক। ছবিটি একে একে আট অভিনেতা ফিরিয়ে দেন। কিন্তু মুক্তির পর ঠিকই সেটা বক্স অফিসে ১০০ কোটি টাকার বেশি আয় করে। কোন সেই সিনেমা? ভারতীয় গণমাধ্যম ডিএনএ অবলম্বনে সেটাই জেনে নেওয়া যাক।
২০০৪ সালে মুক্তি পাওয়া ‘ম্যায় হু না’ সিনেমাটির কথা হয়তো এখন সিনেমাপ্রেমী অনেক দর্শকের মনে আছে। পুরোদস্তুর বিনোদনে ভরপুর এ সিনেমা দিয়েই পরিচালনায় নাম লিখিয়েছিলেন ফারাহ খান। শাহরুখ খান, সুস্মিতা সেন, সুনীল শেঠি, অমৃতা রাও, জায়েদ খান অভিনীত সিনেমাটি সে সময় তুমুল আলোচনায় ছিল। গল্প, অ্যাকশন, গান মিলিয়ে বাংলাদেশেও ব্যাপক জনপ্রিয়তা পেয়েছিল ছবিটি। কিন্তু জানেন কি, আলোচিত এ ছবিতে অভিনয়ের প্রস্তাব পেয়েও ফিরিয়ে দিয়েছিলেন আটজন অভিনেতা।
ঐশ্বরিয়া রাই, হৃতিক রোশান, কমল হাসান, ফারহান আখতারসহ অনেককেই এই সিনেমায় অভিনয়ের প্রস্তাব দেওয়া হয়। কেউ সময়ের অভাবে, কেউ চিত্রনাট্য পছন্দ না হওয়ায়, কেউ আবার অন্য কোনো কারণে এ সিনেমায় অভিনয়ের প্রস্তাব ফিরিয়ে দেন।
‘ম্যায় হু না’ সিনেমায় খল চরিত্রে অভিনয় করেন সুনীল শেঠি। কিন্তু তিনি চরিত্রটিতে প্রথম পছন্দ ছিলেন না। শুরুতে কমল হাসান ও নাসিরউদ্দিন শাহকে এ চরিত্রে অভিনয়ের প্রস্তাব দেওয়া হয়। কিন্তু তাঁরা সবাই ফিরিয়ে দেন। এরপর প্রস্তাব যায় নানা পাটেকরের কাছে। তিনি শর্ত সাপেক্ষে রাজি হন, বলেন চিত্রনাট্যে কিছু বদল করতে। কিন্তু পরিচালক রাজি হননি। শেষ পর্যন্ত খলনায়ক হতে রাজি হন সুনীল শেঠি।
এ ছাড়া ফারাহ খান চেয়েছিলেন শাহরুখ খানের বিপরীতে ঐশ্বরিয়া রাইকে নিতে। কিন্তু তিনিও রাজি হননি, শেষ পর্যন্ত চরিত্রটিতে অভিনয় করেন সুস্মিতা সেন। এ ছবিতে গ্ল্যামারাস উপস্থিতি দিয়ে ব্যাপক জনপ্রিয়তা পেয়েছিলেন সুস্মিতা।
আয়েশা টাকিয়া ও আমিশা প্যাটেলকেও ‘ম্যায় হু না’য় অভিনয়ের প্রস্তাব দেওয়া হয়েছিল। কিন্তু তাঁরাও প্রস্তাব ফিরিয়ে দেন।
২০০৪ সালের ৩০ এপ্রিল মুক্তি পায় ‘ম্যায় হু না’। মাত্র ২৫ কোটি রুপি বাজেটের ছবিটি পরে ৮৯ কোটি রুপি আয় করে, যা বাংলাদেশি মুদ্রায় ১১৮ কোটি টাকা।