এমভি আবদুল্লাহর ২৩ নাবিক ঘরে ফিরছেন আজ

0
80
লাল-সবুজের পতাকা হাতে নিয়ে এমভি আবদুল্লাহ জাহাজের নাবিকদের উচ্ছ্বাস, ছবি-আতিক উল্লাহ খানের ফেসবুক পোস্ট থেকে
এমভি আবদুল্লাহর ২৩ নাবিক ঘরে ফিরছেন আজ
 
সোমালিয়ান জলদস্যুদের জিম্মিদশা থেকে মুক্ত বাংলাদেশি পতাকাবাহী জাহাজ এমভি আবদুল্লাহ দীর্ঘ দুই মাসের ঝড়-ঝঞ্ঝা সামলিয়ে অবশেষে কক্সবাজারের কুতুবদিয়ায় এসে পৌঁছেছে। বর্তমানে জাহাজে যে ২৩ জন ক্রু আছেন, তাদের মঙ্গলবার (১৪ মে) একটি লাইটার জাহাজে করে কেএসআরএম লাইটার জেটি সদরঘাটে আনা হবে এবং সেখান থেকে তারা নিজ নিজ বাড়ি ফিরবেন। জাহাজের নাবিকদের পক্ষে ক্যাপ্টেন দেশবাসীর প্রতি কৃতজ্ঞতা জানিয়েছেন।
 
এর আগে সোমবার (১৩ মে) সন্ধ্যা ৬টা ৪০ মিনিটের দিকে জাহাজটি কুতুবদিয়ায় নোঙর করে। ইতোমধ্যে জাহাজটির দায়িত্ব নিতে চট্টগ্রাম থেকে ২৩ নাবিকের নতুন একটি দল কুতুবদিয়া গেছেন।
 
গত ১২ মার্চ ভারত মহাসাগর থেকে কেএসআরএম গ্রুপের মালিকানাধীন এই জাহাজ ছিনতাই করেছিল সোমালিয়ার দস্যুরা। ৩৩ দিনের মাথায় ১৩ এপ্রিল দিবাগত রাতে জাহাজটি মুক্ত হয়। এরপর জাহাজটি প্রথমে আমিরাতের আল-হামরিয়া বন্দরে পৌঁছায়। সেখানে পণ্য খালাস শেষে আরেকটি বন্দর থেকে চুনাপাথর বোঝাই করে চট্টগ্রামের পথে রওনা হয়েছিল জাহাজটি। এ হিসেবে আমিরাত থেকে ১৩ দিনের মাথায় জাহাজটি বাংলাদেশের জলসীমায় এসে পৌঁছাল।
 
কেএসআরএম গ্রুপ জানায়, এমভি আবদুল্লাহ জাহাজে ৫৬ হাজার টন পণ্য চুনাপাথর রয়েছে। এতে প্রায় ১৯০ মিটার লম্বা জাহাজটির ড্রাফট (জাহাজের পানির নিচের অংশের গভীরতার পরিমাপ) বেড়ে হয়েছে সাড়ে ১২ মিটার। জাহাজটির ড্রাফট বেশি থাকায় কুতুবদিয়ায় প্রথমে কিছু পরিমাণ পণ্য খালাস করা হবে। এরপর পতেঙ্গার কাছাকাছি বঙ্গোপসাগরে বন্দর জলসীমায় আনা হবে। সেখানে বাকি পণ্য খালাস করা হবে। এ জন্য দেশে পৌঁছার পরও নাবিকদের ঘরে ফিরতে একটু সময় লাগছে।
 
কেএসআরএম গ্রুপের উপব্যবস্থাপনা পরিচালক শাহরিয়ার জাহান রাহাত বলেন, এমভি আবদুল্লাহ কুতুবদিয়ায় নোঙর করার পর সোমবারই নতুন ২৩ জন নাবিক জাহাজটিতে উঠেছেন। তারা এমভি আবদুল্লাহ জাহাজে যোগদানের পর জিম্মিদশা থেকে মুক্ত নাবিকেরা দায়িত্ব হস্তান্তর করবেন। সব প্রক্রিয়া শেষ করার পর মঙ্গলবার (১৪ মে) এমভি আবদুল্লাহর নাবিকেরা চট্টগ্রাম বন্দরের নিউমুরিং টার্মিনালের জেটিতে পৌঁছানোর কথা রয়েছে।

একটি উত্তর ত্যাগ

আপনার মন্তব্য লিখুন দয়া করে!
এখানে আপনার নাম লিখুন দয়া করে

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.