২০২৪-২০২৫ শিক্ষাবর্ষের এমবিবিএস ভর্তি পরীক্ষা আজ।
শুক্রবার (১৭ জানুয়ারি) সকাল ১০টা থেকে বেলা ১১টা পর্যন্ত ঘণ্টাব্যাপী এ পরীক্ষা দেশের ১৯টি পরীক্ষাকেন্দ্রের একাধিক ভেন্যুতে অনুষ্ঠিত হবে।
জানা গেছে, এবার ২০২৪-২৫ শিক্ষাবর্ষের এমবিবিএস ভর্তি পরীক্ষায় অংশ নিতে ১ লাখ ৩৫ হাজার ২৬১ জন ভর্তিচ্ছু আবেদন করেছেন। তবে কোটাসহ মোট আসন রয়েছে ৫ হাজার ৩৮০টি। সে হিসেবে চলতি বছর একটি আসন নিশ্চিত করতে ২৫ জন শিক্ষার্থী ভর্তিযুদ্ধে নামবেন।
এদিকে পরীক্ষার্থীদের সকাল সাড়ে ৯টার আগেই কেন্দ্রে প্রবেশ করাসহ বেশ কিছু নির্দেশনা দিয়েছে স্বাস্থ্য শিক্ষা অধিদপ্তর। পরীক্ষার্থীদের জন্য নির্দেশনাগুলো হলো—
১. পরীক্ষাকেন্দ্র বা ভেন্যুর গেট খুলবে সকাল ৮টায়। পরীক্ষার দিন সকাল সাড়ে ৯টার পর কোনো পরীক্ষার্থী হলে প্রবেশ করতে পারবেন না। একইসঙ্গে পরীক্ষার্থীদের প্রবেশপত্রের রঙিন প্রিন্ট কপি নিয়ে আসতে হবে।
২. কেন্দ্র বা ভেন্যুতে পরীক্ষার্থীদের (ছেলে ও মেয়ে) পৃথক পৃথক তল্লাশির ব্যবস্থা থাকবে। পরীক্ষার হলে মোবাইল ফোন, ক্যালকুলেটর, হাতঘড়িসহ অন্য ডিজিটাল ডিভাইস নিয়ে প্রবেশ নিষিদ্ধ। ডিভাইস পাওয়া গেলে অথবা কাউকে এ ধরনের কোনো ডিভাইস ব্যবহার করতে দেখা গেলে তার উত্তরপত্র বাতিল বলে গণ্য হবে।
৩. ভর্তি পরীক্ষার কেন্দ্র বা ভেন্যুতে সকাল ৮টা থেকে শিক্ষার্থীরা প্রবেশ করতে ইনভিজিলেটররা (কক্ষ পরিদর্শক) সকাল ৮টা থেকে পরীক্ষার দায়িত্বপ্রাপ্ত কক্ষে অবস্থান করে প্রবেশপত্রে পরীক্ষার্থীর ছবির জলছাপ ও রঙিন ছবির সঙ্গে পরীক্ষার্থীর চেহারা মিলিয়ে পরীক্ষাকক্ষে প্রবেশের অনুমতি দেবেন। দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তারা কেন্দ্রে উপস্থিত থেকে বিষয়টি নিশ্চিত করবেন।
৪. পরীক্ষার্থী, ইনভিজিলেটর ও ভেন্যুর কর্মকর্তা-কর্মচারীরা মন্ত্রণালয় বা অধিদপ্তরের কর্মকর্তারা কোনোভাবেই মোবাইল, ইলেকট্রনিক ডিভাইস, ব্লুটুথ, এয়ারফোন ইত্যাদি বহন করবেন না। ভর্তি পরীক্ষার হলে ভর্তি পরীক্ষা-সংশ্লিষ্ট কাজের সঙ্গে জড়িত কেউ মোবাইল ফোন নিয়ে প্রবেশ করতে পারবে না।
৫. ভর্তি পরীক্ষার কেন্দ্র বা ভেন্যুতে ভর্তি পরীক্ষা-সংশ্লিষ্ট ব্যক্তি ছাড়া অন্য কোনো ব্যক্তি প্রবেশ করতে পারবে না। পরীক্ষার দিন পরীক্ষাকেন্দ্রগুলোয় আশপাশের ফটোকপি মেশিন বন্ধ থাকবে; পরীক্ষার সঙ্গে সংশ্লিষ্ট যেকোনো প্রকার অসদাচরণ, প্রতারণা বা গুজব ছড়ানোর সঙ্গে জড়িত কাউকে চিহ্নিত করা গেলে তার বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা নিয়ে ব্যাপক প্রচারের ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
প্রসঙ্গত, দেশে মেডিকেল কলেজ রয়েছে ১১০টি। এর মধ্যে সরকারি মেডিকেল কলেজ ৩৭টি ও বেসরকারি মেডিকেল কলেজ ৬৭টি। এ ছাড়া একটি আর্মড ফোর্সেস মেডিকেল কলেজ ও পাঁচটি বেসরকারি আর্মি মেডিকেল কলেজ রয়েছে।