এবার রাজধানীর উত্তরায় একটি চীনা আবাসিক হোটেল থেকে দুটি ‘মাহাজং’ জব্দ করেছে কাস্টমস গোয়েন্দা ও তদন্ত অধিদপ্তর। ক্যাসিনোর ইলেকট্রিক গ্যাম্বলিং খ্যাত যন্ত্র দুটি আজ বৃহস্পতিবার বিকেলে জব্দ করা হয়। অধিদপ্তর নথি পর্যালোচনা করে বলছে, মিথ্যে তথ্যে আমদানি করা এসব যন্ত্রে দুই লাখ ৮৫ হাজার শুল্ক ফাঁকি দেওয়া হয়েছে।
কাস্টমস গোয়েন্দা ও তদন্ত অধিদপ্তর থেকে পাঠানো এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, উত্তরার হবনব কফি হাউস ও চাইনিজ রেস্টুরেন্ট এবং এর আবাসিক হোস্টেলে এই অভিযান চালানো হয়। প্রতিষ্ঠান দুটির মালিক চীনা নাগরিক কেন্ট। এর মধ্যে হবনব কফি হাউস ও চাইনিজ রেস্টুরেন্টের অবস্থান উত্তরার ১৩ নম্বর সেক্টরের গাউসুল আজম অ্যাভিনিউয়ে। আর এর আবাসিক হোটেলের অবস্থান উত্তরার ১৪ নম্বর সেক্টরের ১৫ নম্বর রোডের ৫৬ নম্বর বাড়িতে।
এর আগে গতকাল বুধবার রাজধানীর বনানীর একটি চীনা রেস্তোরাঁ থেকে আরেকটি মাহাজং জব্দ করেছিল কাস্টমস গোয়েন্দা ও তদন্ত অধিদপ্তর।
কাস্টমস গোয়েন্দা ও তদন্ত অধিদপ্তরের অনুসন্ধানে দেখা গেছে, মিথ্যা তথ্য দিয়ে গত বছরের আগস্ট মাসে এসব মাহাজং চীন থেকে বাংলাদেশে আনা হয়। আমদানিকারক প্রতিষ্ঠান নিনাদ ট্রেড ইন্টারন্যাশনাল এসব আমদানি করে। ওই চালানে ২০টি কার্টুনে করে মোট সাত সেট মাহাজং আনা হয়। পরে কেন্ট বিভিন্ন চাইনিজ ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠানের নিকট অন্য মাহাজংগুলো বিক্রি করেন।
কাস্টমস গোয়েন্দা ও তদন্ত অধিদপ্তর পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, তাঁরা জানতে পেরেছেন রেস্তোরাঁ ও হোস্টেলে বিভিন্ন চাইনিজ নাগরিকের আনাগোনা ছিল, যারা গ্যম্বলিং এ আসক্ত ছিলেন। সাম্প্রতিক ক্যাসিনো বিরোধী অভিযানের ফলে কফি হাউসে ব্যবহৃত মাহাজংটি আবাসিক হোটেলে লুকানো হয়েছিল। আবাসিক এলাকায় অবস্থিত বলে এসব মাহাজংয়ের কারণে সেখানকার সামাজিক পরিবেশ বিঘ্নিত হচ্ছিল এবং এর আসক্তি বাংলাদেশিদের মধ্যে ছড়িয়ে পড়ার আশঙ্কা ছিল।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, আমদানি করা অন্য মাহাজংগুলোর অবস্থান শনাক্তের চেষ্টা করা হচ্ছে। জব্দ হওয়া এই দুটি মাহাজংয়ের বিষয়ে আইনি পদক্ষেপ নেওয়া হচ্ছে। কাস্টমস গোয়েন্দা ও তদন্ত অধিদপ্তরের সহকারী পরিচালক জনাব কাউছার আলম পাটওয়ারী ও কেফায়েতউল্লাহ মজুমদারের নেতৃত্বে ১৪ সদস্যের একটি গোয়েন্দা দল এই অভিযানে অংশ নেন।