গণঅধিকার পরিষদের শীর্ষ দুই নেতার পাল্টাপাল্টি অভিযোগ-পরস্পরবিরোধী অবস্থানের কারণে দলটিতে অস্থিরতা চলছে। সোমবার দলটির আহ্বায়ক ড. রেজা কিবরিয়াকে বাদ দিয়ে দলের ১ নম্বর যুগ্ম আহ্বায়ক রাশেদ খাঁনকে ভারপ্রাপ্ত আহ্বায়কের দায়িত্ব দেওয়ার পর পাল্টা ব্যবস্থা নেওয়া হলো। এবার গণঅধিকার পরিষদের সদস্য সচিব পদ থেকে নুরুল হক নুর ও ভারপ্রাপ্ত আহ্বায়ক রাশেদ খাঁনকে তাদের পদ থেকে সাময়িক অব্যাহতি দিলেন দলটির আহ্বায়ক ড. রেজা কিবরিয়া।
মঙ্গলবার এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে রেজা কিবরিয়া এ ব্যবস্থা নেওয়ার কথা জানান। এতে তিনি বলেন, গণঅধিকার পরিষদের আহ্বায়ক হিসেবে সাংগঠনিক ক্ষমতাবলে পরবর্তী নির্বাহী সংসদের সভা হওয়ার পূর্ব পর্যন্ত ভারপ্রাপ্ত সদস্য সচিব হিসেবে কোটা সংষ্কার আন্দোলনের প্রতিষ্ঠাতা আহবায়ক ও অধিকার পরিষদের অন্যতম প্রধান উদ্যোক্তা হাসান আল মামুন (আল মামুন) দায়িত্ব পালন করবেন।
রেজা কিবরিয়া বলেন, দেশের সংবিধান বিরোধী কার্যক্রম, ইসরাইলসহ বিদেশি গোয়েন্দা সংস্থার সাথে যোগাযোগ, অনৈতিক আর্থিক লেনদেন, গঠনতন্ত্র লঙ্ঘন করে সভা আয়োজন ও অবৈধভাবে ভারপ্রাপ্ত আহ্বায়ক মনোনয়ন করা এবং সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে নেতাদের বিরুদ্ধে উষ্কানিমূলক পোস্ট দিয়ে দলে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টির দায়ে গণঅধিকার পরিষদের সদস্য সচিব নুরুল হক নুরকে কেন্দ্রীয় আহবায়ক কমিটির পদ থেকে সাময়িক অব্যাহতি দিয়েছেন। একইসঙ্গে এই প্রক্রিয়ায় সহযোগীতা করায় কেন্দ্রীয় আহবায়ক কমিটির ১নং যুগ্ম আহবায়ক রাশেদ খাঁনকে সাময়িক অব্যাহতি দেন। এর পাশাপাশি উভয় নেতাকে আগামী এক সপ্তাহের মধ্যে কারণ দর্শানোর নোটিশও দেওয়া হয়।
ড. রেজা কিবরিয়া সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে দলের সর্বস্তরের নেতাকর্মীদের সাংগঠনিক শক্তি বৃদ্ধি এবং নির্দলীয় ও নিরপেক্ষ নির্বাচনকালীন সরকার গঠনের আন্দোলন বেগবান করার জন্য নির্দেশনা দেন।
এর আগে মঙ্গলবার বিকালে কম্বোডিয়া থেকে মোবাইল ফোনে রেজা কিবরিয়া জানান, ‘আহ্বায়ক আমিই আছি, আমিই থাকবো। আমার সঙ্গে ৭৫ শতাংশ নেতা-কর্মী আছে। সিনিয়ররাও আমার সঙ্গে আছেন। তারা কেউ ওর (নুরুল হক নুর) সঙ্গে থাকবে না।’