এবার তাপপ্রবাহ ও কালবৈশাখীর বার্তা এলো আবহাওয়া অধিদপ্তর থেকে

0
118
তাপপ্রবাহ

বসন্তের হাওয়ায় বিদায় নিচ্ছে শীত। তীব্র শীত মোকাবিলা করে বর্তমানে নাতিশীতোষ্ণ আবহাওয়ার স্বাদ নিচ্ছে দেশের মানুষ। এবার আগামী তিনমাস আবহাওয়া পরিস্থিতিতে কী কী হতে পারে, সে বিষয়ে আগাম বার্তা দিয়েছে বাংলাদেশ আবহাওয়া অধিদপ্তর। এতে শিলাবৃষ্টি, কালবৈশাখী ঝড়, মাঝারি ধরনের তাপপ্রবাহ এবং বঙ্গোপসাগরের লঘুচাপ থেকে ঘূর্ণিঝড়ের আশঙ্কার বার্তা দিয়েছে সংস্থাটি।

আবহাওয়া অধিদপ্তরের ওয়েবসাইটে আগামী তিন মাসের আবহাওয়ার পূর্বাভাস দিয়েছেন সংস্থাটির পরিচালক মো. আজিজুর রহমান।

সংস্থাটি জানায়, গত জানুয়ারি মাসে সার্বিকভাবে সারাদেশে স্বাভাবিক অপেক্ষা কম (১৫.৮ শতাংশ) বৃষ্টিপাত হয়েছে। ব্যতিক্রম কেবল খুলনা। গত মাসে স্বাভাবিকের চেয়ে বেশি বৃষ্টিপাত হয়েছে এ বিভাগে। জানুয়ারি মাসে সর্বোচ্চ ৩৪ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত রেকর্ড করা হয় সাতক্ষীরায়।

এ ছাড়া, উপমহাদেশীয় উচ্চচাপ বলয়ে-র বর্ধিতাংশ বাংলাদেশের পশ্চিমাঞ্চল পর্যন্ত বিস্তার লাভ করায় ২ থেকে ৫, ১২ থেকে ১৫, ১৭ থেকে ১৮ ও ২০ থেকে ৩০ জানুয়ারি দেশের অনেক স্থানে মৃদু থেকে মাঝারি ধরনের শৈত্য প্রবাহ বয়ে যায়। এ সময় গত ২৮ জানুয়ারি দেশের সর্বনিম্ন ৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা তেঁতুলিয়ায় রেকর্ড করা হয়। এ মাসে মধ্যরাত থেকে দুপুর পর্যন্ত দেশের উত্তরপশ্চিমাঞ্চল, উত্তরাঞ্চল, মধ্যাঞ্চল, উত্তরপূর্বাঞ্চল ও নদী অববাহিকায় মাঝারি থেকে ঘন এবং অন্যত্র হালকা থেকে মাঝারি কুয়াশা পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়। শৈত্য প্রবাহ, কৃষি আবহাওয়া এবং দেশের নদ-নদীর অবস্থা জানুয়ারি মাসের পূর্বাভাসের সঙ্গে সামঞ্জস্যপূর্ণ ছিল।

আবহাওয়া অধিদপ্তর জানায়, আগামী তিন মাসে সামগ্রিকভাবে দেশে স্বাভাবিক বৃষ্টিপাতের সম্ভাবনা আছে। বঙ্গোপসাগরে ২ থেকে ৩টি লঘুচাপ সৃষ্টি হতে পারে। যার মধ্যে একটি নিম্নচাপ ঘূর্ণিঝড়ে পরিণত হতে পারে। তবে আগামী তিন মাসে দিন ও রাতের তাপমাত্রা স্বাভাবিক থাকতে পারে। এছাড়া, আগামী তিন মাসের মধ্যে দেশের পশ্চিম, উত্তর, উত্তরপশ্চিমাঞ্চল, উত্তরাঞ্চল ও মধ্যাঞ্চলে ৪ থেকে ৮ দিন বজ্র ও শিলাবৃষ্টিসহ হালকা অথবা মাঝারি ধরণের কালবৈশাখী ঝড় হতে পারে।

এর বাইরেও এই সময়ের মধ্যে দেশে ৩ থেকে ৫টি মৃদু তাপপ্রবাহ বয়ে যাওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। আগামী তিন মাসের মধ্যে মৃদু তাপপ্রবাহ অর্থাৎ দেশের তাপমাত্রা ৩৬ থেকে ৩৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস হতে পারে। মাঝারি ধরনের তাপপ্রবাহের ক্ষেত্রে তাপমাত্রা ৩৮ থেকে ৪০ ডিগ্রি সেলসিয়াসও হতে পারে বলে জানায় সংস্থাটি।

একটি উত্তর ত্যাগ

আপনার মন্তব্য লিখুন দয়া করে!
এখানে আপনার নাম লিখুন দয়া করে

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.