যেন আর্জেন্টিনা ম্যাচের ‘অ্যাকশন রিপ্লে’। সৌদির বিপক্ষে লিওনেল মেসির পেনাল্টিতে লিড নিয়েছিল আর্জেন্টিনা। জাপানের বিপক্ষে জার্মানিও এগিয়ে যায় পেনাল্টি থেকে। আকাশি-নীল জার্সিধারীদের মন ভেঙেছিল অফ সাইডে গোল বাতিল হওয়ায়। জার্মানিও পড়েছে একই ফাঁদে পড়েছে। এরপর দ্বিতীয়ার্ধে সৌদির মতো দুর্দান্ত কামব্যাক দেখিয়েছে এশিয়ার আশা জাপান। জার্মান যন্ত্র বিকল করে তুলে নিয়েছে ২-১ গোলের দুর্দান্ত জয়।
ম্যাচের শুরুতে দুর্দান্ত এক কাউন্টার অ্যাটাক থেকে গোল করেছিল জাপান। কিন্তু অফসাইডের ফাঁদে ওই গোল বাতিল হয়ে যায়। এরপর ৩৩ মিনিটে পেনাল্টি থেকে গোল করে লিড নেয় চারবারের বিশ্ব চ্যাম্পিয়ন জার্মানি। পা পিছলে জাপানের গোলরক্ষক পড়ে যাওয়ার সময় ফাউল করে বসেন। মিডফিল্ডার ইল্কে গুন্ডোগান দলকে লিড এনে দিতে ভুল করেননি।
প্রথমার্ধে একের পর এক আক্রমণ করে খেলা জার্মানি বেশ কিছু সুযোগ হারায়। প্রথমার্ধের শেষ বাঁশির ঠিক আগে দ্বিতীয়বার জালে বলও পাঠায় জার্মানি। কিন্তু অফ সাইডে ওই গোল বাতিল হয়ে যায়। দ্বিতীয়ার্ধের শুরুতেও আক্রমণ করে জার্মানি। জাপান রক্ষণ সামলেই খেলছিল।
ম্যাচের ৭৩ মিনিটে আক্রমণের চিন্তা করেন জাপান কোচ। মাঠে নামান দলটির সেরা তারকা ও স্ট্রাইকার মিনামিনোকে। ইউরোপের লিগে খেলা এই নাম্বার টেন ম্যাচের ৭৫ মিনিটে দলকে সমতায় ফেরানোর কারিগর বনে যান। বক্সের বাঁ-প্রান্ত থেকে নেওয়া তার শট ফেরান জার্মানির গোলরক্ষক ম্যানুয়েল নয়্যার। ফিরতি শটে গোল করেন ডুয়ান।
ওই ধাক্কা কাটিয়ে ওঠার আগেই দ্বিতীয় গোল করে নীল সামুরাই খ্যাত জাপান। ম্যাচের ৮৩ মিনিটে আসানোর গোলে লিড নেয় তারা। সৌদি আরবের পর এশিয়ার আরেক প্রতিনিধি হিসেবে ‘দৈত্য বধের’ পথ রচনা করে। শেষ সময়টা জাপানের জন্য রক্ষণ দেয়াল রক্ষার পরীক্ষা হয়ে দাঁড়ায়। যে পরীক্ষায় পাস করেছে তারা।