এক ছড়িতে প্রায় ২ হাজার কলা, উৎসুক মানুষের ভিড়

0
100
এক ছড়িতে ধরেছে প্রায় দুই হাজার কলা। সম্প্রতি গাজীপুর মহানগরীর কাশিমপুর থানার লতিফপুর এলাকায় মনপুরা বিনোদন পার্কে

কলাগাছের মাথা থেকে বের হওয়া ছড়ি নিচের দিকে নামতে নামতে প্রায় মাটির সঙ্গে ঠেকে গেছে। সাত ফুট লম্বা ছড়ির ওজনে যাতে গাছটি হেলে না পড়ে, তার জন্য দুই পাশে দেওয়া হয়েছে বাঁশ। ছড়িতে কলা ধরেছে প্রায় দুই হাজার।

গাজীপুর মহানগরীর কাশিমপুর থানার লতিফপুর এলাকায় মনপুরা নামের একটি বিনোদন পার্কে এমন একটি কলাগাছ দেখা গেছে। খবর ছড়িয়ে পড়ায় এই কলাগাছ দেখতে প্রতিদিন উৎসুক মানুষ সেখানে ভিড় করছেন।

পার্ক কর্তৃপক্ষ জানায়, দুই বছর আগে মনপুরা পার্কে ঘুরতে এসে এক দর্শনার্থী একটি কলার চারা উপহার হিসেবে দিয়ে যান। সেটি পার্কের ভেতরেই রোপণ করে কর্তৃপক্ষ। ধীরে ধীরে ওই চারা বড় হয়ে কলাও ধরে। পরে সেখান থেকে নতুন করে একটি কলার চারা জন্ম নেয়। যেটিতে ছয় মাস আগে কলার ছড়ি বের হয়। ছড়িটিও বড় হতে থাকে। বড় হতে হতে কলার ছড়িটি প্রায় ৭ ফুট লম্বা হয়ে মাটি ছুঁয়ে যায়।

কলার ছড়ির ভারে যাতে গাছ ভেঙে না পড়ে সেজন্য বাঁশের খুঁটি দেওয়া হয়েছে
কলার ছড়ির ভারে যাতে গাছ ভেঙে না পড়ে সেজন্য বাঁশের খুঁটি দেওয়া হয়েছে

গত শুক্রবার বিকেলে মনপুরা পার্কে বেড়াতে যান কোনাবাড়ী এলাকার বাসিন্দা মারুফ হোসেন। তিনি বলেন, ‘কলার ছড়িটা আমার চেয়ে লম্বা। এর আগে কখনো এত লম্বা কলার ছড়ি দেখা হয়নি। তবে কলাগুলো খাওয়ার উপযোগী কি না, সেটা জানা নেই।’

মনপুরা পার্কের ব্যবস্থাপক জায়েদ হাসান বলেন, ‘পার্কে কলাগাছের চারাটি রোপণের পর তেমন কোনো যত্ন নেওয়া হয়নি। এমনিতেই বড় হয়। গাছটিতে কলাও ধরে। এবারই প্রথম গাছের কলার ছড়ি এত বড় হয়েছে। এবার কলাগাছের ছড়িটি বড় হতে থাকলে গাছটির যত্ন নেওয়া হয়। কলার ছড়ির ভারে যাতে গাছ ভেঙে না পড়ে, তাই দুটি বাঁশের খুঁটি দিয়ে বেঁধে দেওয়া হয়েছে।’

ছড়িতে প্রায় দুই হাজার কলা রয়েছে
ছড়িতে প্রায় দুই হাজার কলা রয়েছে

জায়েদ হাসান আরও বলেন, এটি হাজারিকা জাতের কলাগাছ। তাঁরা এই গাছের কলা খেয়ে দেখেছেন। খেতে কিছুটা টক। কলার ছড়ি দেখতে অনেকেই দূরদূরান্ত থেকে পার্কে আসছেন।

কাশিমপুর সুরাবাড়ি এলাকার রুহুল আমিন দেওয়ান বলেন, লম্বা কলার ছড়ির কথা শুনে গাছটি দেখতে গিয়েছিলেন। ওপরের দিকের কলাগুলো একটু বড়। কয়েকটি কলা পেকে গেছে। আর নিচের দিকের কলাগুলো খুবই ছোট।

গাজীপুর সদর উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মো. হাসিবুল হাসান বলেন, ‘ব্যতিক্রমী এই কলার ছড়ির কথা শুনে তাঁরা পার্কে গিয়েছিলেন। ছড়িতে প্রায় দুই হাজার কলা রয়েছে। ওপরের কলাগুলো খাওয়ার উপযোগী থাকলেও নিচের কলাগুলো খাওয়ার মতো নয়। ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে বিষয়টি জানানো হবে। এখান থেকে নতুন জাত উদ্ভাবন করা সম্ভব কি না, সে বিষয়ে গবেষণার উদ্যোগ নেওয়া হবে।’

একটি উত্তর ত্যাগ

আপনার মন্তব্য লিখুন দয়া করে!
এখানে আপনার নাম লিখুন দয়া করে

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.