এই দিনে মেহজাবীনের জীবন পাল্টে গিয়েছিল

0
11
মেহজাবীন। ছবি: ফেসবুক

টান টান উত্তেজনা। মুখে হাসি থাকলেও উৎকণ্ঠা ঠিকই পাওয়া যায়। সবাই অপেক্ষায়। ঘোষণা করা হবে ফল। বেশ কয়েকবার নাম ঘোষণা করতে গিয়েও সময় নেন উপস্থাপিকা সামিয়া আফরিন।

পরে আর কালক্ষেপণ নয়। কারণ, সবার চোখ এখন ঘোষণার দিকে। অপেক্ষা করছেন, কে হচ্ছেন প্রথম। এরই মধ্যে হঠাৎ ভেসে আসে, প্রথম হয়েছেন মেহজাবীন চৌধুরী। শীর্ষে নিজের নাম দেখে সেই মুহূর্তে চমকে লাফিয়ে ওঠেন মেহজাবীন।

বিজয়ী ঘোষণার মুহূর্তে মেহজাবীন। ছবি: সংগৃহীত
বিজয়ী ঘোষণার মুহূর্তে মেহজাবীন। ছবি: সংগৃহীত

দেড় দশক আগে আজকের দিনে ক্যারিয়ারের সেই মাহেন্দ্রক্ষণের ভিডিও প্রকাশ করেছেন এই অভিনেত্রী। এই দিনে লাক্স–চ্যানেল আই সুপারস্টার হন তিনি। শুরু হয় মেহজাবীনের মিডিয়ায় পথচলা। সেদিনের কথা স্মরণ করে মেহজাবীন ফেসবুক স্ট্যাটাসে লিখেছেন, ‘ঠিক ১৫ বছর আগে আজকের এই দিনে আমার জীবন একেবারেই পাল্টে গিয়েছিল। ২২ জানুয়ারি ২০১০ থেকে ২২ জানুয়ারি ২০২৫।’

সুন্দরী প্রতিযোগিতায় সেরা হওয়ার পরে দেশের বাড়ি চট্টগ্রামে চলে যান মেহজাবীন। এর কিছুদিন পর চ্যানেল আই থেকে নাটকে অভিনয়ের ডাক আসে। নির্মিত হয় তাঁর প্রথম অভিনীত নাটক ‘তুমি থাকো সিন্ধু পাড়ে’। এটি নির্মাণ করা হয় ২১ ফেব্রুয়ারির জন্য। নাটকে মেহজাবীনের সহশিল্পী ছিলেন মাহফুজ আহমেদ। পরিচালক ছিলেন ইফতেখার আহমেদ ফাহমি।

বিজয়ী ঘোষণার মুহূর্তে মেহজাবীন। ছবি: সংগৃহীত
বিজয়ী ঘোষণার মুহূর্তে মেহজাবীন। ছবি: সংগৃহীত

সেই থেকে শুরু হয় মেহজাবীনের নাট্যাঙ্গনে পথচলা। একের পর এক নাটকে অভিনয় করতে থাকেন। এর মধ্য দিয়ে নিজেকে প্রমাণ করতে থাকেন। তৈরি হয় আলাদা একটি জায়গা। অভিনয় দিয়ে হয়ে উঠেছেন দেশের শীর্ষস্থানীয় তারকা। নাটকের পরে মেহজাবীনকে দেখা যায় ওটিটির কাজে। সেখানেও রেখেছেন সফলতার স্বাক্ষর।

‘প্রিয় মালতী’ সিনেমার দৃশ্যে মেহজাবীন চৌধুরী
‘প্রিয় মালতী’ সিনেমার দৃশ্যে মেহজাবীন চৌধুরী, প্রযোজনা প্রতিষ্ঠানের সৌজন্যে

গত বছর মেহজাবীন জানান প্রথমবারের মতো সিনেমায় অভিনয় করার কথা। তাঁর অভিনীত প্রথম সিনেমা ‘সাবা’। সিনেমাটি কানাডার টরন্টো উৎসবে প্রিমিয়ার হয়। পরে আবার জানা যায়, দ্বিতীয় সিনেমা ‘প্রিয় মালতী’র কথা। সিনেমাটি দিয়ে প্রথমবারের মতো বড় পর্দায় আসেন এই অভিনেত্রী। সম্প্রতি ‘প্রিয় মালতী’ ২৩তম ঢাকা আন্তর্জাতিক চলচ্চিত্র উৎসবে বাংলাদেশ প্যানোরামা বিভাগে সেরা সিনেমার পুরস্কার পেয়েছে। এটি পরিচালনা করেছেন শঙ্খ দাশগুপ্ত।

একটি উত্তর ত্যাগ

আপনার মন্তব্য লিখুন দয়া করে!
এখানে আপনার নাম লিখুন দয়া করে

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.