চলতি বছরের এইচএসসি ও সমমান পরীক্ষা গত ২৬ জুন শুরু হয়। এতে অংশ নেন ১২ লাখেরও বেশি পরীক্ষার্থী। সংশোধিত রুটিন অনুযায়ী— ১৯ আগস্ট তাদের লিখিত পরীক্ষা শেষ হয়। এখন তারা ফলের অপেক্ষায়।
শিক্ষা বোর্ডগুলো বলছে, পাবলিক পরীক্ষা আইন অনুযায়ী— লিখিত পরীক্ষা শেষ হওয়ার ৬০ দিনের মধ্যে ফল প্রকাশ করা হয়। সে লক্ষ্যে এখন ফল তৈরির কাজ চলছে। নির্ধারিত সময়ের মধ্যেই ফল প্রকাশ করা হবে। সে হিসাবে ১৮ অক্টোবরের মধ্যে ফল প্রকাশ করা হবে।
এদিকে বৃহস্পতিবার (১৮ জুন) ঢাকা শিক্ষা বোর্ডের পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক অধ্যাপক এস এম কামাল উদ্দিন হায়দার বলেন, পরীক্ষা শেষ হওয়ার ৬০ দিনের ভেতর ফল দেয়া হবে। ৬০ দিনে কত তারিখ হতে পারে হিসেব করে বের করে নিতে হবে। এর আগেও হতে পারে। কাজ শেষ হলেই আমরা ফল দিয়ে দেবো।
তিনি আরও বলেন, এইচএসসির ফল প্রকাশের তারিখ নিয়ে এখনও কিছু ভাবিনি। আমরা কারো সঙ্গে এই নিয়ে কোনো কথাও বলিনি। তিনবার পরীক্ষা পিছিয়েছে। আমরা বলেছি পরীক্ষা শেষ হওয়ার ৬০ দিনের ভেতর ফল দেবো আর কি।
খাতা মূল্যায়নের সময় বাড়ানোর কোনো প্রভাব ফল প্রকাশের ওপর পড়বে কিনা জানতে চাইলে তিনি বলেন, খাতা মূল্যায়নের সময় বাড়ানোর সঙ্গে এর কোনো সম্পর্ক নেই।
এবারের এইচএসসি পরীক্ষায় ২৬ জুন থেকে তত্ত্বীয় পরীক্ষা শুরু হয়ে তিন ধাপ পিছিয়ে পরীক্ষা শেষ হয় ১৯ আগস্ট। ব্যবহারিক পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয় ২১ থেকে ৩১ আগস্ট পর্যন্ত। এই পরীক্ষা ঘিরে নানা ধরনের সংকট ও স্বাস্থ্যগত ঝুঁকি তৈরি হলেও বিভিন্ন উদ্যোগের কারণে পরীক্ষা শেষ হয়।
এবার ১১টি শিক্ষা বোর্ডের অধীনে এইচএসসি ও সমমান পরীক্ষায় অংশ নিতে ফরম পূরণ করেন ১২ লাখ ৫১ হাজার ১১১ শিক্ষার্থী। তাদের মধ্যে ৬ লাখ ১৮ হাজার ১৫ ছাত্র এবং ৬ লাখ ৩৩ হাজার ৯৬ ছাত্রী। সারাদেশে ২ হাজার ৭৯৭টি কেন্দ্রে পরীক্ষা হয়।
তবে এ পরীক্ষায় প্রায় ২৭ হাজার শিক্ষার্থী অনুপস্থিত ছিলেন। ফলে ফলাফলের অপেক্ষায় রয়েছেন মূলত সোয়া ১২ লাখের মতো এইচএসসি পরীক্ষার্থী।