উৎপাদনে বড় অবদান রাখছে মৌলভীবাজারের ৯২টি চা বাগান

0
23
চা শ্রমিক

দেশের উত্তর-পূর্বাঞ্চলের সবুজ পাহাড় ও ঘন বনভূমির মাঝে অবস্থিত শ্রীমঙ্গল। যা পরিচিত ‘চায়ের রাজধানী’ নামে। এখানকার চা বাগানগুলো শুধু সৌন্দর্যের প্রতীক নয়, দেশের অর্থনীতিরও গুরুত্বপূর্ণ অংশ। শতাব্দীর প্রাচীন এই শিল্প আজও টিকে আছে নতুন আশা ও উদ্যমে। আর এ শিল্পের সাথে চা শ্রমিকদের শ্রম আর ঘামের ইতিহাস প্রায় ২০০ বছরের। বর্তমানে দেশের মোট চা উৎপাদনের বড় অংশই আসে মৌলভীবাজার জেলার চা বাগান থেকে।

দেশের উত্তর-পূর্বাঞ্চলের সবুজ পাহাড় ও ঘন বনভূমির মাঝে অবস্থিত শ্রীমঙ্গল। যা পরিচিত ‘চায়ের রাজধানী’ নামে। এখানকার চা বাগানগুলো শুধু সৌন্দর্যের প্রতীক নয়, দেশের অর্থনীতিরও গুরুত্বপূর্ণ অংশ। শতাব্দীর প্রাচীন এই শিল্প আজও টিকে আছে নতুন আশা ও উদ্যমে। আর এ শিল্পের সাথে চা শ্রমিকদের শ্রম আর ঘামের ইতিহাস প্রায় ২০০ বছরের। বর্তমানে দেশের মোট চা উৎপাদনের বড় অংশই আসে মৌলভীবাজার জেলার চা বাগান থেকে।

চা শ্রমিক

এদিকে চা বোর্ডের তথ্য বিশ্লেষণে দেখা যায়, শেষ গত বছর রপ্তানি বাড়লেও দুই যুগ আগে রপ্তানিতে যে জৌলুস ছিল তা এখনো ফেরেনি। আর স্বাধীনতার পর দ্বিতীয় সর্বোচ্চ রপ্তানি পণ্য ছিল এ চা। দেশের প্রধান চা উৎপাদন মৌসুম জুন থেকে নভেম্বর। বর্তমানে দেশে বার্ষিক চাহিদা সাড়ে আট কোটি কেজি থেকে নয় কোটি কেজির মধ্যে। বাকি চা রপ্তানি হচ্ছে।

চা বোর্ডের দেওয়া তথ্যমতে, দেশে সমতল ও পাহাড় মিলে চা বাগানের সংখ্যা ১৬৭টি। এর মধ্যে বেশি চা বাগান রয়েছে মৌলভীবাজার জেলায়। এখানেই রয়েছে ৯২টি বাগান। আর বাগানগুলোতে চা চাষের আওতাধীন রয়েছে (৮৫৫৪১. ৬২) ৮৫ হাজার ৫৪১ দশমিক ৬২ একর জমি। দেশের মোট চা উৎপাদনের প্রায় ৭৫%-ই আসে এই অঞ্চল থেকে। সর্বশেষ ২০২৪ সালে নয় কোটি ৩০ লাখ কেজি চা উৎপাদন হয়েছে মৌলভীবাজার জেলায়। বছরের পর বছর ধরে এসব চা বাগানে কর্মরত ৮৬ হাজার চা শ্রমিক দেশের অর্থনীতিতে রেখে যাচ্ছেন গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা। শ্রীমঙ্গলে দেশের দ্বিতীয় আন্তর্জাতিক চা নিলাম কেন্দ্র চালু হওয়ায় এখানকার চা উৎপাদনে নতুন মাত্রা যোগ হয়েছে বলে মনে করছেন চা খাতসংশ্লিষ্টরা । চলতি বছর এ জেলায় চা উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে ১০৩ মিলিয়ন কেজি।

চা শ্রমিক

দেশের উত্তর-পূর্বাঞ্চলের সবুজ পাহাড় ও ঘন বনভূমির মাঝে অবস্থিত শ্রীমঙ্গল। যা পরিচিত ‘চায়ের রাজধানী’ নামে। এখানকার চা বাগানগুলো শুধু সৌন্দর্যের প্রতীক নয়, দেশের অর্থনীতিরও গুরুত্বপূর্ণ অংশ। শতাব্দীর প্রাচীন এই শিল্প আজও টিকে আছে নতুন আশা ও উদ্যমে। আর এ শিল্পের সাথে চা শ্রমিকদের শ্রম আর ঘামের ইতিহাস প্রায় ২০০ বছরের। বর্তমানে দেশের মোট চা উৎপাদনের বড় অংশই আসে মৌলভীবাজার জেলার চা বাগান থেকে।

এদিকে চা বোর্ডের তথ্য বিশ্লেষণে দেখা যায়, শেষ গত বছর রপ্তানি বাড়লেও দুই যুগ আগে রপ্তানিতে যে জৌলুস ছিল তা এখনো ফেরেনি। আর স্বাধীনতার পর দ্বিতীয় সর্বোচ্চ রপ্তানি পণ্য ছিল এ চা। দেশের প্রধান চা উৎপাদন মৌসুম জুন থেকে নভেম্বর। বর্তমানে দেশে বার্ষিক চাহিদা সাড়ে আট কোটি কেজি থেকে নয় কোটি কেজির মধ্যে। বাকি চা রপ্তানি হচ্ছে।

চা বোর্ডের দেওয়া তথ্যমতে, দেশে সমতল ও পাহাড় মিলে চা বাগানের সংখ্যা ১৬৭টি। এর মধ্যে বেশি চা বাগান রয়েছে মৌলভীবাজার জেলায়। এখানেই রয়েছে ৯২টি বাগান। আর বাগানগুলোতে চা চাষের আওতাধীন রয়েছে (৮৫৫৪১. ৬২) ৮৫ হাজার ৫৪১ দশমিক ৬২ একর জমি। দেশের মোট চা উৎপাদনের প্রায় ৭৫%-ই আসে এই অঞ্চল থেকে। সর্বশেষ ২০২৪ সালে নয় কোটি ৩০ লাখ কেজি চা উৎপাদন হয়েছে মৌলভীবাজার জেলায়। বছরের পর বছর ধরে এসব চা বাগানে কর্মরত ৮৬ হাজার চা শ্রমিক দেশের অর্থনীতিতে রেখে যাচ্ছেন গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা। শ্রীমঙ্গলে দেশের দ্বিতীয় আন্তর্জাতিক চা নিলাম কেন্দ্র চালু হওয়ায় এখানকার চা উৎপাদনে নতুন মাত্রা যোগ হয়েছে বলে মনে করছেন চা খাতসংশ্লিষ্টরা । চলতি বছর এ জেলায় চা উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে ১০৩ মিলিয়ন কেজি।

চা কোয়ালিটি

দ্বিতীয় আন্তর্জাতিক চা নিলাম কেন্দ্র

শ্রীমঙ্গলের চা নিলাম কেন্দ্রটি দেশের দ্বিতীয় আন্তর্জাতিক চা নিলাম কেন্দ্র হিসেবে পরিচিত। এখানে প্রতি বছর বেশ কয়েকটি নিলাম অনুষ্ঠিত হয়, যেখানে দেশের বিভিন্ন চা বাগান থেকে চা সংগ্রহ করে নিলামে তোলা হয়। শ্রীমঙ্গলের চা নিলাম বাজারের সর্বশেষ নিলামটি হয়েছিল গত ২৫ জুন, যেখানে ২০২৫-২০২৬ অর্থবছরের প্রথম নিলাম অনুষ্ঠিত হয়। এই নিলামে পাঁচটি ব্রোকার্স হাউজের ১ লক্ষ ২৫ হাজার ৩৩ কেজি চা নিলামে উঠেছিল। যার আনুমানিক মূল্য ৩ কোটি ৭ লাখ ৭ হাজার টাকা। নিলামে সর্বোচ্চ দরে বিক্রি হয়েছে গ্রীনলিফ চা বাগানের গ্রীন টি ১৪৫০টাকা প্রতি কেজি দরে বিক্রি হয়। আর ন্যাশনাল টি কোম্পানির পার্থখলা ও প্রেমনগর বাগানের ব্ল্যাক-টি বিক্রি হয়েছে প্রতি কেজি ২৭১ টাকা দরে।

দেশের উত্তর-পূর্বাঞ্চলের সবুজ পাহাড় ও ঘন বনভূমির মাঝে অবস্থিত শ্রীমঙ্গল। যা পরিচিত ‘চায়ের রাজধানী’ নামে। এখানকার চা বাগানগুলো শুধু সৌন্দর্যের প্রতীক নয়, দেশের অর্থনীতিরও গুরুত্বপূর্ণ অংশ। শতাব্দীর প্রাচীন এই শিল্প আজও টিকে আছে নতুন আশা ও উদ্যমে। আর এ শিল্পের সাথে চা শ্রমিকদের শ্রম আর ঘামের ইতিহাস প্রায় ২০০ বছরের। বর্তমানে দেশের মোট চা উৎপাদনের বড় অংশই আসে মৌলভীবাজার জেলার চা বাগান থেকে।

এদিকে চা বোর্ডের তথ্য বিশ্লেষণে দেখা যায়, শেষ গত বছর রপ্তানি বাড়লেও দুই যুগ আগে রপ্তানিতে যে জৌলুস ছিল তা এখনো ফেরেনি। আর স্বাধীনতার পর দ্বিতীয় সর্বোচ্চ রপ্তানি পণ্য ছিল এ চা। দেশের প্রধান চা উৎপাদন মৌসুম জুন থেকে নভেম্বর। বর্তমানে দেশে বার্ষিক চাহিদা সাড়ে আট কোটি কেজি থেকে নয় কোটি কেজির মধ্যে। বাকি চা রপ্তানি হচ্ছে।

চা কারখানা

চা বোর্ডের দেওয়া তথ্যমতে, দেশে সমতল ও পাহাড় মিলে চা বাগানের সংখ্যা ১৬৭টি। এর মধ্যে বেশি চা বাগান রয়েছে মৌলভীবাজার জেলায়। এখানেই রয়েছে ৯২টি বাগান। আর বাগানগুলোতে চা চাষের আওতাধীন রয়েছে (৮৫৫৪১. ৬২) ৮৫ হাজার ৫৪১ দশমিক ৬২ একর জমি। দেশের মোট চা উৎপাদনের প্রায় ৭৫%-ই আসে এই অঞ্চল থেকে। সর্বশেষ ২০২৪ সালে নয় কোটি ৩০ লাখ কেজি চা উৎপাদন হয়েছে মৌলভীবাজার জেলায়। বছরের পর বছর ধরে এসব চা বাগানে কর্মরত ৮৬ হাজার চা শ্রমিক দেশের অর্থনীতিতে রেখে যাচ্ছেন গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা। শ্রীমঙ্গলে দেশের দ্বিতীয় আন্তর্জাতিক চা নিলাম কেন্দ্র চালু হওয়ায় এখানকার চা উৎপাদনে নতুন মাত্রা যোগ হয়েছে বলে মনে করছেন চা খাতসংশ্লিষ্টরা । চলতি বছর এ জেলায় চা উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে ১০৩ মিলিয়ন কেজি।

দ্বিতীয় আন্তর্জাতিক চা নিলাম কেন্দ্র

শ্রীমঙ্গলের চা নিলাম কেন্দ্রটি দেশের দ্বিতীয় আন্তর্জাতিক চা নিলাম কেন্দ্র হিসেবে পরিচিত। এখানে প্রতি বছর বেশ কয়েকটি নিলাম অনুষ্ঠিত হয়, যেখানে দেশের বিভিন্ন চা বাগান থেকে চা সংগ্রহ করে নিলামে তোলা হয়। শ্রীমঙ্গলের চা নিলাম বাজারের সর্বশেষ নিলামটি হয়েছিল গত ২৫ জুন, যেখানে ২০২৫-২০২৬ অর্থবছরের প্রথম নিলাম অনুষ্ঠিত হয়। এই নিলামে পাঁচটি ব্রোকার্স হাউজের ১ লক্ষ ২৫ হাজার ৩৩ কেজি চা নিলামে উঠেছিল। যার আনুমানিক মূল্য ৩ কোটি ৭ লাখ ৭ হাজার টাকা। নিলামে সর্বোচ্চ দরে বিক্রি হয়েছে গ্রীনলিফ চা বাগানের গ্রীন টি ১৪৫০টাকা প্রতি কেজি দরে বিক্রি হয়। আর ন্যাশনাল টি কোম্পানির পার্থখলা ও প্রেমনগর বাগানের ব্ল্যাক-টি বিক্রি হয়েছে প্রতি কেজি ২৭১ টাকা দরে।

২০২৪-২০২৫ অর্থবছরের শেষ নিলাম পর্যন্ত শ্রীমঙ্গল চা নিলাম কেন্দ্রে মোট অফারিং ছিল ১৩ লাখ ২৯ হাজার ১২১ দশমিক ৬০ কেজি চা। যার মধ্যে বিক্রি হয়েছে ১১ লাখ ৪৮ হাজার ৮৯৩ দশমিক ১০ কেজি চা। অবিক্রীত রয়েছে ১ লাখ ৮০ হাজার ২২৮ দশমিক ৫০ কেজি চা। বিক্রিত চায়ের গড় মূল্য ছিল প্রায় ১৭৫ টাকা। ২০২৪-২০২৫ অর্থবছরের শেষ নিলামে তিনটি ব্রোকার্স হাউজের ১ লাখ ৩২ হাজার ১১৯ দশমিক ৬০ কেজি চা নিলামে উঠেছিল। এর মধ্যে বিক্রি হয় মাত্র ৪২ হাজার ১৮৪ দশমিক ১০ কেজি চা। যার গড় মূল্য ছিল ২০৮ টাকা ৬০ পয়সা।

চা শ্রমিকেদের দৈনিক মজুরি

দেশের উত্তর-পূর্বাঞ্চলের সবুজ পাহাড় ও ঘন বনভূমির মাঝে অবস্থিত শ্রীমঙ্গল। যা পরিচিত ‘চায়ের রাজধানী’ নামে। এখানকার চা বাগানগুলো শুধু সৌন্দর্যের প্রতীক নয়, দেশের অর্থনীতিরও গুরুত্বপূর্ণ অংশ। শতাব্দীর প্রাচীন এই শিল্প আজও টিকে আছে নতুন আশা ও উদ্যমে। আর এ শিল্পের সাথে চা শ্রমিকদের শ্রম আর ঘামের ইতিহাস প্রায় ২০০ বছরের। বর্তমানে দেশের মোট চা উৎপাদনের বড় অংশই আসে মৌলভীবাজার জেলার চা বাগান থেকে।

এদিকে চা বোর্ডের তথ্য বিশ্লেষণে দেখা যায়, শেষ গত বছর রপ্তানি বাড়লেও দুই যুগ আগে রপ্তানিতে যে জৌলুস ছিল তা এখনো ফেরেনি। আর স্বাধীনতার পর দ্বিতীয় সর্বোচ্চ রপ্তানি পণ্য ছিল এ চা। দেশের প্রধান চা উৎপাদন মৌসুম জুন থেকে নভেম্বর। বর্তমানে দেশে বার্ষিক চাহিদা সাড়ে আট কোটি কেজি থেকে নয় কোটি কেজির মধ্যে। বাকি চা রপ্তানি হচ্ছে।

চা বোর্ডের দেওয়া তথ্যমতে, দেশে সমতল ও পাহাড় মিলে চা বাগানের সংখ্যা ১৬৭টি। এর মধ্যে বেশি চা বাগান রয়েছে মৌলভীবাজার জেলায়। এখানেই রয়েছে ৯২টি বাগান। আর বাগানগুলোতে চা চাষের আওতাধীন রয়েছে (৮৫৫৪১. ৬২) ৮৫ হাজার ৫৪১ দশমিক ৬২ একর জমি। দেশের মোট চা উৎপাদনের প্রায় ৭৫%-ই আসে এই অঞ্চল থেকে। সর্বশেষ ২০২৪ সালে নয় কোটি ৩০ লাখ কেজি চা উৎপাদন হয়েছে মৌলভীবাজার জেলায়। বছরের পর বছর ধরে এসব চা বাগানে কর্মরত ৮৬ হাজার চা শ্রমিক দেশের অর্থনীতিতে রেখে যাচ্ছেন গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা। শ্রীমঙ্গলে দেশের দ্বিতীয় আন্তর্জাতিক চা নিলাম কেন্দ্র চালু হওয়ায় এখানকার চা উৎপাদনে নতুন মাত্রা যোগ হয়েছে বলে মনে করছেন চা খাতসংশ্লিষ্টরা । চলতি বছর এ জেলায় চা উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে ১০৩ মিলিয়ন কেজি।

দ্বিতীয় আন্তর্জাতিক চা নিলাম কেন্দ্র

শ্রীমঙ্গলের চা নিলাম কেন্দ্রটি দেশের দ্বিতীয় আন্তর্জাতিক চা নিলাম কেন্দ্র হিসেবে পরিচিত। এখানে প্রতি বছর বেশ কয়েকটি নিলাম অনুষ্ঠিত হয়, যেখানে দেশের বিভিন্ন চা বাগান থেকে চা সংগ্রহ করে নিলামে তোলা হয়। শ্রীমঙ্গলের চা নিলাম বাজারের সর্বশেষ নিলামটি হয়েছিল গত ২৫ জুন, যেখানে ২০২৫-২০২৬ অর্থবছরের প্রথম নিলাম অনুষ্ঠিত হয়। এই নিলামে পাঁচটি ব্রোকার্স হাউজের ১ লক্ষ ২৫ হাজার ৩৩ কেজি চা নিলামে উঠেছিল। যার আনুমানিক মূল্য ৩ কোটি ৭ লাখ ৭ হাজার টাকা। নিলামে সর্বোচ্চ দরে বিক্রি হয়েছে গ্রীনলিফ চা বাগানের গ্রীন টি ১৪৫০টাকা প্রতি কেজি দরে বিক্রি হয়। আর ন্যাশনাল টি কোম্পানির পার্থখলা ও প্রেমনগর বাগানের ব্ল্যাক-টি বিক্রি হয়েছে প্রতি কেজি ২৭১ টাকা দরে।

২০২৪-২০২৫ অর্থবছরের শেষ নিলাম পর্যন্ত শ্রীমঙ্গল চা নিলাম কেন্দ্রে মোট অফারিং ছিল ১৩ লাখ ২৯ হাজার ১২১ দশমিক ৬০ কেজি চা। যার মধ্যে বিক্রি হয়েছে ১১ লাখ ৪৮ হাজার ৮৯৩ দশমিক ১০ কেজি চা। অবিক্রীত রয়েছে ১ লাখ ৮০ হাজার ২২৮ দশমিক ৫০ কেজি চা। বিক্রিত চায়ের গড় মূল্য ছিল প্রায় ১৭৫ টাকা। ২০২৪-২০২৫ অর্থবছরের শেষ নিলামে তিনটি ব্রোকার্স হাউজের ১ লাখ ৩২ হাজার ১১৯ দশমিক ৬০ কেজি চা নিলামে উঠেছিল। এর মধ্যে বিক্রি হয় মাত্র ৪২ হাজার ১৮৪ দশমিক ১০ কেজি চা। যার গড় মূল্য ছিল ২০৮ টাকা ৬০ পয়সা।

চা শ্রমিকেদের দৈনিক মজুরি

তবে চা শিল্পের সবচেয়ে বড় সম্পদ হলো এখানকার চা শ্রমিকেরা। তারা প্রজন্মের পর প্রজন্ম ধরে এই শিল্পকে ধরে রেখেছে। ২০২২ সালে তাদের দৈনিক মজুরির ছিল ১২০ টাকা। দীর্ঘ আন্দেলন সংগ্রামের পর বিগত সরকারের হস্তক্ষেপে তাদের মজুরি ১৭০ টাকা নির্ধারণ হয়। ২০২৩ সালের আগস্টে শ্রম মন্ত্রণালয় বিচার বিভাগভিত্তিক মজুরি ধার্য করে A‑ক্যাটাগরি মান ১৭০ টাকা, B‑১৭০, C‑১৬৮–১৬৯ টাকা মজুরি নির্ধারন করে দেওয়া হয়। যদিও তাদের জীবনযাত্রার মান এখনও কাঙ্ক্ষিত মাত্রায় পৌঁছায়নি, তবে সরকারি ও বেসরকারি সহযোগিতায় পরিস্থিতির উন্নতি ঘটছে।

চায়ের উৎপাদন, রপ্তানি ও আমদানি

দীর্ঘ সময় ধরে বাংলাদেশ চা উৎপাদনে পিছিয়ে ছিল। এক দশক আগেও দেশে চা উৎপাদন হতো ছয় কোটি কেজির কিছু বেশি। তবে ধারাবাহিকভাবে উৎপাদন বাড়ার কারণে দেশে চা উৎপাদনের পরিমাণ ১০ কোটি কেজি অতিক্রম করেছিল ২০২৩ সালে। যা এক বছর বাদে আবার নেতিবাচক ধারায় চলে যায়। চা বোর্ডের তথ্য অনুসারে, ২০২৪ সালে নয় কোটি ৩০ লাখ কেজি চা উৎপাদন হয়েছে। অর্থাৎ, আগের বছরের চেয়ে উৎপাদন কমেছে প্রায় ৯৯ লাখ কেজি।

তবে স্বস্তির খবর, একই সময়ে (২০২৩ থেকে ২০২৪) চায়ের রপ্তানি দ্বিগুণের বেশি বেড়েছে। ২০২৩ সালে বাংলাদেশ থেকে চায়ের রপ্তানি হয়েছিল ১০ লাখ চার হাজার কেজি, যা পরের বছর ২৪ লাখ ৫০ হাজার কেজি হয়। গত বছর ১৯টি দেশে রপ্তানি করা হয়েছে ওইসব চা। রপ্তানির তালিকায় যুক্ত হয়েছে কয়েকটি নতুন দেশ।

একদিকে চায়ের রপ্তানি হচ্ছে, আবার কিছু চা আমদানিও হচ্ছে। ২০২০ সালে দেশে ছয় লাখ ৮০ হাজার কেজি চা আমদানি করা হয়। এরপর তা ক্রমে বেড়ে ২০২১ সালে সাত লাখ ৪০ হাজার কেজি এবং ২০২২ সালে ১০ লাখ কেজিতে এবং শেষ ২০২৩ সালে প্রায় ১২ লাখ কেজি চা আমদানি হয়।

বাংলাদেশ চা শ্রমিক ইউনিয়নের সভাপতি মাখন লাল কর্মকার বলেন, এখন চা শ্রমিকদের মূল দাবি তাদের ভূমি অধিকার এবং ২০ মে রাষ্ট্রীয়ভাবে ‘চা-শ্রমিক দিবস’ হিসেবে জাতীয় স্বীকৃতি প্রধান করা।

এ ব্যাপারে জেরিন চা বাগানের ডেপুটি জেনারেল ম্যানেজার সেলিম রেজা বলেন, চায়ের রাজধানী মৌলভীবাজারে বাড়ছে বাগানের আয়তন। চা উৎপাদন বাড়াতে উৎসাহিত করছে সরকার। এজন্য বাগান মালিকরাও তাদের অনাবাদি জমিতে নতুন চারা রোপণ শুরু করেছেন। বাগানের গাছের পরিচর্যার মাধ্যমে উৎপাদন বৃদ্ধি চেষ্টা অব্যহত আছে বলে জানান তিনি।

শ্রীগোবিন্দপুর চা বাগানের মালিক ও ন্যাশনাল টি কোম্পানির পরিচালক মো. মহসীন মিয়া মধু বলেন, অমিত সম্ভাবনার অনুপাতে অনেকটা অর্জিত না হলেও এ শিল্পের অর্জনও একেবারে কম নয়। বিটিআরআই উদ্ভাবিত প্রযুক্তি ও বৈজ্ঞানিক জ্ঞান চা শিল্পে জেনেটিক মোডিফিকেশন ও মাইক্রোপোপাগেশনের মাধ্যমে চায়ের ক্লোনচারা রোপণে উৎপাদন বৃদ্ধি পাচ্ছে। পাশাপাশি সার, কীটনাশকসহ সবকিছুর দাম বাড়লেও চায়ের দাম বৃদ্ধি পাচ্ছে না। এতে চা বাগান পরিচালনা করতে হিমশিম খেতে হচ্ছে।

বাংলাদেশ টি অ্যাসোসিয়েশন সিলেট ব্রাঞ্চের চেয়ারম্যান জি এম শিবলী বলেন, চাহিদার সঙ্গে সঙ্গতি রেখে মৌলভীবাজার জেলা দেশের চা উৎপাদনে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখছে। জেলার প্রায় সব উপজেলা ছোট বড় চা বাগান রয়েছে। চা উৎপাদনে পরিবেশগত সুবিধা থাকায় এবং বাগান মালিকদের আন্তরিকতায় প্রতি বছর সর্বোচ্চ পরিমাণ চা উৎপাদন সম্ভব হচ্ছে।

বাংলাদেশ চা গবেষণা ইনস্টিটিউটের পরিচালক ড. ইসমাইল হোসেন জানান, এই ফসলের উৎপাদন বৃদ্ধি ও গুণগতমান রক্ষায় নানা প্রকল্প গ্রহন করা হয়েছে। এখন উৎপাদন মৌসুম শুরু হয়েছে। চা বোর্ড চেয়ারম্যানের নির্দেশে চা গবেষণা কেন্দ্রের সব কর্মকর্তা এখন মাঠে কাজ করছেন।সংগত কারণেই

চা বোর্ডের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ও উপসচিব সাবিনা ইয়াসমিন বলেন, আমরা চাই বাংলাদেশের চা শিল্প রক্ষা পাক, আমাদের দেশের উৎপাদিত চায়ের মান উন্নত হোক এবং এই অবৈধ আমদানি ও বাজারজাতকরণের মাধ্যমে যেন আমাদের দেশের চা শিল্প ক্ষতিগ্রস্ত না হয় সে দিকে চা বোর্ডের নজর রয়েছে।

চা শিল্প সংশ্লিষ্টদের মতে, দেশে ও বিদেশে চা-এর চাহিদা দিন দিন বৃদ্ধি পাচ্ছে। এর প্রভাব পড়েছে উৎপাদনেও। বাংলাদেশ চা বোর্ডের তথ্য অনুযায়ী, প্রতি বছর চা উৎপাদনের পরিমাণ বৃদ্ধি পাচ্ছে, পাশাপাশি অভ্যন্তরীণ বাজারেও বিক্রি বাড়ছে ব্যাপক হারে। যত্ন, উদ্ভাবন ও সম্মিলিত প্রচেষ্টার মাধ্যমে বাংলাদেশের চা শিল্প আন্তর্জাতিক পরিমণ্ডলে আরও উচ্চতা ছুঁতে পারে।

 

একটি উত্তর ত্যাগ

আপনার মন্তব্য লিখুন দয়া করে!
এখানে আপনার নাম লিখুন দয়া করে

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.