‘সিঁথির অতিথি’ অনুষ্ঠানের শততম পর্বে কোনো বিশেষ আয়োজন থাকছে?
শততম পর্ব নিয়ে আমরা একটু সংশয়ে ছিলাম—কে থাকবেন না থাকবেন। এখন শিল্পীরা তো ব্যস্ত, সবাইকে পাওয়া মুশকিল। বিশেষ পর্বটি নিয়ে অনেক পরিকল্পনা ছিল, সেটা হয়নি। আমাদের শততম পর্বে শম্পা রেজা থাকছেন।
অনুষ্ঠানটি তো কোভিডের সময় শুরু হয়েছিল…
জি। ২০২০ সালের জুলাই মাসে শুরু হয়েছিল—প্রথম পর্বে অতিথি ছিলেন বাপ্পা মজুমদার। তখন আট পর্বের জন্য পরিকল্পনা জমা দিয়েছিলাম। আমার ধারণা ছিল, ঘরে বসে আমি আর কটা পর্বই-বা করতে পারব—কাছের কয়েকজন শিল্পী, যাঁদের চিনি, তাঁদের নিয়েই কয়েকটা পর্ব করে ফেলব।
আপনার অনুষ্ঠানে দেশি-বিদেশি তারকা শিল্পীদের দেখা গেছে। তাঁদের সঙ্গে কাজের অভিজ্ঞতা কেমন?
নানা রকম অভিজ্ঞতা হয়েছে, কিছু তিক্ত অভিজ্ঞতাও আছে (হাসি)। আগে যখন ভার্চ্যুয়াল করতাম, দেখা যেত ঝড়-বৃষ্টির কারণে নেটওয়ার্কের সমস্যা হলে একটা অনুষ্ঠান ছয়-সাত ঘণ্টা ধরে রেকর্ডিং করতে হয়। আমরা হয়তো ঢাকায় তৈরি হয়ে বসে আছি, আমন্ত্রিত শিল্পী কলকাতার; প্রাকৃতিক দুর্যোগের কারণে সেখানে নেটওয়ার্কে সমস্যা হচ্ছে।
স্মরণীয় কয়েকটি ঘটনার কথা যদি বলতে চান…
একবার অতিথি ছিলেন উষা উথুপ। তিনি এত মজার মানুষ, অনুষ্ঠানটি জমে যায়। একপর্যায়ে সবার সামনে বলে ফেলেন, ‘তোমাকে আমার ছেলের বউ বানাতে পারলে সবচেয়ে খুশি হতাম।’ এ ছাড়া সেলিম মার্চেন্টের কথা বলতে পারি, আমার অনুষ্ঠানেই তাঁকে প্রথম দেখি। তিনি এত সুদর্শন একজন গায়ক, দেখে হাঁ করে তাকিয়ে ছিলাম। তাঁর জনপ্রিয় গানগুলো যখন একের পর এক গাইছিলেন, আমার গায়ের লোমগুলো দাঁড়িয়ে গিয়েছিল। অনুষ্ঠানটি বাংলাদেশ তো বটেই, ভারতেও জনপ্রিয় হয়েছে, এর থেকে আনন্দের কিছু হতে পারে না। প্রথমবার মুম্বাই যাওয়ার পর অনুপ জালোটা আমার সম্মানে তাঁর বাড়িতে পার্টি দেন। সেই পার্টিতে এলেন রিচা শর্মা, সনু নিগম, বিশাল শেখর আরও অনেকে; এটা ছিল আমার কল্পনার বাইরে। ‘সিঁথির অতিথি’ এই যোগাযোগ তৈরি করে দিয়েছে।
‘সিঁথির অতিথি’ নিয়ে আর কী পরিকল্পনা আছে?
নতুন ফরম্যাটে করার পরিকল্পনা আছে। এ জন্য হয়তো কিছুদিন বিরতিও নিতে পারি।
ভালোবাসাকে বেশি বেশি সামনে আনলে নষ্ট হয়ে যেতে পারে
সম্প্রতি হাবিব ওয়াহিদের সঙ্গে আপনার গাওয়া ‘পরী’ মুক্তি পেলে। গানটি একটু দ্রুত লয়ের…
আমি বৈচিত্র্যে বিশ্বাসী। একেবারে ছোটবেলায় লালনের গান গাইতাম, একটু বড় হয়ে শুধু রবীন্দ্রনাথের গান গাইতাম। পেশাদার সংগীতশিল্পী হব, এটা ঠিক করার পর যে গানই গাইতে যেতাম, শুনতে রবীন্দ্রসংগীতের মতোই লাগত। এরপর ওস্তাদজির কাছ থেকে তালিম নিয়ে নানাভাবে নিজেকে ভেঙেছি। আমার মনে হয়েছে, শিল্পীর বৈচিত্র্যময় হওয়াটা জরুরি।
নতুন আর কী গান আসছে?
অনুপ জালোটা আমাকে দিয়ে একটা গজল গাইয়েছেন, আমার অসুস্থতার জন্য সেটার মিউজিক ভিডিও করতে পারিনি—এটা আসবে। এ ছাড়া চলতি বছরই হিপহপ গানও আসবে।