শেখ হাসিনা বলেন, ‘দেশের মানুষের ভাগ্য পরিবর্তনের জন্য আমরা সংগ্রাম করছি। দুঃখী মানুষের মুখে হাসি ফুটিয়ে মানুষকে উন্নত জীবন দিতে কাজ করে যাচ্ছি। দেশের জনগণকে ধন্যবাদ জানাই বারবার ভোট দিয়ে আওয়ামী লীগকে ক্ষমতায় আনার জন্য।’
বিএনপি-জামায়াত মানুষকে কী দিয়েছে, প্রশ্ন রেখে শেখ হাসিনা বলেন, কিছুই দেয়নি। উল্টো দেশের সম্পদ লুটেপুটে খেয়েছে। খালেদা জিয়া এতিমের টাকা মেরে খেয়েছিলেন বলে ১০ বছরের সাজাপ্রাপ্ত আসামি। তারেক রহমান ১০ ট্রাক অস্ত্র মামলার সাজাপ্রাপ্ত আসামি, একুশে আগস্টের গ্রেনেড হামলার অন্যতম হোতা। যে গ্রেনেড হামলায় আইভি রহমানসহ আওয়ামী লীগের ২২ জন নেতা-কর্মী শহীদ হয়েছিলেন। আল্লাহর রহমতে সেদিন তিনি বেঁচে গিয়েছিলেন।
বিএনপি মানুষ পুড়িয়ে মারা ছাড়া কিছুই করতে পারেনি জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, বিএনপি ক্ষমতায় থাকাকালে দেশের কোনো উন্নয়ন হয়নি। কক্সবাজারে কিছু হয়নি। তাঁরা ক্ষমতায় আসার পর কক্সবাজারে অনেক প্রকল্প দিয়েছেন। কক্সবাজারে রেল আসছে, বিমানবন্দর আন্তর্জাতিক মানের হচ্ছে। গভীর সমুদ্রবন্দর হচ্ছে। মহেশখালী সিঙ্গাপুরের চেয়েও সুন্দর হবে। মহেশখালী-কুতুবদিয়ার আরও উন্নয়ন হবে। টেকনাফের সাবরাং অর্থনৈতিক জোন হচ্ছে।
বক্তব্যের ফাঁকে শেখ হাসিনা বিশ্বের দীর্ঘতম কক্সবাজার সমুদ্রসৈকতের প্রতি বঙ্গবন্ধুর স্মৃতি, বঙ্গবন্ধুর সঙ্গে তিনিও একাধিকবার সৈকত ভ্রমণে আসার কথা তুলে ধরেন।
বিকেল ৪টায় জনসভাস্থলে এসে শেখ হাসিনা কক্সবাজারের ২৯টি উন্নয়ন প্রকল্পের উদ্বোধন এবং কয়েকটি প্রকল্পের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করেন। এর আগের সকালে ঢাকা থেকে হেলিকপ্টারে করে প্রথমে তিনি যান উখিয়ার ইনানী সৈকতে। সেখানে বাংলাদেশ নৌবাহিনীর তত্ত্বাবধানে আন্তর্জাতিক নৌশক্তি প্রদর্শন মহড়ার উদ্বোধন শেষে বেলা সাড়ে ৩টার দিকে হেলিকপ্টারে করে কক্সবাজার বিমানবন্দরে পৌঁছান। সেখান থেকে সড়কপথে বিকেল ৪টায় শেখ কামাল আন্তর্জাতিক ক্রিকেট স্টেডিয়ামের জনসভায় যান। জনসভা শেষে হেলিকপ্টার করে ঢাকার উদ্দেশে কক্সবাজার ছাড়েন প্রধানমন্ত্রী। পাঁচ বছর আগে এই স্টেডিয়ামে দলীয় জনসভায় ভাষণ দিয়েছিলেন তিনি।