উদ্ভাবক খুঁজতে চলছে ‘টাইগার চ্যালেঞ্জ’ প্রতিযোগিতার অ্যাক্টিভেশন কার্যক্রম

0
552

উদ্ভাবন ও উদ্ভাবক অনুসন্ধানে দেশে শুরু হয়েছে ‘টাইগার চ্যালেঞ্জ’ শীর্ষক আন্তর্জাতিক প্রতিযোগিতা।  গত ২ জুলাই থেকে প্রতিযোগীদের কাছ থেকে আবেদন ও উদ্ভাবনী আইডিয়া গ্রহণ করা হচ্ছে। এই প্রতিযোগিতায় সবার অংশগ্রহণ নিশ্চিত করতে বর্তমানে বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ে চলছে অ্যাক্টিভেশন কার্যক্রম।

পহেলা আগস্ট কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয় দিয়ে শুরু হয় এ প্রতিযোগিতার অ্যাক্টিভেশন কার্যক্রম।  পর্যায়ক্রমে নোয়াাখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়, চট্টগ্রাম প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় (চুয়েট), ড্যাফোডিল ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি, সিটি ইউনিভার্সিটি (আশুলিয়া ক্যাম্পাস) ও শান্ত-মারিয়াম ইউনিভার্সিটি অব ক্রিয়েটিভ টেকনোলজিতে অ্যাক্টিভেশন পরিচালনা করা হয়।

অ্যাক্টিভেশন কার্যক্রমের সমন্বয়ক রাগিব ইয়াসির বলেন, আইডিয়া সাবমিট করার প্রক্রিয়াসহ প্রতিযোগিতার খুঁটিনাটি সব বিষয় আলোচনা করা হয় অ্যাক্টিভেশনে।  বুয়েট, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়, শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়সহ ঢাকা ও ঢাকার বাইরে মোট ১৫টি বিশ্ববিদ্যালয়ে আমাদের কার্যক্রম পরিচালনা করা হবে। আগামী ৫ সেপ্টেম্বর শেষ হবে এ কার্যক্রম।

আয়োজকদের পক্ষ থেকে জানানো হয়, বাংলাদেশের কল্যাণে অবদান রাখবে এমন যেকোনও টেকসই ও উদ্ভাবনী ধারণাকে বাস্তবে রূপ দিতেই এ প্রতিযোগিতা।  আয়োজনটি হচ্ছে দু’টি পর্বে।  বাংলাদেশ পর্বে ফাইনালিস্টদের মধ্যে থেকে একটি উদ্যোগকে সেরা ঘোষণা করা হবে।  উদ্যোগ বাস্তবায়নে বিজয়ীকে প্রায় ২ কোটি টাকার বিনিয়োগ সুবিধা দেওয়া হবে।  এ পর্বে অংশগ্রহণের জন্য ২ জুলাই থেকে ৫ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত চ্যালেঞ্জের ওয়েবসাইটে (http://tigeritfoundation.org/challenge) আবেদন গ্রহণ করা হচ্ছে।  অনলাইন প্রাপ্ত আবেদন এমআইটির বিচারকরা যাচাই করে ১০টি উদ্যোগকে চূড়ান্ত পর্বের জন্য নির্বাচিত করবেন।  আগামী অক্টোবর মাসে আন্তর্জাতিক জুরিবোর্ডের সামনে ফাইনালিস্টরা তাদের উদ্যোগ তুলে ধরবেন এবং নির্বাচিত হবেন।  ছাত্র, শিক্ষাক, স্টার্টআপ কোম্পানি কিংবা হবু উদ্যোক্তা- যে কেউ এই চ্যালেঞ্জে অংশ নিতে পারবে।

যুক্তরাষ্ট্রের বিশ্বখ্যাত ম্যাসাচুসেট ইনস্টিটিউট অব টেকনোলজির (এমআইটি) এমআইটি সলভ নামের প্রতিযোগিতার আদলে এমআইটির সঙ্গে যৌথভাবে বাংলাদেশে এই প্রতিযোগিতার আয়োজক টাইগার আইটি ফাউন্ডেশন।  প্রায় দুই মিলিয়ন ডলারের বিনিয়োগ সুবিধা নিয়ে ২ জুলাই থেকে শুরু হয়েছে এ প্রতিযোগিতা।  দেশীয় ও বৈশ্বিক পর্যায়ের প্রতিযোগিতায় বিজয়ী দলগুলো প্রায় দুই মিলিয়ন ডলারের আর্থিক, কারিগরি এবং বিনিয়োগ সুবিধা পাবে।

একটি উত্তর ত্যাগ

আপনার মন্তব্য লিখুন দয়া করে!
এখানে আপনার নাম লিখুন দয়া করে

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.