ঈদযাত্রার ট্রেনের টিকিট বিক্রি শুরু হবে আজ সোমবার থেকে। ৩২টি আন্তঃনগর ট্রেনের ২৬ হাজার ৫০০ টিকিটের অর্ধেক বিক্রি করা হবে রাজধানীর পাঁচ স্টেশনের কাউন্টার থেকে। বাকি টিকিট বিক্রি হবে অনলাইনে। অনলাইনে বরাদ্দ টিকিট বিক্রি হবে ‘রেলসেবা’ অ্যাপে এবং রেল ই-সেবা ওয়েবসাইটে।
এদিনে ঈদুল আজহার ট্রেনের অগ্রিম টিকিট কেনার জন্য কমলাপুর রেল স্টেশনে সোমবার সন্ধ্যা ৭টা থেকে লাইনে দাঁড়িয়েছেন কয়েকশ মানুষ। সময় বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে এ লাইন দীর্ঘ হচ্ছে।
রাত ১২টার দিকে কমলাপুর রেল স্টেশনে গিয়ে দেখা যায় কাউন্টারসহ স্টেশনের কার্যক্রম বন্ধ হয়ে গেছে। এর মধ্যেই ঈদের অগ্রিম টিকিটের জন্য কাউন্টারের সামনে লাইন দিয়েছেন কয়েকশ টিকিটপ্রত্যাশী।
তাদের মধ্যে একজন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কেমিস্ট্রি বিভাগের ছাত্র আরিফুল ইসলাম জানান, তারা হল থেকে ১২ বন্ধু একত্রে এসেছেন। সবাই যাবেন উত্তরবঙ্গে। সন্ধ্যা ৭টা থেকে তারা এসে কাউন্টারের সামনে অবস্থান নিয়েছেন।
তিনি আরও জানান, এখানে টিকিটের জন্য আসা সবাই মিলে লাইনে দাঁড়ানোর সুবিধার্থে নিজেরাই সিরিয়াল করে নিয়েছেন। তার সিরিয়াল হয়েছে ১৫৭।
তাদের এক বন্ধু সন্তোষ সাহা ৭টায় এসে অবস্থান নিয়েছেন। তিনি এসেছেন পঞ্চগড়ে যাওয়ার অগ্রিম টিকিটের জন্য। আর ঢাবি শিক্ষার্থী খায়রুল বাশার যাবেন দিনাজপুরে। দ্রুতযান এক্সপ্রেসের টিকিটের জন্য অপেক্ষা করছেন তিনি। তার সিরিয়াল ২১২। তিনি এসে লাইনে অবস্থান নিয়েছেন রাত ৮টায়।
তারা জানান, বন্যার কারণে বিভিন্ন স্থানে পানি উঠে রাস্তাঘাট ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। এ কারণে ট্রেনেই যেতে চান তারা। খাতাপত্র নিয়ে এসেছেন। রাতে স্টেশনে বসে পড়বেন তারা।
এদিকে রোববার বিকেল ৩টায় কমলাপুর স্টেশনে গিয়ে দেখা যায়, অধিকাংশ ট্রেনের আগামী ৬ আগস্টের টিকিট নেই। তবে আগের দিনগুলোর পর্যাপ্ত টিকিট মিলেছে।
সোমবার আগাম টিকিট বিক্রির প্রথম দিন ৭ আগস্টের টিকিট দেওয়া হবে। আগামী মঙ্গলবার ৮ আগস্টের, বুধবার ৯ আগস্টের, পরের দিন ১০ আগস্টের এবং শেষ দিনে ১১ আগস্টের টিকিট বিক্রি করা হবে।
কমলাপুর থেকে পশ্চিমাঞ্চলের অর্থাৎ রাজশাহী, রংপুর ও খুলনা বিভাগের জেলাগুলোর ট্রেনের টিকিট বিক্রি করা হবে। বিমানবন্দর স্টেশন থেকে দেওয়া হবে চট্টগ্রাম ও নোয়াখালীগামী ট্রেনের টিকিট। তেজগাঁও স্টেশনে মিলবে ময়মনসিংহ ও জামালপুর ট্রেনের টিকিট। বনানী স্টেশনে মিলবে নেত্রকোনা ও মোহনগঞ্জগামী ট্রেনের টিকিট। সিলেট ও কিশোরগঞ্জগামী ট্রেনের টিকিট বিক্রি হবে ফুলবাড়িয়ার পুরাতন রেল ভবনে।