মিয়ানমারের রাখাইন রাজ্যে ঈদুল ফিতরের মধ্যেও মর্টার শেল, গ্রেনেড–বোমার বিস্ফোরণ থামেনি। সীমান্তের ওপারে বিকট শব্দে বিস্ফোরণে কেঁপে উঠছে সেন্ট মার্টিনসহ আশপাশের এলাকা।
ফলে নাফ নদীর এপারে সেন্ট মার্টিন দ্বীপ ও টেকনাফ সীমান্তের মানুষ শঙ্কার মধ্যে রয়েছেন। পাশাপাশি শান্তিতে নেই মংডু টাউনশিপের লোকজন।
সীমান্তের একাধিক সূত্রে জানা যায়, শুক্রবার (১২ এপ্রিল) সকাল ছয়টার দিকে সীমান্তের ওপারে মংডু টাউনশিপের দক্ষিণে পেরাংপুরা ও হাস্যুরাতা এলাকায় বিকট শব্দে ১০-১২টি মর্টার শেল ও গ্রেনেড–বোমার বিস্ফোরণ ঘটে।
এতে সেন্ট মার্টিন দ্বীপ কেঁপে ওঠে। থেমে থেমে সন্ধ্যা ছয়টা পর্যন্ত বিকট শব্দে বিস্ফোরণ ঘটে বলে জানা যায়।
এছাড়া ঈদের দিন বৃহস্পতিবার (১২ এপ্রিল) সকাল ৮টা থেকে রাত সাড়ে ১১টা পর্যন্ত মংডু টাউনশিপের উত্তর বলিবাজার, নাকফুরা, মাঙ্গালা রাইক্ষবিল, শীলখালী এলাকায়ও ৫০-৬০টি মর্টার শেলের বিস্ফোরণ ঘটে।
টেকনাফের শাহপরীর দ্বীপ, জালিয়াপাড়া, সাবরাং ইউনিয়নের নয়াপাড়া, আচারবুনিয়া, টেকনাফ পৌরসভার চৌধুরীপাড়া, নেটংপাড়া, হ্নীলা ইউনিয়নের রাখাইনপল্লি, ফুলের ডেইল, মৌলভিপাড়া, খারাংখালী, হোয়াইক্যং ইউনিয়নের উলুবনিয়া, কাঞ্জরপাড়াসহ অন্তত ১৭টি গ্রামের বাসিন্দারা ভূকম্পন অনুভব করেন।
টানা দুই মাস ধরে রাখাইন রাজ্যে চলছে সরকারি বাহিনীর সঙ্গে দেশটির স্বাধীনতাকামী সশস্ত্র গোষ্ঠী আরাকান আর্মির (এএ) লড়াই–সংঘাত।
টেকনাফ-২ বিজিবি ব্যাটালিয়নের অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল মো. মহিউদ্দিন আহমেদ গণমাধ্যমকে বলেন, রাখাইন পরিস্থিতি গভীরভাবে পর্যবেক্ষণ করা হচ্ছে, অনুপ্রবেশ ঠেকাতে নাফ নদী ও সীমান্তে বাড়ানো হয়েছে বিজিবির টহল।