আসন্ন ঈদুল আজহা উপলক্ষে বুধবার থেকে শুরু হচ্ছে ট্রেনের অগ্রিম টিকিট বিক্রি। গত ঈদের মতো এবারও সব আসনের টিকিট শুধু অনলাইনে বিক্রি করা হবে। তবে বিক্রীত টিকিট এবার ফেরত নেওয়া হবে না।
এবার দুই ধাপে বিক্রি হবে ট্রেনের টিকিট। পশ্চিমাঞ্চলের সব আন্তঃনগর ট্রেনের টিকিট সকাল ৮টা থেকে, আর পূর্বাঞ্চলের ট্রেনের টিকিট দুপুর ১২টা থেকে বিক্রি শুরু হবে।
রেলওয়ে সূত্র জানায়, ১৪ জুন পাওয়া যাবে ২৪ জুনের টিকিট। একইভাবে ১৫ জুন দেওয়া হবে ২৫ জুনের টিকিট, ১৬ জুন ২৬ জুনের টিকিট, ১৭ জুন ২৭ জুনের টিকিট এবং ১৮ জুন ২৮ জুনের টিকিট পাওয়া যাবে। ঈদ-পরবর্তী ফিরতি অগ্রিম টিকিট দেওয়া শুরু হবে ২২ জুন। সে হিসাবে ২২ জুন দেওয়া হতে পারে ২ জুলাইয়ের টিকিট। যথাক্রমে ২৩ জুন ৩ জুলাইয়ের, ২৪ জুন ৪ জুলাইয়ের, ২৫ জুন ৫ জুলাইয়ের ও ২৬ জুন ৬ জুলাইয়ের টিকিট পাওয়া যেতে পারে।
আট জোড়া বিশেষ ট্রেন চালানোর প্রস্তাব
রেলওয়ের পরিকল্পনা অনুযায়ী, ২৬ জুন থেকে ঈদের আগের দিন পর্যন্ত এবং ঈদের পরদিন থেকে পাঁচ দিন চাঁদপুর-চট্টগ্রাম ও ঢাকা-দেওয়ানগঞ্জ রুটে তিন জোড়া বিশেষ ট্রেন চালানো হবে। এক জোড়া বিশেষ ট্রেন চালানো হবে ময়মনসিংহ-চট্টগ্রাম রুটে।
ভৈরব ও ময়মনসিংহ থেকে দুই জোড়া বিশেষ ট্রেন চালানো হবে শুধু ঈদের দিন শোলাকিয়া ঈদগাহ ময়দানে যাওয়ার জন্য। এ ছাড়া আরও দুই জোড়া বিশেষ ট্রেন ঈদের আগে ও পরে ছয় দিন ঢাকা ক্যান্টনমেন্ট থেকে পঞ্চগড় ও লালমনিরহাট রুটে চলবে।
শুধু চার কাউন্টারে স্ট্যান্ডিং টিকিট
ঢাকা থেকে বিভিন্ন গন্তব্যে প্রতিদিন ৩২ হাজার আসনে যাত্রী পরিবহন করা হবে। মোট আসনের ২৫ শতাংশ স্ট্যান্ডিং টিকিট যাত্রীদের কাছে বিক্রি করা হবে। স্ট্যান্ডিং টিকিট পাওয়া যাবে শুধু ঢাকার কমলাপুর, ক্যান্টনমেন্ট, বিমানবন্দর ও গাজীপুরের জয়দেবপুর স্টেশনে। মাঝপথে বিরতি নেয়, এমন কোনো স্টেশনে এ টিকিট পাওয়া যাবে না।
বাসের অগ্রিম টিকিটে চাপ নেই
ঈদুল আজহা উপলক্ষে বাসের অগ্রিম টিকিট বিক্রি শুরু হয়েছে। তবে অন্যান্যবারের তুলনায় এবার বাসের অগ্রিম টিকিট কিনতে কাউন্টারে আসা যাত্রীর সংখ্যা একেবারেই হাতেগোনা। যদিও সংশ্লিষ্টরা বলছেন, অনলাইনে আরও আগে থেকেই অগ্রিম টিকিট বিক্রি হওয়ায় কাউন্টারে চাপ কম। তাছাড়া দু-একদিন গেলে কাউন্টারেও চাপ বাড়বে বলে মনে করছেন তারা।