ইসরায়েল ও গাজার মধ্যে চলমান সংঘাতে হতাহত ও নিখোঁজ বেসামরিক নাগরিকদের মধ্যে অন্তত ছয়জন সাংবাদিক রয়েছেন, এমন খবরে গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করেছে বিশ্বব্যাপী সাংবাদিকদের অধিকার রক্ষায় কাজ করা সংগঠন কমিটি টু প্রটেক্ট জার্নালিস্টস (সিপিজে)।
সোমবার (৯ অক্টোবর) সিপিজের ওয়েবসাইটে প্রকাশিত প্রতিবেদনে এই উদ্বেগ প্রকাশ করা হয়।
প্রতিবেদনে বলা হয়, শনিবার দুই ফিলিস্তিনি সাংবাদিককে পেশাগত দায়িত্ব পালনের সময় গুলি করে হত্যা করা হয়। এদের মধ্যে একজনের নাম ইব্রাহিম মোহাম্মদ লাফি। তিনি আইন মিডিয়ার একজন ফটোগ্রাফার। ইসরায়েলে গাজা স্ট্রিপের ইরেজ ক্রসিংয়ে কাজ করছিলেন তিনি। আরেকজনের নাম মোহাম্মদ জারঘউন। স্মার্ট মিডিয়ার এই প্রতিবেদক দক্ষিণ গাজা স্ট্রিপের রাফা শহরে ছিলেন।
গাজায় জ্বালানি, ওষুধ ও খাবার ‘শেষের পথে’
সূত্র জানায়, আল-গাদ চ্যানেলের সংবাদদাতা ইব্রাহিম কানান দক্ষিণ গাজা উপত্যকার খান ইউনিস শহরে ছুরিকাঘাতে আহত হয়েছেন।
এছাড়া আল-নাজাহ চ্যানেলের ফিলিস্তিনি ফটোগ্রাফার নিদাল আল-ওয়াহিদি এবং আইন মিডিয়া সংস্থার হাইথাম আবদেলওয়াহিদও শনিবার থেকে নিখোঁজ রয়েছেন।
শনিবার সিপিজে জানিয়েছে, ফ্রিল্যান্স সাংবাদিক মোহাম্মদ এল-সালিকে কেন্দ্রীয় গাজা উপত্যকায় গুলি করে হত্যা করা হয়েছে।
ইসরায়েল ও গাজার মধ্যে সংঘর্ষের বিষয়ে রিপোর্ট করার সময় সাংবাদিক হতাহত ও নিখোঁজের ঘটনায় উদ্বেগ প্রকাশ করে সিপিজে বলেছে, আমরা সব পক্ষকে মনে রাখার আহ্বান জানাই যে, সাংবাদিকরা বেসামরিক নাগরিক। তাদের লক্ষ্যবস্তু করা উচিত নয়। সংকটের সময়ে সঠিক প্রতিবেদন খুবই গুরুত্বপূর্ণ। গাজা ও ইসরায়েলের খবর বিশ্বে পৌঁছে দেওয়ার জন্য মিডিয়ার গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রয়েছে।