ঈদুল ফিতরে আপনার ‘বিদেশ’ নাটকটি ইউটিউবে ট্রেন্ডিংয়ের শীর্ষে ছিল, এবার ‘কিডনি’…
নিজের নাটক ট্রেন্ডিংয়ে দেখে খুবই ভালো লাগে। এটাকে আমি আশীর্বাদ হিসেবে দেখছি।
‘কিডনি’ নাটকে আপনাকে একজন চিকিৎসকের চরিত্রে দেখা গেছে। চরিত্রটির জন্য প্রস্তুতি নিলেন কীভাবে?
সত্যি বলতে, দৃশ্যধারণের আগে (পরিচালক কাজল আরেফিন) অমি ভাইয়া আমাকে বলেছিলেন, ‘তোমার চরিত্র একজন চিকিৎসকের। চশমা ও কিছু পোশাক লাগবে, সেগুলো নিয়ে আসবে। বাকিটা পরে ব্রিফ করব।’ নিজের থেকে প্রস্তুতি নেওয়ার চেয়ে উনার ব্রিফটা বেশি কাজে লাগে। ভাইয়া যেভাবে বুঝিয়ে দিয়েছেন, সেভাবেই করার চেষ্টা করেছি।
‘ব্যাচেলর পয়েন্ট’, ‘বিদেশ’, ‘হোটেল রিল্যাক্স’, ‘কিডনি’—পরিচালক কাজল আরেফিনের বেশির ভাগ কাজেই আপনাকে পাওয়া যায়।
আমার কাছে মনে হয়, দর্শকের গ্রহণযোগ্যতা গুরুত্বপূর্ণ। ব্যাচেলর পয়েন্ট-এর ইভা চরিত্রটি সাড়া ফেলেছিল। বিশেষ করে কাবিলা ও ইভার রসায়ন দর্শক ভালোভাবে গ্রহণ করেছেন। অমি ভাইয়া হয়তো সেটা বিবেচনা করেই আমাদের নিয়েছেন। এর বাইরে নিজেদের মধ্যে বোঝাপড়ার ব্যাপারও রয়েছে। ইশারা দিলেও আমরা একজন আরেকজনের কথা বুঝতে পারি। পলাশ, শিমুলসহ সবাই আমার খুব ভালো বন্ধু। দুই বছর ধরে অমি ভাইয়ার সঙ্গে কাজ করছি।
‘হোটেল রিল্যাক্স’ দিয়ে ওয়েব সিরিজেও আপনাকে দেখা গেছে, ওটিটিতে আপনাকে নিয়মিত পাওয়া যাবে?
ওটিটিতে কাজ করার খুবই ইচ্ছা রয়েছে। কেন জানি না, আমার কাছে ওটিটির কাজের প্রস্তাব খুব একটা আসে না; এলেও চরিত্র পছন্দ হয় না। ওটিটিতে আমি সেই কাজই করতে চাই, যেটায় নিজেকে আলাদাভাবে উপস্থাপন করতে পারব। সেই রকম কোনো চরিত্রে আমাকে ভাবলে অবশ্যই কাজ করব।
অনেকে বলছেন, ‘ব্যাচেলর পয়েন্ট’-এর ইভা চরিত্রই আপনার ক্যারিয়ারের বাঁকবদল করেছে—আসলেই কি?
ক্যারিয়ারের শুরুর দিকে নাইন অ্যান্ড আ হাফ, পরে দেওয়ালের ওপারে তুমি নাটকে দর্শকের কাছে ভালো সাড়া পেয়েছি। মধ্যে বিরতি ছিল। যদি এখনকার কথা বলি, ব্যাচেলর পয়েন্ট-এর ইভা চরিত্রটিই আমার ক্যারিয়ারের সবচেয়ে বড় টার্নিং পয়েন্ট। আগেও মানুষ আমাকে চিনত, তবে এখন যেভাবে চেনে, সেইভাবে নয়।
আগে নাটক টিভিতে প্রচারিত হতো, পরে ইউটিউবে আসত। এখন সরাসরি ইউটিউবেই মুক্তি পায়, এর মধ্যে আপনার নাটকও আছে।
এখন মানুষ আগের তুলনায় টিভি কম দেখেন, অনেকে টিভি দেখার সময় পান না। ভাবেন, পরে নাটকটি ইউটিউবে দেখে নেবেন। ইউটিউবে আমাদের নাটক কতজন মানুষ দেখছেন, সেটা সহজেই জানতে পারি। মন্তব্য দেখতে পাচ্ছেন।
২০১৪ সালে ‘চ্যানেল আই সেরা নাচিয়ে’ দিয়ে শোবিজে আসেন। অভিনয়ে যুক্ত হলেন কীভাবে?
কখনোই অভিনয় করতে চাইনি। আমার আম্মু আমাকে পর্দায় দেখতে চাইতেন। বলতেন, ‘অপি করিম, নাদিয়া নাচ থেকে অভিনয়ে এসেছেন; তুমিও চেষ্টা করো।’ সেরা নাচিয়েতে চ্যাম্পিয়ন হওয়ার পর চ্যানেল আইয়ের পঞ্চমীর চাঁদ নাটকে প্রথম অভিনয় করলাম। নাটক দেখে এস আই টুটুল ভাই, মোশাররফ করিম ভাই, তানিয়া আপু আমার প্রশংসা করেছিলেন। পরে অভিনয়টাই চালিয়ে গেলাম।