এ বিষয়ে পেমরা একটি ছয় পৃষ্ঠার বিজ্ঞপ্তি জারি করে বলেছে, ইমরান খান তাঁর বক্তৃতা ও বিবৃতিতে রাষ্ট্রীয় প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে অনবরত ভিত্তিহীন অভিযোগ তুলছেন এবং বিদ্বেষমূলক বক্তব্য দিচ্ছেন।
পেমরার মতে, অধ্যাদেশ ২০২২-এর ধারা ২৭-এর অধীন ইমরান খানের বিরুদ্ধে নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়েছে। বিজ্ঞপ্তিতে ইসলামাবাদের এফ৯ পার্কে ইমরান খানের বক্তৃতা উল্লেখ করা হয়েছে।
বিজ্ঞপ্তিতে আরও বলা হয়, পাকিস্তান তেহরিক-ই-ইনসাফ (পিটিআই) প্রধানের বক্তব্যে দেশের আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে যেতে পারে। কারণ, তিনি তাঁর বক্তৃতায় রাষ্ট্রীয় প্রতিষ্ঠান ও সরকারি কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে দেশের নাগরিকদের ক্রমাগত উসকানি দিচ্ছেন।
***সাবেক এই প্রধানমন্ত্রীর বিদ্বেষপূর্ণ বক্তব্য সুয়ো মোটু মামলায় পাকিস্তানের সুপ্রিম কোর্টের রায়ের পরিপন্থী। পেমরা আরও বলছে, ইমরান খানের বক্তব্য লাহোরের উচ্চ আদালতের রায়েরও বিরুদ্ধে।
পেমরার এ নির্দেশনা না মানলে পাকিস্তানের নিউজ চ্যানেলগুলোকে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়ার হুঁশিয়ারিও দেওয়া হয়েছে।
গত জুনে আস্থা ভোটে হেরে ক্ষমতা হারান ইমরান খান। এরপর ইমরান ও তাঁর দলের জন্য বড় চ্যালেঞ্জ ছিল ক্ষমতাসীন পাকিস্তান মুসলিম লীগ-নওয়াজের (পিএমএল-এন) ঘাঁটি পাঞ্জাব প্রদেশের উপনির্বাচন। পিএমএল-এনকে কোণঠাসা করে জয় পায় ইমরানের দল এবং রাজনীতিতে ঘুরে দাঁড়িয়ে উজ্জীবিত হয়ে ওঠেন ইমরান।
বিশেষজ্ঞরা বলছেন, বর্তমানে পিটিআইয়ের যে জনপ্রিয়তা, তাতেই শাসক দলের ভয়। কারণ, দলটির জনপ্রিয়তা অব্যাহত থাকলে আগামী সাধারণ নির্বাচনের বৈতরণি বেশ ভালোভাবে পেরিয়ে যাবেন ইমরান এবং আবার সরকার গঠনে সক্ষম হবেন তিনি। সেটা রুখতে সরকার পিটিআইকে বিভিন্নভাবে কাবু করার চেষ্টা করছে।