শৈশবেই স্বপ্নটা বুনেছিলেন শেনিস পালাসিয়াস। ২৩ বছর বয়সে স্বপ্ন মুঠোয় আনলেন, স্বপ্নকে ছুঁয়ে ইতিহাসেও নাম লেখালেন নিকারাগুয়ার এই মডেল। নিকারাগুয়ার প্রথম কোনো প্রতিযোগী হিসেবে মিস ইউনিভার্স হয়েছেন তিনি।
বিশ্বের ৮৪ প্রতিযোগীকে পেছনে ফেলে এই স্বীকৃতি মিলেছে তাঁর। গত শনিবার রাতে এল সালভাদরের রাজধানী সান সালভাদরে ৭২তম মিস ইউনিভার্সের জমকালো আসর বসে।
এদিন শেনিস পালাসিয়াসকে মুকুট পরিয়ে দেন গত বছরের মিস ইউনিভার্স যুক্তরাষ্ট্রের মডেল আর’বনি গ্যাব্রিয়েল। এ সময় তুমুল করতালিতে নতুন মিস ইউনিভার্সকে অভিবাদন জানিয়েছেন হলভর্তি দর্শক ও প্রতিযোগীরা।
টিভির সামনে নিকারাগুয়ার লাখো মানুষ বসে ছিলেন। পালাসিয়াসের এই স্মরণীয় অর্জনে নিকারাগুয়ায় উৎসবের রং লাগে, সামাজিক মাধ্যম ছাপিয়ে রাস্তায় নেমে আনন্দমিছিল করতে থাকেন সাধারণ মানুষ।
এবারের আসরে দ্বিতীয় হয়েছেন মিস থাইল্যান্ড আন্তনি পরসিড ও তৃতীয় হয়েছেন মিস অস্ট্রেলিয়া মোরায়া উইলসন।
এর আগে ২০২১ সালে মিস ওয়ার্ল্ডের বৈশ্বিক আসরে নিকারাগুয়ার প্রতিনিধিত্ব করেন পালাসিয়াস। সেরা ৪০–এর মধ্যে ছিলেন তিনি। এর আগে ২০১৬ সালে মিস টিন নিকারাগুয়া হিসেবে নির্বাচিত হয়েছিলেন।
২০০০ সালে দেশটির রাজধানী মানাগুয়াতে জন্ম নেওয়া পালাসিয়াস পড়াশোনা করেছেন গণযোগাযোগে। বিশ্ববিদ্যালয়ে ভলিবল খেলোয়াড় হিসেবেও তাঁর পরিচিতি রয়েছে। তিনি ইনস্টাগ্রাম ও টিকটিকেও বেশ জনপ্রিয়। ইনস্টাগ্রামে পাঁচ লাখের বেশি অনুসারী রয়েছে তাঁর।