এই অর্জনে ট্রান্সকম গ্রুপের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা (সিইও) এবং এসকেএফ ফার্মাসিউটিক্যালস লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) ও সিইও সিমিন রহমান বলেছেন, ‘এটা এসকেএফের জন্য দারুণ গর্বের একটি মুহূর্ত। একটি বাংলাদেশি কোম্পানি হিসেবে আমরা এখন ইনজেকশনের মাধ্যমে ব্যবহার উপযোগী আমাদের উচ্চপ্রযুক্তির পণ্যগুলো যুক্তরাষ্ট্রের বাজারে প্রদর্শনের সক্ষমতা অর্জন করলাম। এই যাত্রায় আমাদের তীক্ষ্ণ মনোযোগ থাকবে রোগীদের প্রয়োজন মেটাতে এখানো বাজারে না আসা প্রযুক্তিচালিত মলিকিউল ও জটিল ওষুধপণ্যের ওপরে। এগুলো তৈরি করার প্রক্রিয়া ইতিমধ্যে শুরু করেছি আমরা। আমি বিশ্বাস করি, এসকেএফের অনন্য মেধাবী কর্মীরা আমাদের অন্যদের থেকে আলাদা বৈশিষ্ট্যের অধিকারী করে তুলবেন।’

সিমিন রহমান আরও বলেন, ‘মানবতার সেবায় এসকেএফের সব প্রচেষ্টার অগ্রভাগে রয়েছে গুণমান রক্ষার দ্ব্যর্থহীন প্রতিশ্রুতি। এ বছরেরই শুরুর দিকে আমরা আমাদের মুখে খাওয়ার ওষুধের জন্য ইউএস এফডিএর অনুমোদন পেয়েছি। এখন ইনজেকশনের মাধ্যমে ব্যবহারের উপযোগী ওষুধের জন্য পাওয়া এই স্বীকৃতি বাংলাদেশ ও সারা বিশ্বের মানুষের জন্য সর্বোচ্চ মানের ওষুধ উৎপাদনকারী প্রতিষ্ঠান হিসেবে বৈশ্বিক পর্যায়ে আমাদের অবস্থান সংহত করেছে।’
এ ছাড়া যুক্তরাজ্যের এমএইচআরএ, ইউরোপীয় ইউনিয়নের জিএমপি, ব্রাজিলের এএনভিআইএসএ, অস্ট্রেলিয়ার টিজিএ এবং দক্ষিণ আফ্রিকার এসএএইচপিআরএর মতো বিশ্বের গুরুত্বপূর্ণ নিয়ন্ত্রক সংস্থাগুলোর অনুমোদন রয়েছে এসকেএফের।
বিশ্বের সবচেয়ে প্রভাবশালী নিয়ন্ত্রক কর্তৃপক্ষগুলোর কাছ থেকে এসব উৎসাহব্যঞ্জক স্বীকৃতি পেয়ে বাংলাদেশি প্রতিষ্ঠান হিসেবে এক অনন্য স্থান অর্জন করায় গর্বিত এসকেএফ। ওষুধের সর্বোচ্চ মান, নিরাপত্তা ও কার্যকারিতা নিশ্চিত করে এসকেএফ একটি সত্যিকারের বৈশ্বিক প্রতিষ্ঠান হিসেবে অবস্থান করে নিচ্ছে।
প্রয়াত লতিফুর রহমান প্রতিষ্ঠিত ট্রান্সকম গ্রুপের অন্যতম প্রতিষ্ঠান এসকেএফ ফার্মাসিউটিক্যালস লিমিটেড বাংলাদেশে নৈতিককতা বজায় রেখে ব্যবসা করারে একটি বড় প্রতীক। প্রতিষ্ঠানটি ৩২ বছর ধরে ওষুধ তৈরি করছে এবং বর্তমানে বিশ্বের ৬টি মহাদেশের ৬৭টি দেশে ওষুধ রপ্তানি করছে।