গত মঙ্গলবার এ ধর্ষণের ঘটনা ঘটে আশুলিয়ার ডেন্ডাবর এলাকার মঈন উদ্দিনের বাড়িতে । ওই গৃহবধূর স্বাস্থ্য পরীক্ষার জন্য ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের ওয়ান স্টপ ক্রাইসিস সেন্টারে পাঠানো হয়েছে।
এ ঘটনায় আশুলিয়া থানায় একটি গণ ধর্ষণ মামলা করা হয়। মামলায় অভিযুক্তরা হলো- রনি (২১)পাবনা জেলার আটঘরিয়া থানার পাইকপাড়া গ্রামের মন্টু মিয়ার ছেলে, জয় (২২) ডেন্ডাবর এলাকার স্থায়ী বাসিন্দা খোরশেদ আলম খোকনের ছেলে ও শামীম (২৬) ফরিদপুর জেলায় । অভিযুক্ত রনি এবং শামীম ডেন্ডাবর এলাকায় বাসা ভাড়া করে থাকতেন।
মামলার এজাহার সূত্রে জানা যায়, মঙ্গলবার অভিযুক্ত তিনজন অবৈধভাবে মদ তৈরির অভিযোগ তুলে ভুক্তভোগী মারমা দম্পতির ঘরে ঢোকে ২ লাখ টাকা চাঁদা দাবি করে। চাঁদা দিতে অস্বীকার করলে গৃহবধূর স্বামীকে মারধর ও বাসায় ভাঙচুর করে। পরে তারা ওই গৃহবধূর স্বামীকে পাশের কক্ষে আটকে রাখে গৃহবধূকে পালাক্রমে ধর্ষণ করে। এ সময় তারা ওই গৃহবধূর গলায় থাকা স্বর্ণের চেইন সহ নগদ পায় ১০ হাজার টাকা ছিনিয়ে নেয়।
এ ঘটনায় গত শনিবার রাতে তিনজনের নাম উল্লেখ্য করে আশুলিয়া থানায় একটি মামলা দায়ের করে ভুক্তভোগী ওই মারমা গৃহবধূ।
আশুলিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ রিজাউল হক দিপু জানান, মারমা গৃহবধূকে গণধর্ষণের অভিযোগে ইতিমধ্যেই রনি নামে এক আসামিকে গ্রেপ্তার করে আদালতে প্রেরণ করা হয়েছে। বাকিদের গ্রেপ্তারের জন্য অভিযান অব্যাহত রয়েছে।