ইরান ও সিরিয়ার প্রেসিডেন্ট তেল, বাণিজ্যসহ বিভিন্ন দীর্ঘমেয়াদি সহযোগিতাবিষয়ক বেশ কয়েকটি চুক্তিতে সই করেছেন। অর্থনৈতিক বন্ধন শক্তিশালী করার ক্ষেত্রে দুই মিত্র দেশ এসব চুক্তি সম্পন্ন করল। ইরানের প্রেসিডেন্ট ইব্রাহিম রাইসি বিশাল রাজনৈতিক ও অর্থনৈতিক প্রতিনিধি দল নিয়ে সিরিয়ার প্রেসিডেন্ট বাশার আল-আসাদের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন।
সিরিয়ায় গৃহযুদ্ধ শুরুর পর এই প্রথম কোনো ইরানি প্রেসিডেন্ট দেশটির সফরে গেলেন। এর আগে ২০১০ সালে দামেস্কে গিয়েছিলেন ইরানি প্রেসিডেন্ট। ইরানের প্রতিনিধি দলে ছিলেন পররাষ্ট্র, প্রতিরক্ষা, তেল, সড়ক ও শহর উন্নয়ন ও টেলিকমিউনিকেশন সেক্টরের মন্ত্রীরা। এ ছাড়া রাইসির সঙ্গে ইরান থেকে আসা বিভিন্ন সেক্টরের ব্যবসায়ীরা ছিলেন। ইরানি প্রেসিডেন্ট অন্তত ১৫টি চুক্তিতে সই করেছেন। দুই দেশের মধ্যকার লাভজনক কয়েকটি চুক্তিও এর মধ্যে রয়েছে। এসব চুক্তি সিরিয়ার জন্য গুরুত্বপূর্ণ। কারণ, দেশটির অর্থনীতি গত কয়েক দশকে সর্বনিম্ন পর্যায়ে গিয়ে ঠেকেছে। মুদ্রাস্ফীতি, জ্বালানি সংকট নানা সমস্যা তৈরি করছে দেশটিতে। একের পর এক আরব দেশ এখন সিরিয়ার সঙ্গে সম্পর্ক স্বাভাবিক করার জন্য পদক্ষেপ নিচ্ছে। তারা এটা করছে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র এবং ইউরোপের বিরোধিতা উপেক্ষা করে। আগামী ১৯ মে সৌদি আরবের রাজধানী রিয়াদে আরব লিগের শীর্ষ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হবে। আশা করা হচ্ছে, এতে সিরিয়াকে পর্যবেক্ষক হিসেবে উপস্থিত থাকতে দেখা যাবে, যার পরে কোনো একসময় তারা আবার আরব লিগের পূর্ণ সদস্যপদ ফিরে পাবে। আরব-ব্রিটিশ সমঝোতা কাউন্সিলের পরিচালক ক্রিস ডয়েল বলছেন, সিরিয়ার ক্ষেত্রে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের ভূমিকার ক্ষেত্রে যে শূন্যতা সৃষ্টি হয়েছে তা ভরাতে স্থানীয় শক্তিগুলো এখন এগিয়ে আসছে। ২০১১ সাল থেকে আসাদ সরকারকে সমর্থন দিয়ে আসছে ইরান। একই সঙ্গে দ্বন্দ্বকে তার পক্ষে নেওয়ার ক্ষেত্রেও ইরান ভূমিকা রেখেছে। প্রধান দুই মিত্র রাশিয়া ও ইরানের সহযোগিতায় সিরিয়া সরকারের বাহিনী গত কয়েক বছরে কিছু অঞ্চল নিজেদের দখলে নিয়েছে।