হঠাৎ করে নাটকের অডিশনে গিয়েছিলেন। পরে অভিনয়ে নিয়মিত হন। কখনো কি মনে হয়েছে অভিনয়টা শিখে শুরু করলে ভালো হতো?
এটা সেই সাইকেল চালানো শেখার গল্পের মতো। কেউ পড়ে শেখে, কেউ পরে শেখে। আমার কাছে মনে হয়, শুটিং সেট বড় শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান। যেখানে পরিচালক, সহকর্মী, ক্যামেরাম্যান থেকে শুরু করে সবার কাছ থেকে শিখেছি। কাজ করতে গিয়ে ভুল করে করেই শিখেছি। দীর্ঘ ১০ বছর ভুল আর শেখার মধ্যেই ছিলাম। আমি শিখে যেতে চাই।
সবকিছু পেলে তো আর কিছু চাওয়ার থাকে না। অপ্রাপ্তি অনেক আছে। অপ্রাপ্তি থাকলে সেটা জয় করার জন্য লড়াই করা যায়। কিছু অপ্রাপ্তি থাকা ভালো। শুধু এটুকু বলব, এমন কিছু করতে চাই, মানুষ যেন আমাকে মনে রাখেন।
আপনি মা–বাবার একমাত্র সন্তান। অভিনয়ের শুরুর দিকে পরিবার থেকে কে কী বলতেন?
পরিবারে অনেক নিয়ম ছিল, যার মধ্যে একটি হলো, রাত নয়টার মধ্যে বাসায় প্রবেশ করতে হবে। প্রথম শুটিংয়ে বাবা সেটে দিয়ে এসেছিলেন। অভিনয় শুরুর সময় মা বলতেন, ‘তুমি পড়াশোনা করো।’ বাবা বলতেন, ‘তোমার যা পছন্দ, সেটা করো।’ কিন্তু তাঁরা উভয়ই বুঝে কিছু করার কথা বলতেন। আমি দুজনের কাছ থেকে অভিনয়ে সহযোগিতা পেয়েছি।
যেভাবে বুলিং মোকাবিলা করেন সাফা কবির
আমার কাছে মনে হচ্ছিল, একই রকম রোমান্টিক চরিত্রগুলো বেশি হয়ে যাচ্ছে। যে কারণে একঘেয়ে কাজগুলো থেকে দূরে সরে যাই। কিছুটা বিষণ্ন ছিলাম। অপছন্দের গল্পে কাজ করিনি। নিজেকে সময় দিয়েছি। এর মধ্যে হঠাৎ লক্ষ করি, দর্শক আমার কাজ নিয়ে ফেসবুকে মন্তব্য করছেন। তাঁরা আসলে আমার কাজ দেখতে চান।
ঈদের কাজ কবে থেকে শুরু করছেন?
কিছু কাজ করেছি, কিছু সামনে করব। কিন্তু একটু সময় নিয়ে এবার কাজগুলো করতে চাই। শুধু কাজের সংখ্যা বাড়াতে চাই না। ভালো কাজ করে যেতে চাই।
সাক্ষাৎকার: মনজুরুল আলম, ঢাকা