বিতর্কের মুখে পাঠ্যবইয়ের ভুলভ্রান্তি চিহ্নিত করে সংশোধন এবং এতে কারও কোনো গাফিলতি ছিল কি না, খতিয়ে দেখতে গতকাল মঙ্গলবার দুটি কমিটি গঠন করেছে শিক্ষা মন্ত্রণালয়। এ বিষয়ে দুটি আলাদা আদেশ জারি করে শিক্ষা মন্ত্রণালয়। এর মধ্যে বিশেষজ্ঞ কমিটির প্রধান করা হয়েছে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষা ও গবেষণা ইনস্টিটিউটের পরিচালক অধ্যাপক মো. আবদুল হালিমকে। আর প্রশাসনিক তদন্ত কমিটির প্রধান করার সিদ্ধান্ত হয়েছে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা বিভাগের অতিরিক্ত সচিব খালেদা আক্তারকে।
বিশেষজ্ঞ কমিটিতে প্রথমে অধ্যাপক মো. অহিদুজ্জামানকে প্রধান করার আলোচনা হলেও তা পরিবর্তন করা হয়। পরে তাঁকে কমিটিতে সদস্য হিসেবে রাখা হয়।
এই পরিবর্তনের কারণে ক্ষুব্ধ হন অধ্যাপক অহিদুজ্জামান। এ বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি আজ বলেন, যত দূর তিনি শুনেছিলেন তাঁকে প্রধান করে এই কমিটি করার কথা। এরপর তারা (শিক্ষা মন্ত্রণালয়) সদস্য করেছে। কিন্তু ন্যূনতম যোগাযোগ করেনি। এটি তো সৌজন্যতা। তিনি জ্যেষ্ঠ শিক্ষক, কিন্তু তাঁরা সম্মান করতে জানে না। এটা খুবই দুঃখজনক। জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শিক্ষকদের সম্মান করতেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা শিক্ষকদের সম্মান করেন। এটা তাদের (শিক্ষা মন্ত্রণালয়) বুঝতে হবে।
শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের আদেশ অনুযায়ী সাত সদস্যবিশিষ্ট বিশেষজ্ঞ কমিটিকে সময় দেওয়া হয়েছে এক মাস। এ সময়ের মধ্যে তারা ষষ্ঠ ও সপ্তম শ্রেণির বইয়ে ভুল ও অসংগতি চিহ্নিত করে সংশোধনের বিষয়ে প্রয়োজনীয় সুপারিশ করবে। আর প্রশাসনিক তদন্ত কমিটিও সাত সদস্যের। তাদের তিন সপ্তাহ সময় দেওয়া হয়েছে। কমিটি এই দুই ক্লাসে বই নিয়ে গাফিলতি বা ইচ্ছাকৃত ভুল ছিল কি না তা দেখবে। এর আগে ২৪ জানুয়ারি রাজধানীতে এক সংবাদ সম্মেলনে শিক্ষামন্ত্রী দীপু মনি দুটি কমিটি গঠনের সিদ্ধান্তের কথা জানিয়েছিলেন।