বিশ্বের সবচেয়ে বড় চিরহরিৎ বনাঞ্চল আমাজনের আগুন নেভাতে সহায়তার জন্য জি-৭ নেতারা একমত হয়েছেন।
তারা এ বিষয়ে একটি চুক্তি সম্পাদনের খুব কাছাকাছি রয়েছেন উল্লেখ করে বিবিসির এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, এ বিষয়ে সোমবার বৈঠকে বসেছেন জি-৭ নেতারা।
এর আগে রোববার সম্মেলনে ফ্রান্সের প্রেসিডেন্ট ইমান্যুয়েল ম্যাক্রোঁ বলেন, আমাজনের আগুন নেভাতে আর্থিক ও প্রযুক্তিগত সাহায্য পাঠাতে শিগগির একটি চুক্তি করা হবে।
তিনি বলেন, আমাজনের আগুন নেভাতে আন্তর্জাতিক নেতারা যত দ্রুত সম্ভব সাহায্য পাঠাতে একমত। যেসব দেশে আমাজনের অংশ রয়েছে তাদের সঙ্গে আমাদের টিম যোগাযোগের চেষ্টা করছে।
আমাজনে চলতি বছর রেকর্ড সংখ্যক আগুন লাগার ঘটনার প্রেক্ষাপটে বিশ্বব্যাপী উৎকণ্ঠা বেড়েছে।
ব্রাজিলের মহাকাশ গবেষণা সংস্থা ইনপে উপগ্রহ থেকে পাওয়া তথ্যে চলতি বছর ব্রাজিলজুড়ে আগের বছরের একই সময়ের তুলনায় ৮৫ শতাংশ বেশি অগ্নিকাণ্ডের খবর জানিয়েছে। এ অগ্নিকাণ্ডের বেশিরভাগই সংঘটিত হয়েছে আমাজন অঞ্চলে।
গত জানুয়ারি থেকে আগস্ট পর্যন্ত আমাজন বনে ৭২ হাজার ৮০০টি আগুন লাগার ঘটনা ঘটেছে। এর মধ্যে উদ্দেশ্যমূলকভাবে কতবার আগুন লাগানো হয়েছে তা জানা না গেলেও সমালোচকরা দেশটির প্রেসিডেন্ট জাইর বোলসোনেরো প্রশাসনকে অভিযুক্ত করছেন। তারা বলছেন, বোলসোনেরো প্রশাসনের দায়মুক্তির সংস্কৃতি বন ধ্বংসে ‘সবুজ সংকেত’ দেওয়ায় আগুন লাগার ঘটনা বেড়েছে।
যদিও আন্তর্জাতিক চাপে বোলসোনেরো ইতোমধ্যে আমাজনের আগুন নেভানোর কাজে সহযোগিতা করতে সেনাবাহিনীকে নির্দেশ দিয়েছেন। পাশাপাশি ‘আমাজন সুরক্ষায়’ তিনি সহযোগিতা চান বলেও জানিয়েছেন।
গত সপ্তাহে জি-৭ সম্মেলনে আমাজনের অগ্নিকাণ্ডকে ‘আন্তর্জাতিক সংকট’ বলে উল্লেখ করেন ফ্রান্সের প্রেসিডেন্ট ইমান্যুয়েল ম্যাক্রোঁ।
সে সময় ম্যাক্রোঁর এ মন্তব্যের কড়া প্রতিক্রিয়া দেখান ব্রাজিলের প্রেসিডেন্ট। ম্যাক্রোঁ ‘রাজনৈতিক সুবিধা নেওয়ার জন্য আমাজনের অগ্নিকাণ্ডকে ব্যবহার করছেন বলেও তখন অভিযোগ করেছিলেন বোলসোনেরো।